আসসালামু আলাইকুম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম।
সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচছা...
তারিখঃ
২০শে এপ্রিল ২০২৩ ইংরেজী।
৭ ই বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
২৮ শে রমজান ১৪৪৪ হিজরী।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা আজ আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। বন্ধুরা আগামী শনিবার যদি ঈদ হয় তাহলে হয়তো আমারা আগামীকালকের রোজাটাই পাচ্ছি।
বন্ধুরা প্রতিবছর ঢাকাতে চাকুরী করার সুবাদে আমি বাড়িতে এসে খুব বেশি একটা সময় পেতাম না। কিন্তু এ বছর আমি আমার নতুন ব্যবসা শুরু করেছি যার কারনে সরকারি ছুটি অনুযায়ী আমি বাড়িতে চলে এসেছি ফলে তিনটি রোজা আমি বাড়িতে এসে পেয়েছি।
আমি আগে ঢাকাতে চাকরি করার সুবাদে ঈদের খুব একটা আগে বাড়িতে না আসাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইফতারির দাওয়াত দেওয়াটা আমাকে সম্ভব হতো না। এ বছর যেহেতু আমি আগে এসেছি সে কারণেই শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে ইফতারির দাওয়াত দিয়েছে। আমিও আর কোন কিছু না ভেবে ইফতারের দাওয়াতটা লুফে নিলাম।
চিত্রঃ এক।
আমার ওয়াইফ তো এক পায়ে খাড়া। সকাল হওয়ার সাথে সাথে বড় ছেলেটা বলতেছে বাবা কখন যাবা বাবা কখন যাব? কারণ এভাবে একসাথে অনেক দিন হয় শ্বশুর বাড়িতে ইফতার করা হয় না। কারণ বুঝতেই পারছেন শ্বশুরবাড়ির ইফতারের দাওয়াত বলে কথা। তো আমি বৃহস্পতিবার মানে আজকে সকালে আমার ওয়াইফ এবং দুই ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে রওনা হলাম। দুই ছেলেকে প্রস্তুত করে বের হতে হতে প্রায় ১১টা বেজে গেলো। আমি আবার একটু অলস টাইপের সব জায়গায় লেট।
যাই হোক বাড়ি থেকে বের হয়ে আমরা রাস্তায় দাঁড়ালাম, রাস্তায় দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা অটো চলে আসলো। অটোটা পুরোই ফাঁকা ছিল, কোন যাত্রী ছিল না। তো আমাদের দেখে অটোটা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। আমাকে জিজ্ঞেস করল কোথায় যাবেন। আমি তখন বললাম হাউসদী যাব ভাই ভাড়া কত নিবেন? তখন আমার ওয়াইফ বললো ভাই না আমার কাকা হয়। এবং আমার ওয়াইফ ওর ভাইয়ের নাম বলে তার কাছে পরিচয় দিল।
চিত্রঃ দুই।
তখন আমি আর ভাড়া নিয়ে কোন কথা বললাম না। ঈদের সময় ভাড়া টা মিটিয়ে নেওয়াই ভালো, কারণ কিছু কিছু অটো ড্রাইভার আছে খুব খারাপ, এরা অনেক সময় ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে। তো আমরা অটোতে উঠে বসলাম। 20 মিনিট পর আমাদের অটো গন্তব্যে পৌঁছালো।
এর মধ্যে পথে আর কোন যাত্রী পায়নি। তো আমি অটো থেকে নেমে অটো ওয়ালাকে ১০০ টাকার একটা নোট দিলাম। সে আমাকে ৫০ টাকা ফেরত দিল। অটোওয়ালা অবশ্য ন্যায্য বাড়াটাই রেখেছে। এভাবে আমি ইফতারির দাওয়াতের উপলক্ষে আমার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছালাম এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
চিত্রঃ তিন।
ধন্যবাদ বন্ধুরা আপনাদের অতি মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আশা করি সবার ভালো লাগবে। ভালো অথবা মন্দ যেটাই লাগুক অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ
ডিভাইস Techo provoir 4
ক্যামেরা 13MQUAD
ক্যামেরায় @azizulmiah
লোকেশন মাদারীপুর।
আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।
বন্ধুরা প্রতিবছর ঢাকাতে চাকুরী করার সুবাদে আমি বাড়িতে এসে খুব বেশি একটা সময় পেতাম না। কিন্তু এ বছর আমি আমার নতুন ব্যবসা শুরু করেছি যার কারনে সরকারি ছুটি অনুযায়ী আমি বাড়িতে চলে এসেছি ফলে তিনটি রোজা আমি বাড়িতে এসে পেয়েছি।
চিত্রঃ এক।
আমার ওয়াইফ তো এক পায়ে খাড়া। সকাল হওয়ার সাথে সাথে বড় ছেলেটা বলতেছে বাবা কখন যাবা বাবা কখন যাব? কারণ এভাবে একসাথে অনেক দিন হয় শ্বশুর বাড়িতে ইফতার করা হয় না। কারণ বুঝতেই পারছেন শ্বশুরবাড়ির ইফতারের দাওয়াত বলে কথা। তো আমি বৃহস্পতিবার মানে আজকে সকালে আমার ওয়াইফ এবং দুই ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে রওনা হলাম। দুই ছেলেকে প্রস্তুত করে বের হতে হতে প্রায় ১১টা বেজে গেলো। আমি আবার একটু অলস টাইপের সব জায়গায় লেট।
যাই হোক বাড়ি থেকে বের হয়ে আমরা রাস্তায় দাঁড়ালাম, রাস্তায় দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা অটো চলে আসলো। অটোটা পুরোই ফাঁকা ছিল, কোন যাত্রী ছিল না। তো আমাদের দেখে অটোটা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। আমাকে জিজ্ঞেস করল কোথায় যাবেন। আমি তখন বললাম হাউসদী যাব ভাই ভাড়া কত নিবেন? তখন আমার ওয়াইফ বললো ভাই না আমার কাকা হয়। এবং আমার ওয়াইফ ওর ভাইয়ের নাম বলে তার কাছে পরিচয় দিল।
চিত্রঃ দুই।
তখন আমি আর ভাড়া নিয়ে কোন কথা বললাম না। ঈদের সময় ভাড়া টা মিটিয়ে নেওয়াই ভালো, কারণ কিছু কিছু অটো ড্রাইভার আছে খুব খারাপ, এরা অনেক সময় ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে। তো আমরা অটোতে উঠে বসলাম। 20 মিনিট পর আমাদের অটো গন্তব্যে পৌঁছালো।
এর মধ্যে পথে আর কোন যাত্রী পায়নি। তো আমি অটো থেকে নেমে অটো ওয়ালাকে ১০০ টাকার একটা নোট দিলাম। সে আমাকে ৫০ টাকা ফেরত দিল। অটোওয়ালা অবশ্য ন্যায্য বাড়াটাই রেখেছে। এভাবে আমি ইফতারির দাওয়াতের উপলক্ষে আমার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছালাম এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
চিত্রঃ তিন।
ধন্যবাদ বন্ধুরা আপনাদের অতি মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আশা করি সবার ভালো লাগবে। ভালো অথবা মন্দ যেটাই লাগুক অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর। |
ইফতার পার্টি উপলক্ষে পরিবারের সকলকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় ছোট বাচ্চারা সবসময়ই নানুর বাসায় যেতে অনেক বেশি ভালোবাসে ছোট বাচ্চার পাশাপাশি বাচ্চার মায়েরাও নিজেদের বাবার বাড়ি যেতে চায় আপনার পরিবারের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম নয়। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই সবাই তাড়াহুড়ো শুরু করে দিয়েছে, অবশেষে তাদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, ছোট বাচ্চাদের কাছে তার নানু বাড়িই হচ্ছে সবচেয়ে প্রিয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit