হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে রমনা পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
গত পরশুদিন আমি আমার রুমমেট ও আমার রুমমেট এর বন্ধু মিলে রমনা পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা মিউজিয়ামে আমার প্রেজেন্টেশন প্রজেক্ট এর কিছু কাজের জন্য গিয়েছিলাম। আমরা জানি বাংলাদেশ স্বাধীনতা মিউজিয়ামের ঠিক বিপরীতেই রমনা পার্ক অবস্থিত। আমার তথ্য সংগ্রহের পরে আমি আমার রুমমেট আমার রুমমেট এর বন্ধু মিলে রমনা পার্কের ভিতরে যাই। আমার কাছে রমনা পার্ক অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই রমনা পার্কের এত কাছাকাছি গিয়ে রমনা পার্ক যাব না তা হয় না। এই গরমে রান্না পার্কে যেন স্বস্তির বাতাস মেলে। রমনা পার্কে আমরা দেখতে পাই না নানান ধরনের গাছপালা সমাহার। আমরা প্রায় বিকেল পাঁচটার আগে রমনা পার্কের ভেতরে ঢুকি। রমনা পার্কের ভিতরে ঢুকেই প্রথমে রমনা পার্কের সেই সুপরিচিত ব্রিজে যাই। আমাদের মত অনেকেই এসেছিল রমনা পার্কে ঘুরতে তারা এই ব্রিজে এসে ছবি তুলছিল। আমরাও বেশ কিছু ছবি তুলে এই ব্রিজের উপর। আমি কালকে আপনাদের মাঝে রমনা পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি সময় পেলে দেখে আসবেন।
ব্রিজে বেশ কিছুক্ষণ ছবি তোলার পর আমি আমার রুমমেট ও তার বন্ধু মিলে রমনা পার্কের অপরদিকে যাই। রমনা পার্কের বড় বড় বটগাছ গুলোর নিচে অনেক মানুষ বসে আছে সস্থির বাতাসের জন্য। ঢাকা শহরে এরকম গাছপালা দেখা খুবই দুষ্কর একটি ব্যাপার। আমরা রমনা পার্কের চারিদিকে হেঁটে ঘুরতে থাকি। আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার রমনা পার্কে এসেছিলাম এই জায়গাটি বরাবরই আমার ভালো লাগে। রমনা পার্কের ভেতরে হাটাহাটি দেখ পর্যায়ে আমরা পার্কের ভিতরে একটি জায়গায় বসি এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। এই প্রচন্ড গরমের মাঝেও রমনা পার্কে শীতল বাতাস আমার মনকে মুগ্ধ করে তুলছিলো।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি। রমনা পার্কের গাছের সমাহার গুলো রমনা পার্কে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ। রমনা পার্কে দেখা যায় না নানান ধরনের ফুলের গাছ, ফলের গাছ এবং এই গাছগুলোতে নানা ধরনের পাখি ও কাঠবিড়ালি ও দেখা যায়। পাখির সুমধুর ডাক রমনা পার্কে আসলে আপনি শুনতে পারবেন। এই পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত অর্থাৎ এই পার্কে ঢুকতে কোন টিকিট বা টাকা লাগে না। রমনা পার্কের একদিকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছের সমাহার রয়েছে এবং সবগুলো গাছে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে বৈশাখ বরণ করে নাও হয় অনেক চমৎকার ভাবে। বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে এখানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। আমরা বিশ্রাম করে উঠে আবার রমনা পার্কে হাঁটতে থাকে এবং চারপাশ ঘুরে দেখতে থাকি। ঘুরতে ঘুরতে আমরা রমনা বটমূলে যাই। এই রমনা বটমূলে আমরা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন বা যাদের ঢাকায় আসা হয় তারা সময় পেলে রমনা পার্ক ঘুরে যাবেন আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি রমনা পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তির অনুভূতি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার লেখনীতে পার্কের বিভিন্ন দৃশ্য, গাছপালা, ফুলের গাছ, এবং পাখির ডাকের বর্ণনা পাঠককে যেন সেখানে নিয়ে যায়। আপনার ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ এবং কবিতা লেখার প্রতিভা আপনার পোস্টে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। আপনার এই সৃজনশীল প্রচেষ্টা অন্যদেরও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং সৌন্দর্য উপভোগের অনুপ্রেরণা দেবে। ধন্যবাদ এবং এই ধরনের আরও সুন্দর পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই তো রমনা পার্কের এত কাছে যেয়ে রমনা পার্কে যাবেন না তা কি হয় নাকি । আপনি কাজে গিয়েও রমনা পার্কে গিয়ে সুন্দরভাবে ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগছে । রমনা পার্ক কিন্তু ভাইয়া আমার বাসার কাছেই আমরা প্রায়ই যাই । আপনি এখানে এসেছেন শুনে ভালো লাগলো । আর এই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সবাই কিন্তু ছবি তুলে আমরাও কত তুলেছি । আপনাদের ছবিগুলো কিন্তু সুন্দর হয়েছে । রমনা পার্কের এ মাথা থেকে ও মাথায় হাঁটতে কিন্তু খুব ভালো লাগে হেঁটে যেন শেষই করা যায় না । রমনার বটমূলে শেষমেষ তিনজনে মিলে আড্ডা দিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন ভালো লাগলো ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা শহরের সুন্দর পার্ক গুলোর মধ্যে একটি পার্ক হলো রমনা পার্ক। এখানের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। এখানে গেলে মনটা মূর্হতে ভালো হয়ে যায়। চারপাশে অনেক গাছগাছলি থাকার কারনে জায়গাটা অনেক সুন্দর লাগে। সেখানে আমিও একবার গিয়েছিলাম । ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit