বন্ধুর দেয়া ট্রিট ও কিছু সুন্দর মুহুর্ত ||

in hive-129948 •  12 days ago 

আসসালামু আলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার বন্ধুর দেয়া ট্রিট ও বন্ধুদের সাথে সুন্দর সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত তুলে ধরব। আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।


IMG_1535.jpg

গতকাল আমার বন্ধু ফাহিমের জন্মদিন উপলক্ষে সে আমাদের সবাইকে ট্রিট দিতে চায়। আমি যারা ভার্সিটিতে সবসময় একসাথে বের হই তাদের নিয়ে আমরা সবাই মিলে প্লান করি সন্ধ্যা বেলা বের হয়ে সবাই মিলে কিছুক্ষণ ঘুরে রাতের খাবার করে বাসায় ফিরবো। আমাদের খাবার প্লান হয় পুরান ঢাকায়। পুরান ঢাকার বিরিয়ানি ঢাকার মধ্যে অনেক বিখ্যাত সেটা আমরা সবাই জানি। তাই আমরা সবাই মিলে ঠিক করি পুরান ঢাকায় গিয়ে বিরিয়ানি খাব। আমরা সবাই মিলে ঠিক করি সন্ধ্যেবেলা আগে টিএসসিতে সবাই একসাথে দেখা করব এরপর সেখান থেকে কিছুক্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এরপর পুরান ঢাকায় যাবো।

আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে নতুন বাজার সায়েদনগর থেকে মাগরিবের আজানের পরপর বের হই। আর বাকিরা মিরপুর ও ধানমন্ডি থেকে টিএসসি তে আসবে। আমি ও আমার দুই বন্ধু শিশির ও আবির মিলে সায়েদনগর থেকে একটি সিএনজি নেই টিএসসি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের এখান থেকে টিএসসি দেশ দূরে। অফিস টাইম শেষ হওয়ার ফলে আমরা গুলশান ২ এ বিরাট একজ্যামে পড়ি। প্রায় ৪০ মিনিট যেভাবে থাকার পর আমরা গুলশান ০২ থেকে বের হই। এরপর রাস্তায় আরো বেশ ছোট ছোট কয়েকটি জ্যাম ছিল। প্রেমের কারণে প্রায় সন্ধ্যা ৬'৩০ মিনিটে আমরা টিএসসি তে গিয়ে পৌঁছাই। আমাদের টিএসসিতে আসা ১০ মিনিট পরেই আমাদের বাকি বন্ধুরা চলে আসে।


IMG_1480.jpg

টিএসসির ভিতরে নাট্যকলার একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল। আমি আমার বন্ধুরা কৌতুহল বসে সেখানে যাই ও কিছুক্ষণ থেকে আবার বের হয়ে আসি। আমরা টিএসসিতে বসে এখানকার রং চা খাই। টিএসসি এর রং চা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এরপর আমরা সবাই মিলে টিএসসি থেকে কার্জন হলের দিকে হাঁটতে থাকি। কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই আমরা কার্জন হলে পৌঁছে যাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল সবার কাছে অতি পরিচিত। আমরা সবাই মিলে কার্যন হলে প্রবেশ করি। আমি অনেকদিন পর কালকে কার্জন হলে বন্ধুদের সাথে এসেছি।

আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে কার্জন হল ঘুরে দেখতে থাকি। এরপর সবাই মিলে কার্জন হলে কিছু ছবি তুলি। আমরা সবাই সিঙ্গেল ছবি ও গ্রুপ ছবি তুলে নেই। বন্ধুদের সাথে সবাই মিলে এরকম আড্ডা আমার অনেক ভালো লাগে। আমরা সবাই মিলে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছিলাম। কার্জন হল ঘুরে দেখার পর এবং সবাই কিছু ছবি তোলার পর আমরা কার্জন হলে আরেক দিকের গেট এর দিকে যাই, কিন্তু কার্জন হলের পিছনের গেইটটি বন্ধ ছিলো তাই আমরা আবার ফিরে সামনের গেট দিয়ে বের হই।


IMG_1536.jpg

এরপর আমরা কার্জন হলে সামন থেকে তিনটি রিক্সা নিয়ে পুরান ঢাকা নাজিরা বাজারের উদ্দেশ্যে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নাজিরা বাজারে পৌঁছে যাই। আমরা যারা পুরান ঢাকা নাজিরা বাজারে গিয়েছি তারা জানি এখানে কি পরিমানে ভিড় থাকে। আমরা মূলত পুরান ঢাকায় হানিফের বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলাম কিন্তু হানিফের সামনে এত পরিমানে ভিড় ছিল যে ভিড়ের লাইন রাস্তা পর্যন্ত চলে এসেছিল। এরপরেও আমরা ৩০ মিনিটের মতো এখানে অপেক্ষা করি। কিন্তু এখানে খেতে হলে আরো এক ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হবে তখন প্রায় রাত ৯ টা পার হয়ে গিয়েছিল তাই আমরা আর দেরি না করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।

এরপর আমরা সবাই মিলে ভাবতে থাকি কোথায় খাওয়া যায়। সবার ভাবনাচিন্তা শেষে আমরা সবাই মিলে গ্রান্ড নবাবে যাই। এটি হানিফের একটু সামনেই অবস্থিত। আমি পুরান ঢাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে খেয়েছি কিন্তু গ্রান্ড নবাবে আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আমরা সবাই মিলে নবাবে যাই। নবাবের ডেকোরেশন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ও এখানকার পরিবেশ ও বেশ ভালো। আমরা পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম বিরিয়ানি খেতে তবে নবাবে আমরা সবাই মিলে কাচ্চি অর্ডার দেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাচ্চি তারা দিয়ে যায় ও আমরা সবাই মিলে একসাথে কাচ্চি খাই।


IMG_1590.jpg

আমাদের খাওয়া যখন শেষ হয় তখন প্রায় রাত দশটা পার হয়ে গিয়েছিল। আমরা কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বাইরে বের হয়ে আসি। এবং সেখান থেকে আমরা যারা সায়েনগর আসবো এমন ৪ জন ছিলাম আর রাত ও হয়ে গিয়েছিলো তাই আমরা একটি উবার এক্স কল করে বাসার দিকে আসি সবার কাছে বিদায় নিয়ে।

আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।


IMG-20230608-WA0000.jpg

আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।




New_Benner_ABB.png


🌼ধন্যবাদ🌼

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

1000036113.jpg

1000036115.jpg

1000036117.jpg