হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। গত কয়েকদিন আগে আমি র্যাগ ডে পর্ব-০১ পোস্ট করেছিলাম। আজকে আমি র্যাগ ডে পর্ব-০২ অর্থাৎ শেষপর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। স্কুল জীবন কখনো ভুলার নয়। আমার মনে হয় জীবনের অধ্যায় গুলোর মধ্যে স্কুল জীবন সব থেকে শ্রেষ্ঠ সময়। এই শ্রেষ্ঠ সময় শ্রেষ্ঠ কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
পর্ব -০১ বক্স বাজানো পর্যন্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে তার পরবর্তী ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বক্সে গান শুনতে শুনতে সবাই রং বের করে একে অপরকে মাখিয়ে দিতে থাকে । এই সময় সবাই সবাইকে রং মাখাতে থাকে। খুবই আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সকল শিক্ষার্থীর রং খেলায় মেতে থাকে। যে যাকে সামনে পাচ্ছিল তাকেই রং মাখাচ্ছিলো। সবাই এই রং খেলার মুহূর্তটি অনেক ইনজয় করছিলো।
এরপর সবাই মার্কার পেন দিয়ে একে অপরের টি-শার্টে লিখতে থাকে। স্কুল জীবনের শেষ স্মৃতি সবাই মার্কার পেন দিয়ে একে অপরের টি-শার্টে লিখে। এই যে সবাই একে অপরের টি-শার্টে মার্কার পেন দিয়ে কিছু লিখছিল এই মুহূর্তটি অসাধারণ ছিল। এখনো যখন টি শার্টটি বের করে লেখাগুলো দেখি তখন স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি চোখে ভাসে। সত্যিই অসম্ভব সুন্দর ছিল দিনটি।
এরপর সোহেল স্যার ও গোলাপ স্যার আমাদের গান গেয়ে শোনাতে লাগে আর আমরাও গানের তালে তালে সবাই অনেক বেশি ইনজয় করতে থাকি। আমাদের র্যাগ ডে এর সবথেকে বেস্ট মোমেন্ট ছিলো এটি। স্যাররা গান গাচ্ছিলো তাদের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা সব শিক্ষার্থীরা গান গাচ্ছিলাম। এই মোমেন্টটি ছিল নস্টালজিক মোমেন্ট যা কখনো ভুলার নয়।
স্যারদের গান শেষে আমরা সবাই মিলে ফটো সেশন করি। আমাদের ব্যানার্জি হাতে নিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে পরি কেউ কেউ আবার বসে পড়ে সবাই মিলে একসাথে আমরা ফটো সেশন করি। সবার মনে তখন আনন্দমুখর পরিবেশ ঘিরে ছিল। সবাই ওই মোমেন্ট টা অনেক বেশি ইনজয় করছিল। এখনো ওই সময়টা মনে পড়লে চোখের জল চলে আসে।
এরপর কয়েকজন মিলে ব্যাচ-২০২০ বানায়। আর আমরা ছাদ থেকে শিক্ষার্থী দিয়ে বানানো ব্যাচ-২০২০ এর ছবি তুলে নিই। ছাদের উপর থেকে নিচে ব্যাচ-২০২০ লেখাটি অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছিলো।
এরপর আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সবাইকে এক এক করে প্যাকেট দেওয়া হচ্ছিল। আমরা সবাই একসাথে বসে খাওয়া করি। এই মুহূর্তটা অসম্ভব সুন্দর ছিল যা কখনো ভুলার নয়। সবাই মিলে একসাথে খাচ্ছিলাম এ যেন এক অন্যরকম ভালোলাগা। সবাই সবাইকে খাওয়ায় দিচ্ছিলো, এ যেন বন্ধুদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। সময়টি কখনো ভোলার নয়।
স্কুল জীবন নিঃসন্দেহে জীবনে শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়। আমি আমার স্কুল জীবনকে অনেক মিস করি। এটি ছিলো আমার স্কুল জীবনের সবথেকে সুন্দর স্মৃতিগুলোর একটি যা কখনোই আমি ভুলবো নাহ। আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
সত্যিই এই সময়টা ভুলার মতো নয়। আমরাও র্যাগ ডে পালন করেছিলাম। সবসময় এই মুহূর্তগুলো স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে থাকে। আপনার র্যাগ ডে এর পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে ব্যাচ ২০২০ দেখতে দারুন লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি সেই দিন আপনারা অনেক আনন্দ করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিক বলেছেন সেদিন আমরা অনেক আনন্দ করেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit