হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা সবাই জানেন আমি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার এন্ড সাইন্স ডিপার্টমেন্টের একজন ছাত্র। আজ আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এয়ারটেল এর সৌজন্যে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এই কনসার্ট স্পন্সর করে এয়ারটেল এবং এটির আয়োজন করে ইউয়াইইউ কালচারাল ক্লাব। আমাদের আগে থেকেই জানানো হয়েছিল যে ৬ নভেম্বর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং এই কনসার্টের মূল আকর্ষণ হচ্ছে কনক্লুশন ব্যান্ড ও নেমেসিস ব্যান্ড। তো আজকে আমি আমার ইউনিভার্সিটিতে কাটানো সময় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব পর্বে পর্বে। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
ইউনিভার্সিটিতে আজকে আমার ক্লাস ছিল তিনটা। আমার প্রথম ক্লাসটি ছিল সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা ৩০ পর্যন্ত। আমার প্রথম ক্লাসটি ছিল ফিজিক্স। আমাদের ক্লাসটি শেষ হয় দুপুর ১২'৩০ মিনিটে। তখন আমাদের মাঠে স্টেজ সাজানোর কাজ করা হচ্ছিল । ১২ঃ৩০ মিনিটে ক্লাস শেষের পরে আমাদের পরবর্তী ক্লাস ছিল দুপুর ১'৫০ মিনিটে।অর্থাৎ মাঝখানে এক ঘন্টা ২০ মিনিটের একটি ব্রেক রয়েছে। আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে ভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে যাই। ভার্সিটির ক্যান্টিনে গিয়ে সবাই মিলে চিকেন খিচুড়ি খাই। যেহেতু আমাদের ক্লাস ছিল ৪'৩০ পর্যন্ত তাই সবাই মিলে ভার্সিটির ক্যান্টিন বসে খিচুড়ি খাই।
খিচুড়ি খাওয়ার পর সবাই মিলে ভার্সিটির মাঠের দিকে যাই। এখানে তখন স্টেজ সাজানোর কাজ চলছিল। আমাদের নোটিশে বলা হয়েছিল বিকেল চারটা থেকে শুরু হবে কনসার্ট। আমরা যখন মাঠে যাই তখন মাঠে যাওয়ার রাস্তায় ভার্সিটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে এয়ারটেলের একটি স্টল দেওয়া রয়েছে। আবার মাঠে এয়ারটেল আড্ডা নামে একটি বড় ব্যানার লাগানো ছিলো এখানে সবাই নিজেদের নামসহ নানা জিনিস লিখছিল। আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে এখানে নিজেদের নাম ও ব্যাচ লিখি।
এরপর আমার ভার্সিটির গ্যালারিতে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। অতঃপর আমাদের ক্লাসের সময় হয়ে গেলে আমরা সবাই ক্লাসের দিকে যাই। আমাদের ক্লাসটি ছিল চতুর্থ তলায় এবং আজকের দিনে আমাদের দ্বিতীয় ক্লাসটি ছিল ভেক্টর। আমাদের এই ক্লাসটি ছিল দুপুর ১'৫০ থেকে বিকেল ৩ঃ১০ পর্যন্ত। আমরা সবাই মনোযোগ দিয়ে এই ক্লাসটি করি। এরপর আমাদের শেষ ক্লাসটি ছিল বিকেল ৩'১১ থেকে বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত। আমাদের পরবর্তী ক্লাসটি ছিল ইলেকট্রিক সার্কিট। আমাদের এই ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমাদের ইউনিভার্সিটি এর কালচারাল ক্লাবের কয়েকজন স্টেজে পারফর্ম শুরু করে। আমাদের ক্লাস শেষ হয় বিকেল ৪'৩০ মিনিটে। ক্লাস শেষ করে আমরা আবার ভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে যাই এবং ভার্সিটির ক্যান্টিনে সিঙ্গারা খেয়ে মাঠে চলে যাই কনসার্ট উপভোগ করার জন্য।
আমরা যখন এ অবস্থান করি তখন আমাদের ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা স্টেজে পারফর্ম করছিল। আমি আমার বন্ধুরা মাঠের একদিকে দাঁড়িয়ে তাকে পারফর্ম উপভোগ করতে থাকি। প্রথমে কালচারাল ক্লাবের কিছু সদস্য আমাদের কয়েকটি গান গেয়ে শোনান এরপর কালচার খারাপ আয়োজিত নৃত্য আমরা দেখতে পারি। আমরা বেশ কিছু পারফর্ম আমাদের কালচারাল ক্লাব থেকে দেখতে পারি ও সেগুলো আমরা অনেক বেশি উপভোগ করি। এরপর মাগরিবের আজানের সময় হলে আজানের আগে অনুষ্ঠানটি ব্রেক দেওয়া হয়। ব্রেকের পর আমরা আবার ভার্সিটির গ্যালারিতে গিয়ে অবস্থান করি।
আজকের মত এখানেই। বাকিটা আমি আগামী পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit