হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি কিছুদিন আগে নীলক্ষেতে গিয়েছিলাম বই কেনার জন্য। সেখান থেকে বই কেনার পর আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে ভাবলাম ঢাকা ইউনিভার্সিটি অনেকদিন আসা হয় না আজকে যেহেতু এইদিকে এসেছি তো ঢাকা ইউনিভার্সিটি একটু ঘুরে যাই৷ আজ আমি আপনাদের মাঝে এই দিনের ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও এর আশেপাশে এলাকায় ঘুরার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমরা প্রথমেই নীলক্ষেত থেকে একটি রিক্সা নিয়ে কলা ভবন পর্যন্ত যাই। কলা ভবনে গিয়ে রিক্সাটি ছেড়ে দেই। এরপর কলাভবন থেকে টি এস ছি পর্যন্ত আমরা হেটে যাই। আমরা যেদিন টিএসছি গিয়েছিলাম সেইদিন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের খেলা চলছিল। এবং এই খেলাটি টিএসসির বড়পর্দায় দেখাচ্ছিল । যেখানে অনেক শিক্ষার্থী ও অনেক মানুষ একসাথে বসে খেলা দেখছিল। আমরাও সেখানে কিছুক্ষণ খেলা দেখি।
টিএসছিতে বেশ কিছু সময় কাটানোর করার পরে আমরা কার্জন হলের দিকে যেতে থাকি। বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে হাঁটতে হাঁটতে আমরা কার্জন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। যেতে যেতে আমরা দেখি রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজো হচ্ছে ও বাইরে অনেক ধরনের লোভনীয় খাবার এর দোকান বসেছে। আমাদের প্রচন্ড ক্ষুধাও লেগেছিল তাই আমরা সবাই মিলে ভেতরে প্রবেশ করি।
ভেতরে প্রবেশ করেই আমরা অনেক ধরনের লোভনীয় খাবারের দোকান দেখতে পারি। এখানে বেশ কিছু লাড্ডুর দোকান বসেছিলো। আর একদিকে সারি সারি স্ট্রিট ফুডের দোকান। অন্যদিকে গুরের জিলাপি, চাউমিন, বিরিয়ানির দোকান ও বসেছিলো। আমরা এমন একটি দোকানে ঢুকি ও গরম গরম গুরের জিলাপি অর্ডার করি। আমি সচারাচর জিলাপি খাই না কিন্তু গুরের জিলাপি আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা সেখানে গরম গরম গুরের জিলাপি খাই।
খাওয়া দাওয়া করে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি। এরপর আবারো কার্জন হলের দিকে যেতে থাকি। এখান থেকে কার্জন হল খুবই কাছে। কিছুক্ষণ হাটলেই সামনে দোয়েল চত্বর। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই কার্জন হলে পৌঁছে যাই। কার্জন হলের একদম বিপরীত পাশে রয়েছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী। আমরা যখন কার্জন হলে পৌঁছে যাই তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। তাই এখানে বেশি দেরী না করে অল্প সময় নিয়েই আমরা ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
দারুন একটা সময় কাটালেন আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে। গত বছর আমরা অনেক ঘোরাঘুরি করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। আপনারা তো দেখছি বেশ সুন্দর সময় কাটালেন সব বন্ধুরা মিলে। এক সাথে জড়ো হয়ে যদি খেলা দেখা যায় তাহলে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া এত মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দিলেন লোভ সামলানো যায় না। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি তো জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম এটা ভেবে যে তুমি গুড়ের জিলাপি খেয়েছ। যাইহোক অবশেষে জিলাপির স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছ।এটা ভেবেই বেশ ভালো লাগছে তবে সাবধানে চলাফেরা করবে এটা আমার অনুরোধ।সুন্দর ভাবে এই সময়টুকু কাটিয়েছো বলে ভালো লাগলো।অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit