নীলফামারী থেকে ঢাকা ট্রেন ভ্রমণ ||

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে নীলফামারী থেকে ঢাকা ট্রেন ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

---

আমি গত ২৪ তারিখে ঢাকা থেকে নীলফামারী এসেছিলাম। আমি ইতোমধ্যেই আপনাদের মাঝে ঢাকা থেকে নীলফামারী ট্রেনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমি গতকাল নীলফামারী থেকে ঢাকা এসেছি। আমি আজ আপনাদের মাঝে নীলফামারী থেকে ঢাকা ট্রেনে ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমি ও আমার মা আমরা দুজন কালকে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৬'৪০ এ ছিলো চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি। আমাদের বাসা থেকে যেহেতু নীলফামারী স্টেশন কাছেই তাই আমি ও আম্মু ভোর ৬'২০ এ বাসা থেকে রওনা দেই এবং ১০ মিনিটের মধ্যেই স্টেশন পৌঁছে যাই। এবং ট্রেনটি একদম সময়মতো নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে আসে এবং ৬'৪৫ এ এখান থেকে রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।

আমি আর আম্মু আমাদের আসন গ্রহণ করি। গতকাল আমাদের নীলফামারীতে প্রচুর কুয়াশা ছিলো। আর ট্রেনো যেহেতু ভোরে ছিলো, ট্রেনের জানালা দিয়ে আমি শীতের কুয়াশা উপভোগ করছিলাম। ট্রেনের জানালা দিয়ে এরকম কুয়াশা আমার মনকে মুগ্ধ করে তুলেছিলো। উত্তরবঙ্গের শীত আসলেই উপভোগ করার মতো, যদিও এখনো ওভাবে শীত পড়েনি তবুও এখন থেকেই ভোরে আমাদের ওদিকে অনেক কুয়াশা পড়ে। নীলফামারী থেকে ঢাকা আসার পথে শুরুতেই এরকম কুয়াশা উপভোগ করেছি যা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

---

দেখতে দেখতেই আমরা পারবতীপূর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যাই। পারবতীপূর জংশনে ট্রেনটি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কারণ এটি একটি জংশন, তখন আমরা ট্রেনের মাঝে নাস্তা করি। নাস্তা করার কিছুক্ষণ পরেই ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরু করে। ট্রেনটি যেহেতু ভোরবেলায় ছিলো তাই রাতে সেরকম একটা ঘুম হয়নি। তাই ট্রেনে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিই। যখন আমার ঘুম ভাঙে তখন ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে ছিলো। এরপর ট্রেনের জানালা দিয়ে কিছুক্ষণ প্রকৃতি উপভোগ করি কিন্তু যতোই এগোচ্ছিলাম ততোই যেনো রোদের তীব্রতা বেড়েই যাচ্ছিলো।

এরপর আমি আবার কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ি কারণ অনেক ক্লান্ত লাগছিলো। আবার আমার ঘুম যখন ভাঙে তখন ট্রেনটি যমুনা সেতু অতিক্রম করছিলো। যমুনা সেতু অতিক্রম করার সময় আমি জানালা দিয়ে বাইরের প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম। যমুনা নদীর অনেক অংশই বর্তমানে চর অবস্থায় রয়েছে। পুরো যমুনা সেতুর সৌন্দর্য এর সাথে প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে যমুনা সেতু অতিক্রম করি।

---

বিকেল ৩ টার সময় ট্রেনটি বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। আমি ও আম্মু বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নামি কারণ এখান থেকে নতুনবাজার সায়েদনগর তুলনামূলক কাছেই। আমি ও আম্মু ট্রেন থেকে নেমে একটি সিএনজি নিয়ে সায়েদনগর এ যাই। কালকে যেহেতু বাসা চেঞ্জ করতে হবে তাই আগে নতুনবাসাতেই যাই সেখানে আগে থেকেই ভাইয়া নারায়ণগঞ্জ থেকে তার যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিলো। সেগুলো গোছ-গাছ করতে করতেই আমি আমার আগের বাসা থেকে আমার যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে নতুন বাসায় চলে এসে বাসা গোছাগুছির কাজ করতে থাকি।

---

আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাজেজ।

---