হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। বাংলাদেশের নামকরা কলেজ গুলোর মধ্যে আনন্দমোহন অন্যতম। আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহে অবস্থিত। আমার যেহেতু ময়মনসিংহ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে তাই আমি আনন্দমোহন কলেজ ও ঘুরে এসেছি। বাংলাদেশের টপ দশটি ন্যাশনাল কলেজ এর মধ্যে আনন্দমোহন অন্যতম। আজ আমি আপনাদের মাঝে আনন্দমোহন কলেজ যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার জন্য বেশ কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ শহরে গিয়েছিলাম। ময়মনসিংহের নাম করা কলেজ হল আনন্দমোহন কলেজ। ময়মনসিংহে আমি যার বাসে উঠেছিলাম তার বাসা থেকে আনন্দমোহন কলেজ যেতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগে। আমরা সারাদিন ঘুরাঘুরি করে রাতের বেলা হাঁটতে হাঁটতে আনন্দমোহন কলেজ দেখতে যাই। ময়মনসিংহের রাতের রাস্তার পরিবেশ অনেক বেশি সুন্দর।
হাঁটতে হাঁটতে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমরা আনন্দমোহন কলেজ পৌঁছে যাই। কলেজটি বাইরে থেকে দেখতেই অনেক সুন্দর লাগছিল। কলেজটির পুরো নাম হলো আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। আনন্দমোহন কলেজের গেইটে একটি সুন্দর কথা লেখা ছিল লেখাটি হল, " জ্ঞানকে শক্তিতে রূপান্তর করার রাজ্যে সু স্বাগত "। লেখাটি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আনন্দমোহন কলেজটি অনেক বেশি সুন্দর। রাতের বেলা আমরা আনন্দমোহন কলেজের ভেতরে প্রবেশ করি।
কলেজের ভিতরে ঢুকে এক পাশ দিয়ে কলেজটি ঘুরে দেখতে থাকি। কলেজের ভেতরে এত সুন্দর লাইটিং ছিল যেন মনে হচ্ছিল না যে রাত অর্থাৎ রাতের বেলা দিনের মত লাইটিং ছিল এখানে। আনন্দমোহন কলেজের ভেতরের রাস্তাগুলো অনেক সুন্দর। আমরা কলেজে ঢুকে ডান দিক থেকে কলেজটি ঘুরে দেখতে থাকি। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কলেজের ভেতরে সুন্দর রাস্তা গুলো ও চমৎকার লাইটিং।
কলেজের ভিতরে একটি ফটোক রয়েছে যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ভাষণের দুটি লাইন লেখা ছিল। এখানে আরো তিনটি ফটোক ছিল প্রথমটি ছিল সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দ্বিতীয়টি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং সর্বশেষ ফটোকটি ছিল আনন্দমোহন বসুর। ফটোকগুলো দেখে এগুলো ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এরপর আনন্দমোহন কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগটি ঘুরে আসি। এখানকার বিল্ডিংগুলো অনেকটা কার্জন হলের মতো। রাতের পরিবেশ এখানে অনেক বেশি সুন্দর।
আনন্দমোহন কলেজের ভেতরে অনেক সুন্দর একটি শহীদ মিনার রয়েছে। এই শহীদ মিনারটি অনেক বেশি সুন্দর ছিলো। চারপাশে সবুজ ঘাস ও গাছের মাঝে ছিলো এই শহীদ মিনারটি যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো। আনন্দমোহন কলেজে একটি বড় পুকুর ও রয়েছে। আমরা রাতের বেলা পুকুরের পারে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। রাতের বেলা পুকুর পারের শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তুলছিলো। এই জায়গাটি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আনন্দমোহনের পুকুরের পাড় আসলেই মনে প্রশান্তি এনে দিয়েছিল।
আজকের মতো এখানেই। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।