হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে ঢাকা থেকে নীলফামারী ট্রেন ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি গত ২৩ তারিখ নীলফামারী থেকে ঢাকায় এসেছি। আমার সেমিস্টার ফাইনাল থাকার কারণে আমি বেশ কিছুদিন আপনাদের মাঝে পোস্ট করতে পারিনি। গত ২২ তারিখ আমার সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হয়, আমি ২৩ তারিখের ট্রেনের টিকিট আগেই কেটে দেখেছিলাম। ২২ তারিখ পরীক্ষা শেষ করে বাসায় এসে আমি আগে ব্যাগ গুছাই। আমার ট্রেন ছিল ২৩ তারিখ বিকেল পাঁচটায়। আমি পরের দিন দুপুরের খাওয়া করে বিকেল ৩'৩০ এর বাসা থেকে বের হই। আমি নতুন বাজারের সায়েদনগরে থাকি। এখান থেকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন কাছে হলেও যমুনা ফিউচার পার্ক এর সামনে জ্যামের কারণে অনেক সময় লেগে যায়। এই জ্যামের কারণে বাসা থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়েছিলাম। সায়েদ নগর থেকে একটি রিক্সা নিয়ে নতুন বাজারে যাই। এরপর নতুন বাজার থেকে একটি বাসে করে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কিন্তু যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাস্তার কাজ চলছে তাই অনেক জ্যাম ছিল। যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে অনেকক্ষণ জ্যামে বাস দাড়িয়ে ছিলো।
সমস্ত জ্যাম পেরিয়ে আমি বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে ৪'৪০ এ পৌঁছাই। আমার ট্রেন ছিল বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ৫'২০ এ। আমি প্ল্যাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। আমি যে ট্রেনে নীলফামারী আসবো সেই ট্রেনটির নাম ছিল চিলাহাটি এক্সপ্রেস। চিলাটিট এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসার আগে আরো কয়েকটি ট্রেন প্ল্যাটফর্মটি অতিক্রম করে। চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি একদম জাস্ট টাইমে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে আসে৷ আমার সিট ছিলো ট বগিতে। ট্রেন আসার পর আমি আমার বগিতে যেয়ে আমার আসন গ্রহণ করি এবং কিছুক্ষণ পরেই ট্রেনটি বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ট্রেনে উঠে আমি কিছুক্ষণ ট্রেনের জার্নি উপভোগ করতে থাকি। পেনে ভ্রমণ আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ট্রেনের জানালা দিয়া আমি বাইরের প্রকৃতি দেখতে থাকি। ট্রেনে বিক্রি করতে আসা বিভিন্ন ধরনের মাখা খাই। এরপর কিছুক্ষণ পরে আমি ট্রেনে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ি। ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে যেতে বেশ অনেকগুলো স্টেশন পার করতে হয়। এরপর রাত ১২ টায় আমি নাটোর রেলওয়ে স্টেশন পৌছাই। নাটোর রেলওয়ে স্টেশন হল ঢাকা ও নীলফামারের মধ্যবর্তী একটি স্টেশন। আমি ট্রেনে বিক্রি করতে আসা এক প্যাকেট খিচুড়ি নিয়ে রাতের খাবার খাই ও ট্রেনের জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে নিজের গন্তব্যের দিকে যেতে থাকি।
ট্রেনটি পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার পরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে তার ওপর ক্রসিং তো আছেই। পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিন চেঞ্জ করা হয়। পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন এ প্রায় এক ঘণ্টার মতো ট্রেনটি অপেক্ষা করে। পার্বতী স্টেশনের পরে সৈয়দপুর স্টেশন এরপর নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন। আমি প্রায় রাত ৪ টার পরে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে নামি। নিজের শহরের নিশ্বাস এই যেন অন্য একরকম শান্তি। এতক্ষণ জার্নি করে যখন নীজ শহরে পা রাখলাম তখনই অনেক ভালো লাগছিল। এরপর একটি রিক্সা করে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাসায় ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ে দেখার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ঢাকা থেকে নীলফামারী ট্রেন জার্নির বিষয়। যাইহোক সেমিস্টার ফাইনাল থাকায় আপনি পোস্ট করতে পারেননি এটা বড় বিষয় নয়, এখন থেকে নিয়মিত হবেন প্রত্যাশা করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit