হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। গতকাল আমি আপনাদের মাঝে আমার নববর্ষ উদযাপন এর কিছু সময় আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার নববর্ষ উদযাপন এর পরবর্তী অংশ শেয়ার করে নেব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
গতকাল আমি আপনাদের মাঝে আমার সকাল থেকে দুপুরের সময়টা শেয়ার করে নিয়েছিলাম। দুপুরে বাসায় ফেরার পরে গোসল করে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে নেই। এরপর দুপুরবেলা একটু ঘুমিয়ে নেই। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হই। এরই মধ্যে আমার সকল বন্ধুরা আমাকে কল করছিলো বাইরে বের হওয়ার জন্য। পহেলা বৈশাখের পরে যেহেতু সবার ঈদের ছুটি শেষ তাই বন্ধুরা মিলে সবাই একসাথে বের হওয়ার প্লান করি।
কিছুক্ষণ পরেই আমরা সবাই বের হয়ে যাই। নীলফামারী পৌর মার্কেটে আমরা সকল বন্ধুরা একত্রে হই। এরপর নীলফামারীর পৌর মার্কেটে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। যখন সব বন্ধুরা চলে আসে তখন আমরা তিনটি রিক্সা নিয়ে নীলফামারী সাইফুনেরর উদ্দেশ্যে রওনা দেই। নীলফামারির সাইফুন অনেক জনপ্রিয়। নীলফামারী সাইফুন জায়গাটি অনেক সুন্দর, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার মনকে মুগ্ধ করে তোলে। সাইফোনের রাস্তার একপাশে ক্যানেল ও রাস্তা দুই ধারে গাছগুলো এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটি আরো অনেক বাড়িয়ে তোলে। আমরা সব বন্ধুরা তাই ঠিক করি সবাই মিলে সাইফন থেকে ঘুরে আসি তাই সব বন্ধুরা মিলে রিক্সা করে সাইফুনে যাই।
এরপর সাইফুনে বন্ধুরা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। এরকম প্রকৃতিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভালোই লাগে। আমরা বন্ধুরা মিলে সাইফুনের রাস্তায় হাটতে হাটতে গল্প করি। আমাদের সাইফুনে বেশ কয়েকটি ব্রীজ রয়েছে। আমরা হাটতে হাটতে একটি ব্রীজে গিয়ে বসি। তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হচ্ছিলো এমন সময়ে সাইফুন ব্রিজের ক্যালেন এর উপর বন্ধুদের সাথে আড্ডা এরপর পরিবেশের শীতল বাতাস সবমিলিয়ে বন্ধুরা মিলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম।
এরপর যখন সন্ধ্যে নেমে আসে তখন আমরা সবাই সাইফুন থেকে নীলফামারী বড় মাঠ ফিরে আসি। এরপর নীলফামারী বড় মাঠে এসে আমরা বন্ধুরা মিলে গোল হয়ে বসে আড্ডা দেই। নীলফামারী বড় মাঠের সাথেই নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থিত। নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা সব বন্ধুরা মিলে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দেখতে। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি তিন দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে। আর পহেলা বৈশাখের দিন এটি প্রথম দিন ছিলো।
আমাদের মত অনেকেই এসেছিল এই বর্ষবরণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে। নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষ দিয়ে ভরে গিয়েছিল এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। অনুষ্ঠানটিতে বেশ কিছু দেশাত্মবোধক গান, নববর্ষের গান ও এই যুগের কিছু গান পরিবেশন করা হয়। দর্শক রাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অনেক বেশি উপভোগ করছিল। বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অনেক চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছিল এবং শহীদ মিনারের স্টেজ টিও বেস্ট জাকজমকপূর্ণভাবে সাজানো হয়েছে। পুরো শহীদ মিনারের লাইটিং অসাধারণ ছিল। সব মিলিয়ে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ছিল উপভোগ করার মতো।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শেষ হলে আমরা সবাই নিজের বাসায় ফিরে আসি। আজকের মত এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটু ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit