হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। দুইভাগে প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবেন। তারপর এদিকে রুমানার আস্তে আস্তে তার ভালোবাসার লোকের সাথে যোগাযোগ করতেছে কথাবার্তা হচ্ছে। এবং তার ভালোবাসার লোকটি তার জীবনে আবার যখন আসলো আস্তে আস্তে রুমানার মাথাও নষ্ট হচ্ছে সংসারও নষ্ট হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারটি রুমানার হাজব্যান্ড বুঝতে পারে নাই। এবং রুমানার হাজবেন্ড বিদেশ থেকে ফোন দিলে রুমানা ব্যস্ত দেখাতেন। এবং হাজবেন্ডের সাথে কথা বলতেন না। এবং অন্য সময় সারাক্ষণ তার বিয়ের আগের ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা বলতেন। অনেকে ধারণা করত হয়তোবা তার স্বামীর সাথে কথা বলতেছে। বা কেউ তাকে সন্দেহ করতে পারছে না। কারণ স্বামী বিদেশ থাকে তার কাছে ফোন দেয় সারাক্ষণ।
একদিন রুমানার স্বামী এই কথাগুলো তার মা ও শাশুড়িকে বলেন। কারণ রুমানা স্বামীর সাথে একদম কথা বলে না। এ কথা যখন মা এবং শাশুড়িকে বললেন তারা বলতেছে সারাক্ষণ তোমার সাথে কথা বলে। এবং রুমানা হাসবেন্ড বলতেছে আমি যখন ফোন দিই সারাক্ষণ সে ব্যস্ত দেখায়। তার সময় হয়না কথা বলার জন্য। এই কথা শোনার পর তাদের মনে একটা চিন্তা আসলো। রুমানা সারাক্ষণ কার সাথে কথা বলে। এবং তার সুখের সংসারে কার সাথে কথা বলা অশান্তি করতেছে। হঠাৎ করে আস্তে আস্তে জানতে পারে সেই তার আগের ভালোবাসার মানুষের সাথে যোগাযোগ করতেছে। কারণ সেই ভালোবাসার মানুষকে ভুলতে পারছে না।
এদিকে আস্তে আস্তে রুমানার মেয়ের বয়স দুই বছর পার হয়ে গেল। একটা সময় রুমানা মেয়েটিকে রেখে তার ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে গেলেন। মেয়েটিকে তার দাদুর কাছে রেখে সেই নিষ্ঠুর এই চিন্তা করে বাড়ি থেকে বাইর হলেন। যখন রুমানা বাড়িতে আসতেছে না তখন রুমানা দের বাড়িতে কল করলেন তার শ্বশুরবাড়ি লোকগুলো। তখন রুমানার মা বলতেছে তাদের বাড়িতে আসে নাই। এই কথা শোনার পর তারা ধারণা করলো তার ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে গেলেন। এবং পরে জানাজানি হল রুমানা তার ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে গেলেন। এইভাবে রুমানা তার স্বামীর সংসার ভেঙে ভালোবাসার সংসারে চলে গেলেন।
এবং রুমানা তার ভালোবাসার সাথে যাওয়ার সময় টাকা পয়সা ও স্বর্ণ নিয়ে গেলেন। বিগত এক বছর পর্যন্ত সে তার ভালোবাসার মানুষের সাথে সংসার করতেছে। এদিকে রুমানার আগের স্বামী বিদেশ থেকে এসে নতুন করে বিয়ে করলেন। কারণ তার ঘরে একটি মেয়ে আছে এবং ফ্যামিলি দেখার জন্য রুমানার আগের স্বামী বিয়ে করেছেন। বিগত কিছুদিন আগে রুমানার ভালবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে গেলেন। একদিকে অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং আবেগের কারণে তার স্বামীর সংসার নষ্ট করেছেন ।এবং ভালোবাসার মানুষের সংসারও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন রুমানা দুই দিক নষ্ট করার পর পাগলের মত হয়ে গেল।
এবং অনেকে বলতেছে রুমানা আগে স্বামীর টাকা নিয়ে গেলেন। তা যতদিন তার পরের স্বামীকে দিয়েছেন ততদিন তার সংসার সুখেই ছিল। এখন রুমানার হাতে টাকা নেই তার ভালোবাসার মানুষটিও নেই। একদিকে রুমানা সংসার হারিয়ে পাগল হয়ে গেল। এবং যে আগের স্বামীর কাছে মোবাইলে কল করে মাপ চাচ্ছে। অথচ তার আগের স্বামীর তার কথা শুনতে রাজি না। একটা সময় তার স্বামীটি কথা বলার জন্য পাগল ছিল। আর রুমানা আগের হাজবেন্ডের সংসার নষ্ট করেছে শুধুমাত্র তার আবেগের কারণে। হয়তোবা ভালোবাসার মানুষের কাছে টাকা না থাকলেও সুখে থাকবে ভালোবাসা দিয়ে। এখন দেখা যাচ্ছে টাকা নেই ভালোবাসা নেই।
একদিকে স্বামীর সংসার হারালো অন্যদিকে মা বাবার কাছেও ছোট হলো। এখন বাড়ির লোক গুলো রুমানা কে দেখলে বাজে ভাবে কথা বলে আঘাত করে। এবং রুমানার আগের সংসারের মেয়েটি তার বাবার কাছে। এবং ওই মেয়েটিকে নিয়ে রুমানা চাই থাকতে। কিন্তু মেয়েটির বাবা আর তার মেয়েকে রুমানা কে দেবে না। এখন রুমানা শুধু বসে বসে আফসোস করে। মনের কষ্টগুলো কাউকে বলতেও পারে না। এবং রুমানার ভালোবাসা ও আবেগ তার সংসার জীবন নষ্ট করেছেন। আমি মনে করি অতিরিক্ত কিছু করা বা দেখানো ভালো না। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1882399081642987706?t=-XKY8L9XXfqCGjXhjU_Dpw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অতিরিক্ত আবেগ আসলে কখনো সুখকর নয়। খুব সুন্দর একটি সংসার বাদ দিয়ে রুমানা অন্য একজনের কাছে চলে গেলেন। এটা এক ধরনের বোকামি। এখানে আসলে আমি আবেগ বলে কিছু খুঁজে পাই না। পরবর্তীতে যখন সেই প্রেমিক ছেড়ে চলে গেল বেশ ভালো একটি কাজ হল। এখন সেই তার ভুলের মাশুল দিবে সারা জীবন। অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন শিক্ষনীয় গল্প যা পড়ে সবার উপকার হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আবেগ যত বেশি কম করা যায় তাহলে ভালো মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে অতিরিক্ত আবেগ কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। রুমানা অন্য একজনের কাছে চলে গেলেন এই বিষয়টা সত্যি খুব ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আসলে এমন ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায় ঘটে করে থাকে। মানুষের কিছু কিছু ভুল সিদ্ধান্ত কারণে সারা জীবন কষ্ট করতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে অতিরিক্ত ভালোবাসা আবেগ কখনো সুখের হয় না গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এরকম একটি গল্প সব সময় আবেগময় হয়ে থাকে যাইহোক ভালো লাগলো দেখে খুশি হলাম ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি মনে করি বিয়ের পরে স্বামী ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বলা ঠিক না। তবে রুমানা ভুল করলো। তবে বিয়ের পর সেই তার মেয়েকে রেখে ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। আর অতিরিক্ত আবেগের কারণে মানুষ সারা জীবন কষ্ট করে। যেমন রুমানার ক্ষেত্রে ঘটলো। আর আমি মনে করি রুমানার সাথে জেটি ঘটেছে সেটি তার কর্মের ফল। খুব সুন্দর করে গল্পের শেষ পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরবর্তী এরকম গল্প আপনাদের মাঝে আরো শেয়ার করার চেষ্টা করব উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit