গল্প :- ভালোবাসার মানুষকে ভুলে যাওয়াটা এত সহজ না (শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  last month 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


heart-8173525_1280.jpg

মধ্যে এই পর্যায়ে প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকের পরের পর্ব নিয়ে আবার হাজির হলাম। তারপর অরিনার মা বাড়িতে নিয়ে এসে মেয়েকে অনেক মারধর করলো। বলতেছে তোর বড় বোন এখনো বিয়ে হয় নাই তুমি কেন এই সিদ্ধান্ত নিলে। মেয়েটিকে অনেক মারদোর এবং কষ্ট দিয়ে বলতেছে এই ছেলেকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য। অরিন কোনমতে রাজি না এই ছেলেকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য। অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে শুনে সেই বিশ্বাস করতে পারে না। কারণ অষ্টম শ্রেণীর মেয়ে কিভাবে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন। এদিকে মেয়েটির বাবা বিদেশ থেকে চলে আসলেন ছেলে মেয়ের এসব কথা শুনে। এক পর্যায়ে মেয়েটির বাবা মেয়ের কাছে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর ছেলেটিকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

যদিও ছেলেটি এলাকার এবং বেকার একজন মানুষ। তারপর অরিন তার ভালোবাসার মানুষ এবং তার স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন তার বাবার কতমতে। এদিকে ছেলেটি অরিনের জন্য একদম পাগল হয়ে গেলাম । কারন ছেলেটি মেয়েকে ছাড়া কিছুই ভাবছেন না। যদিও ছেলেটি অনেকবার মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। কারণ ছেলেটির কাছে মেয়ের মা গিয়ে বলল তাদের বিয়ে মেনে নেবে। এই কারণে ছেলেটি তার মায়ের কথা বিশ্বাস করলেন। যদিও অরিনের পিছনে মাদ্রাসার আরো কিছু ছেলে এবং বাইরের ছেলে ঘুরাফেরা করে। এরপর অরিনকে অনেকদিন তার আন্টির ভাষা রাখলেন তার মা।

কিছুদিন আগে সিদ্দিক ভাই আবার বিদেশ চলে গেলেন ছুটি কাটিয়ে। তখন সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল। এবং সিদ্দিক ভাইয়ের ওয়াইফ চাইলেন তার মেয়ে লেখাপড়া যেন করে। এই কারণে মেয়েকে আবারো স্কুলে পাঠালেন লেখাপড়া করার জন্য। কারণ সব মায়েরা চাই ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করুক। মেয়েটি ও স্বাভাবিকভাবে স্কুলে যাচ্ছে এবং আসতেছে। এবং তার মা-ও মনে করল মেয়েটি ওই ছেলেকে ভুলে গেলেন। যদিও কিছুদিন মেয়েটির মা তার সাথে স্কুলে গেলেন।

কিছুদিন আগে পরীক্ষার সময় মেয়েটি স্কুলে নেই। কারণ তার আধাঘন্টা আগে তার মা স্কুলে এনে মেয়েটিকে দিয়ে গেলেন। আর কিছুক্ষণ পর মেয়েটিকে আর স্কুলে পাওয়া যাচ্ছে না। তাড়াতাড়ি শিক্ষক ও ছাত্র সবাই মেয়েকে খুঁজতে লাগলো। না দেখার পর মেয়ের মায়ের কাছে ফোন দিলেন। বলতেছে আপনার মেয়ে অরিন স্কুলে নেই। যদিও স্কুলটি মেয়েদের বাড়ির একদম পাশে। এবং অরিনের মা খুব তাড়াতাড়ি স্কুলে আসলেন মেয়েদের কথা শুনে। সত্যি মায়ের মন অরিনের জন্য ওখানে বেহুঁশ হয়ে গেলেন। বলতেছে আমার মেয়ে কোথায় গেল। আমি তার বাবার কাছে কি জবাব দিব।

কারণ এর আগে অরিনের বাবা সব সময় অরিনের মাকে দোষারোপ করতেন। তবে কিছুদিন খোঁজাখুঁজির পর এখন মেয়েটির খবর পাওয়া গেল। যেই ছেলেকে সেই ভালবেসে বিয়ে করেছে এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ওই ছেলেটির সাথে আবার পালিয়ে গেলেন। সত্যি অরিন তার ভালোবাসার মানুষকে ভুলতে পারে নাই। আর অরিনের মা মেয়ের জন্য এখন একদম পাগল হয়ে গেল। একদিকে মানুষের কাছে ছোট হলেন অন্যদিকে মেয়েটি দুইবার পালিয়ে গেলেন। এভাবে ভালবাসলেও কখনো কখনো নিজের ফ্যামিলির কথা চিন্তা করা উচিত। আমার মতে ফ্যামিলিকে মানিয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলে সেটাই সঠিক হয়। যাই হোক আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

vM1pGHgNcyCXUWJECrZbvn1NMPj1oFGUo3gYfF3NNPRD9afLG4fDag9iUtPxWq5WJe1zoTpn7v2rAF2ixeoj6rWF7PZoCQyfBs51t3zarhLtxqJ4NSYKV57H8gXJVcnHKx4kKPU.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমার মনে হয় প্রত্যেকটা সন্তানের উচিত তাদের মা-বাবার সম্মানের কথা চিন্তা করা। ভালোবাসার মানুষকে সহজে ভোলা যায় না এটা সত্যি। তাই বলে বাবা মার সম্মানহানি করাও উচিত নয়। বাবা মাকে মা দিয়ে নিয়েই ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করা উচিত। আপনার গল্পটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। একদম বাস্তবধর্মী একটা গল্প বলেছেন।

গল্প আমার কাছে কিন্তু লিখতে অনেক ভালো লাগে আপনাদের মন্তব্য গুলো পড়ে আরো বেশি খুশি হই

আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। আসলে ভালোবাসার মানুষকে এত সহজে ভুলা যায় না। তবে আমার মনে হয় অরিন ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করেছেন চুরি করে তাকে ডিভোর্স না দেওয়াটা উত্তম ছিল। কিন্তু লাস্ট পর্যন্ত সে আবার স্কুল থেকে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে পালিয়ে চলে গেলেন। আর ছেলে মেয়েরা মা বাবার সম্মানের কথা ভাবা দরকার। যাই হোক গল্পের শেষ পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

আজকের পর্বটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম পরবর্তীতে অন্য কিছু নিয়ে হাজির হব

ভালোবাসা ব‍্যাপার টা একেবারেই আলাদা। অরিন এবং ঐ ছেলেটা যেটা করেছে অনেক টা আবেগের বশবর্তী হয়ে। হ‍্যা তাদের মধ্যে অবশ‍্যই ভালোবাসা আছে। তবে চাইলেই তারা আরও ভালো সমাধান বের করতে পারত। ভালোবাসার মানুষ কে ভুলে যাওয়া শুধু কঠিনই না রীতিমতো অসম্ভব।

ঠিক বলেছেন ভালোবাসাটা আসলেই আলাদা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম