লাইফ স্টাইল :- নাশিয়ার জন্মদিনে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত

in hive-129948 •  10 hours ago 

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। তার মধ্যে নিজেদের কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। দুদিন আগে নাশিয়ার জন্মদিনে স্টেজ সাজানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আজকে আবারো কেক কাটার সুন্দর কিছু মুহূর্ত নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের ভালো লাগবে।

CollageMaker_20249301939635.jpg

কিছুদিন আগে আমি নাশিয়ার জন্মদিনের স্টেজ সাজানোর একটি মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আপনারা সবাই হয়তো বা আমার সেই পোস্টটি দেখেছেন। অনেকেই ভালো ভালো মন্তব্য করেছেন আপনাদের মন্তব্য গুলো পেয়ে আজকে আবারো কেক কাটার সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। ঐদিন অনেক কষ্ট করে সবাই মিলে স্টেজ টা সাজিয়েছিলাম। আপনারা অনেকেই জানেন ঐদিন আমাদের অনেক কষ্ট করে বেলুন ফুলিয়ে স্টেজ সাজাতে হয়েছিল। যাই হোক তারপর সবাই মিলে নিজেদের মতো করে সুন্দর করে রেডি হয়ে স্টেজে চলে আসলাম।

IMG_20240909_215809.jpg

IMG-20240911-WA0002.jpg

IMG-20240925-WA0005.jpg

কিন্তু এবারে ঘরোয়া ভাবে নাশিয়ার জন্মদিন পালন করার কারণে আমরা তেমন কোন ছবি তুলিনি। কিন্তু ছোটদের কিছু ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। প্রথমে তো আমরা একপাশে সবাই বসে পড়লাম। তারপর নাশিয়া খুব সুন্দরভাবে নিজের জন্মদিনের কেক কেটে অনেক খুশি হল। কারণ ছোটরা এমনিতেও যেকোন জিনিস দেখলে ভীষণ খুশি হয়। তাছাড়া নাশিয়া কেক কাটতে অনেক পছন্দ করে। আমাদের অন্যান্য পার্টির মধ্যে কেক আনা হলেও নাশিয়া সেই কেকগুলো কাটার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ দেখাতো। কারণ সবার আগে ও কেক কেটে ফেলত। আমরা সবাই জানি নাশিয়া কেক কাটতে অনেক পছন্দ করে। নিজের জন্মদিনের কেক সবার আগে নিজে কেটে অনেক বেশি হাসতে শুরু করল।

IMG-20240925-WA0002.jpg

IMG-20240911-WA0003.jpg

IMG-20240925-WA0004.jpg

যাই হোক সব মিলিয়ে কেক কাটা হয়ে গিয়েছে। তারপর এক এক করে সবাইকে কেক খাওয়াতে শুরু করল। সবাইকে কেক খাওয়ানোর পরে নাশিয়ার সবাইকে জোরে জোরে বলতে লাগলো আমাকে গিফট দাও সবাই। তারপর আমি দুষ্টামি করে নাশিয়া কে বললাম আমি তার জন্য গিফট নিয়ে আসিনি। এটা শুনে নাশিয়া তোর রীতিমতো কান্না করতে শুরু করল। তারপর আমি নাশিয়া কে বললাম তুমি চোখ বন্ধ করো তাহলে তোমাকে আমি সুন্দর একটি গিফট দেবো। এটা শুনে নাশিয়া তো অনেক খুশি হয়ে গেল। তৎক্ষণাৎ চোখ বন্ধ করে বলল আমাকে গিফট দাও।তারপর আমি রাশিয়াকে বড় বড় দুটি চকলেট দিয়েছিলাম।

IMG-20240911-WA0003.jpg

IMG-20240925-WA0003.jpg

IMG-20240911-WA0001.jpg

তারপর নাশিয়া এত চকলেট দুটি দেখে অনেক খুশি হয়ে গেল। আসলে এবারে আমার মেয়ে একটু অসুস্থ থাকার কারণে আমি নাশিয়ার জন্য কোন গিফট কিনতে যেতে পারলাম না। তার মধ্যে মা ও অসুস্থ ছিল সবমিলিয়ে গিফট কিনতে যাওয়া হয়নি এই আর কি। কিন্তু আমি নাশিয়ার মামাকে নাশিয়ার জন্য দোকান থেকে দুটি চকলেট কিনে নিয়ে আসতে বললাম যাতে অন্তত নাশিয়াকে দিতে পারি। যাতে নাচিয়া খুশি হয়। তেমনি নাশিয়া চকলেট দুটি পেয়ে অনেক খুশি হয়ে গেল। কিন্তু আমি নাশিয়ার মাকে নাশিয়ার জন্য কিছু কিনে নেওয়ার জন্য ২০০০ টাকা দিয়েছিলাম। যাতে নাশিয়ার জন্য পছন্দমত একটি সুন্দর জামা কিনতে পারেন।

IMG-20240911-WA0006.jpg

IMG-20240911-WA0016.jpg

IMG-20240911-WA0014.jpg

এভাবেই নাশিয়া সবার কাছ থেকে অনেক গিফট পেয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি গিফট একটাও ছবি তুলতে পারলাম না। আসলে সবকিছু মিলিয়ে ব্যস্ততার কারণে ছবি তোলা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু নাসিয়া এবার অনেক গিফট পেয়েছিল সবার কাছ থেকে। যাই হোক গিফট নেওয়ার পরে সবাই মিলে একসাথে বিরিয়ানি খেতে চলে গেলাম। এভাবেই সবকিছু মিলিয়ে নাশিয়ার জন্মদিন টা খুব সুন্দর ভালই কাটিয়েছিলাম। এভাবেই দেখতে দেখতে নাশিয়ার আরো একটি বছর হয়ে গেল। দোয়া করি যাতে নাশিয়া যেন এভাবেই বড় হয়। আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।

IMG-20240911-WA0013.jpg

IMG-20240911-WA0012.jpg

IMG-20240911-WA0004.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

20240928_150006.jpg

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnztsmhqXECFWhnYScssX21XdqSgM3oVAxxx35K4bsUQXRKwwCsw9GRePhwFW6wnPkumnwFzjxJ7cZ8QEN9.gif

3CQ5eBKFPEFNa39hevVYBjMk22F7hc9Vsydt2d7L2Mik9X6X5XDn6V5u2tLTr2dsMToGQfqzwYnDY8ogMD1htpsF3Bhcw5D1snEdgouXXU...EdfC3cnJjiwoiED41MnfuaY3XG1GZpVKEMxqV4Pe62gKJajxegr24um7Pgt12dtrpruNjRSR8CxcfGJEVoj9NrjHVsRJcEDqbWSTmQgTnzazBu79LCFMVgcc2.webp

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে খুব আনন্দঘন মুহূর্ত সময় পার করেছেন। বেশ দারুণভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। এইজন্য খুবই ভালো লাগলো আমার সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। যেন দেখতে দেখতে মনে হলো আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম সেখানে। আশা করি অনেক অনেক আনন্দে পার করেছেন।

ছোট্ট নাশিয়ার জন্মদিনের মুহূর্তগুলি ভীষণ ভালো লাগলো। তাকে এই শুভ দিনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা পাঠিয়ে দিলাম। অনেক বড় হয়ে উঠুক সে। একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে উঠুক। ছবিগুলি ভীষণ সুন্দরভাবে তুলেছেন। শুভ জন্মদিনে তার বিভিন্ন ধরনের ছবি ধরা পড়েছে ছবিগুলিতে। ভীষণ উজ্জ্বল একটি দিনের ব্যাখ্যা উঠে এলো এই পোষ্টের মাধ্যমে।