হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বিয়ের উকিলের বিপদের কাহিনী। আমার শ্বশুর বাড়িতে একটি লোক আছে বিয়ের উকিলের কাজ করে। মূলত ঘটকের বলতে যারা বিয়ের জন্য দুই পক্ষের কথা বলে বিয়ে ঠিক করে। তবে আমরা আমাদের এদিকে বিয়ের ঘটক বলি। আবার অনেকে বিয়ের উকিল ও বলে। লোকটির নাম হচ্ছে আফসার। এবং তিনি অনেক বছর যাবত বিয়ের ওকালতি করে। তবে যারা বিয়ের উকিল তারা অনেক মিথ্যা কথা বলে। হাছা এবং মিছা দুটো তাদের কাছে সমান। ছেলের পক্ষ কে এক কথা বলে মেয়ের পক্ষকে অন্য কথা বলে। বিগত কয় মাস আগে দূরে একটি মেয়ের জন্য পাত্র দেখল সে। তবে সেই দুটি ছেলেকে একই দিন আসার জন্য বলেছে। মূলত ছেলে দুইটি মেয়েটিকে দেখবে বিয়ের জন্য। এখন একসাথে দুটি ছেলে যাওয়া কেমন জানি হয়।
এই কারণে উকিল আফসার বলেছেন একজন পাত্র বলবে। আরেকজন বলবে পাত্রের খালাতো ভাই। এরপর দুইটি ছেলেকে একইদিন বিকেল বেলা সেই একসাথে নিয়ে গেলে মেয়েদের বাড়িতে। এবং ছেলে দুইজন মেয়েটিকে দেখলেন। এবং মেয়ের ফ্যামিলি ও ছেলে টিকে দেখলো। তারপর তারা ওইখানে থেকে চলে আসলো। মজার ব্যাপার হলো ছেলে দুইটি মেয়েটিকে পছন্দ করেছে। এবং ছেলের দুটির মেয়েটিকে খুব ভালো লাগলো। এবং বলতেছি এই মেয়েকে তারা বিয়ে করবে। এই সুযোগে আফসার ভাই বলতেছে যে বেশি টাকা দিবে তাকে মেয়েটিকে সে বিয়ে করিয়ে দিবে। যদিও বিয়ের উকিলের কাজ করতে পারলে ভালোই টাকা পাওয়া যায়। এরপর ছেলে দুইজন বলেছে টাকা সমস্যা নাই পছন্দ করেছে বিয়ে করবে।
এবং আফসার ভাই ছেলে দুইজন থেকে টাকা নিলেন প্রথমে কিছু। এরপর বলতেছে আমি ব্যাপারটি দেখতেছি। এদিকে মেয়েদের ফ্যামিলি যেটি পাত্র হিসেবে গেল তাকে পছন্দ করেছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য। আর যে ছেলেটি খালাতো ভাই হিসাবে পরিচিত দিয়ে গিয়েছে। সেই ছেলে আফসার ভাইকে বলেছে আমি প্রয়োজনে আপনাকে ডাবল টাকা দেব আপনি আমাকে বিয়ে ওইখানে ওই মেয়েকে করান। কিছুদিন পর আফসার ভাই মেয়ের বাবাকে বলেছে ছেলের সাথে যে ছেলেটি আসলো এটিও পাত্র হিসেবে এখানে এসেছে। এবং সেই ছেলেটি আপনার মেয়েটিকে পছন্দ করেছে। এবং ছেলেটি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি আছে। এই কথা শুনে মেয়ের বাবা আফসার ভাইকে বাটপার চোর বলতেছে। এক ছেলে দেখি এখন অন্য ছেলের কথা বলতেছেন।
আপনার পছন্দের ছেলের কাছে আমার মেয়েই বিয়ে দেবো না। আপনি কখনো আমার মেয়ের জন্য পাত্র নিয়ে আসবেন না। কারণ আপনি এক ধরনের চিটিং লোক। এরপর আফসার ভাই অনেক চেষ্টা করলে মেয়ের বাবাকে বোঝানোর জন্য। তারপর বলতেছে প্রথম ছেলেটির কাছে মেয়েকে বিয়ে দেন কোন সমস্যা নেই। মেয়ের বাবা বলতেছে তার পছন্দের পাত্রের কাছে মেয়ে বিয়ে দিবে না। এদিকে আফসার ভাই অতিরিক্ত লোভ করার কারণে তার উকিলের মাধ্যমে আর বিয়ে হচ্ছে না। যদিও প্রথম অবস্থায় ছেলেদেরকে এই কথা বললেন না। একটু একটু করে কথা বলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এই কথা বলতেছে।
একদিন হঠাৎ করে বাজারে যাওয়ার পর ছেলে দুইটি ওই আফসার ভাইকে ধরে বসলেন। যদিও এর আগে ছেলে দুইজন একজনের সাথে একজনই মোবাইল ফোনে কথা বলেছে। এবং একজনের কথা একজন সব শেয়ার করেছেন। এবং বলতেছে আমার থেকে এত টাকা নিল এক একজনে বলেছেন। বাজারে যাওয়ার পর তাকে বেঁধে রেখে ছেলে দুইজন টাকাগুলো নিয়ে গেল। যদিও প্রথমে সে বলতেছে কথা বলতেছে বিয়ে হবে। তবে পাত্র দুইজন বলতেছে বাটপারের পছন্দের মেয়ে বিয়ে করবে না। তারপর বেঁধে রেখে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তাকে ওখান থেকে নিয়ে আসতে হলো পরিবারকে। এই কারণে বিয়ের উকিলের লোভের কারণে এর পরিস্থিতি হয়েছে। আর এখন বর্তমানে এলাকার লোকের কাছে সে হাসির পাত্র হয়ে গেল। সবাই দেখলে তাকে ইয়ার্কি মারে। আশাকরি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1866451547519107121?t=tP5Wchm0S29E4OpKfwFgGQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান যুগটাই চোর ব্যাটপারে ভরপুর। যে যেমন পারছে, যাকে পাচ্ছে ঠকাচ্ছে।অতিরিক্ত লোভ কখনই ভালো নাহ।লোকটার লোভের কারণে বিয়েটাও হলো নাহ আবার মানসম্মান হারালো। বাস্তবমুখী একটা গল্প তুলে ধরেছেন যেটা সচারাচর আমাদের সমাজে ঘটছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন বর্তমান যুগে এরকম মানুষ অনেক বেড়ে গিয়েছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিয়ের ঘটকেরা এমনই। তারা নিজেদের লাভের জন্য সবই করতে পারে। মিথ্যা কথাকে সেকেন্ডের মধ্যেই সত্যি বানিয়ে ফেলে। যাইহোক আফসার মিয়ার এমন পরিণতির জন্য সে নিজেই দায়ী। গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু কিছু আছে যারা নিজেদের জন্য অন্যের ক্ষতি করতে ও পিছুপা হয় না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আফাসার মিয়ার অতিরিক্ত লোভই তার এই পরিনতির জন্য দায়ী। আর ঘটকরা এমনই সত্য মিথ্যা বলে বিয়ে ঠিক করার চেস্টা করে। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটে । সেই সাথে নিজের সম্মানও হারায়। ধন্যবাদ বাস্তব ঘটনা তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এরকম বিয়ের উকিল অনেক আছে যারা অতিরিক্ত লোভ করে। আফসার ভাই অতিরিক্ত লোভ করেছেন এই কারণে বিপদে পড়েছেন। কারণ একটি মেয়েকে দুটো ছেলেকে একসাথে দেখানো তার উচিত হয় নাই। যেরকম টাকা নিতে চেয়েছিল ছেলেদের থেকে সেরকম বিপদ ও পড়লো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সাথে মন্তব্য পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit