হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব শেয়ার করলাম আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। তখন রিপন চিন্তা করল যেভাবে হোক তাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। তারপর রিপন ভালোভাবে লেখাপড়ার দিকে মন দিলেন। এদিকে জেসমিন ও তার স্বামীর সাথে সুখেই আছে। কারণ স্বামী ব্যবসা করে অনেক টাকা পয়সা। এদিকে রিপন ভালোভাবে লেখাপড়া করে গেজুয়েট কমপ্লিট করলেন। অন্যদিকে জেসমিন তার স্বামীর সাথে ভালোই সংসার করতেছে। এবং জেসমিনের করে একটি মেয়ে সন্তান হলেন। আর জেসমিন তার মেয়েকে নিয়ে অনেক সুখে আছে। হঠাৎ করে জেসমিনের সুখের সংসারে অন্ধকারে ছায়া এসে পড়লো।
জেসমিন সুখে থাকার ঘরে তার কপালে মনে হয় অন্ধকারে আলো এসে পড়েছে। কারণ জেসমিনের হাজব্যান্ড ব্যবসার খাতিরে অনেকের সাথে চলাফেরা। সেই সুবাদে জেসমিনের হাজবেন্ড তার একজন ব্যবসায়ীর বোনের সাথে সম্পর্ক হয়ে গেল। কখন সম্পর্ক হয়েছে এবং সে তাকে বিয়ে করেছে জেসমিন ও জানতেন না। এবং সেই ঘরে জেসমিনের স্বামীর একটা সন্তানও আছে। এই নিয়ে জেসমিন তার হাজবেন্ডের সাথে অনেক রাগান্বিত। বলতেছে ওই মহিলাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য। তখন জেসমিনের হাজবেন্ড বলতেছে সেই মহিলাকে ডিভোর্স দেবে না।
প্রয়োজনে আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব। কারণ আমি তাকে ভালোবেসে পছন্দ করে বিয়ে করেছি। আর তোমাকে আমার মা-বাবা বিয়ে করিয়েছে। এদিকে জেসমিনের স্বামী অন্য মেয়ে বিয়ে করেছে এটি পরিবারের এবং আত্মীয়-স্বজনের সবাই জেনে গেল। এবং জেসমিনের বাবা একদিন অনেক বড় করে একটা দরবার বসালেন। তখন বলতেছে জেসমিন সতীনের ঘরে খাওয়া দাওয়া করবে না। যদি জেসমিনের স্বামী তার দ্বিতীয় ওয়াইফকে ডিভোর্স না দেই তাহলে তাকে জেসমিনের বাবা নিয়ে যাবে। জেসমিনের হাসব্যান্ড টাকা পয়সা ওয়ালা লোক।
সেই বলতেছে ওই মহিলাকে সেই ডিভোর্স দেবে না। প্রয়োজনে সেই জেসমিনকে ডিভোর্স দিবে। এই বলে বিচারের মাধ্যমে সেই জেসমিনকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। এবং জেসমিনের হাসব্যান্ড টাকা পয়সা দিয়ে দিলেন এবং তার মেয়েকে নিয়ে গেলেন। এদিকে জেসমিন স্বামী হারা এবং মেয়ে হারা হয়ে বাবার বাড়িতে উঠলেন। এদিকে রিপন পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি পেলেন। যদিও এই সময় পর্যন্ত রিপন এখনো বিয়ে করে নাই। তখন জেসমিনের বাবা রিপনের বাবাকে বলতেছে যেন জেসমিনকে রিপনকে বিয়ে করায়।
তবে রিপনের বাবা মানা করে দিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের লোক দিয়ে কথা বলিয়ে রিপনের বাবাকে রাজি করালেন জেসমিনকে বিয়ে করানোর জন্য। তবে রিপন জেসমিনকে বিয়ে করতে রাজি না। কারণ জেসমিন রিপনের সাথে যেমন ব্যবহার করেছে রিপন সে কথাগুলো মনে রেখে দিয়েছে। এবং রিপন বলতেছে জেসমিনের মত মেয়ের সাথে প্রেম করা যায় তাকে বিয়ে করা যায় না। কারণ এই কথাটিই এক সময় জেসমিন রিপনকে বলেছে।
এতে করে বোঝা যায় যে কোন কিছু নিয়ে এত অহংকার করা ভালো না। এবং জেসমিন প্রেম করেছে রিপনের সাথে অথচ জেসমিনের জন্য রিপন মারধরও খেয়েছে। আর ওই সময় জেসমিন রিপনের জন্য একটু সহানুভূতিও দেখা নাই। এ কারণে রিপনের মনে অনেক কষ্ট ছিল। এরপর রিপন ভালো একটি ফ্যামিলিতে সে বিয়ে করেছে। আর জেসমিনের ছেলে মেয়ে থাকা একটি ফ্যামিলিতে তার বিয়ে হয়েছে। তবে পরের জেসমিন বুঝতে পারল ভালবাসার মানুষের সাথে সে অন্যায় করেছে এই কারণে তার কপালে এই হয়েছে। আশা করি আমার গল্পটি পড়ে আপনাকে অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1855941363675856967?t=XrN0X1dk-FCVMXZmeiJrKQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit