হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম আর আজকে দেখতে দেখতে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। যখন খোকন ভাই বিদেশ গেলেন তখন সে টাকা পয়সা ইনকাম করার পর সব তার ওয়াইফের কাছে দিতেন। কারণ সে তার ওয়াইফকে অনেক ভালবাসতেন। একদিকে ওয়াইফ অন্যদিকে তার ক্লাসমেট। আর ভালবাসার মানুষকে পাওয়া অনেকে মনে করে ভাগ্যের ব্যাপার। আর ভালোবাসার মানুষ এক সময় যে তার জন্য বিপদ সেটিও কেউ চিন্তা করে না। যখন খোকন ভাই বিদেশ থাকেন তখন সে চেষ্টা করে তার ওয়াইফকে সুখে রাখার জন্য। এদিকে তার ওয়াইফ আস্তে আস্তে বাড়ির এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুললেন। কারণ খোকন ভাইয়ের ওয়াইফকে তার চাচাতো ভাই আগে নাকি পছন্দ করতেন। ওই সময় নাকি তার চাচাতো ভাইকে ভালবাসতেন না এবং পাত্তাও দিতেন না।
তখন লাকি অন্যের ওয়াইফ ওই সময় তার হাজবেন্ড বিদেশ। কিন্তু হাজব্যান্ড তার থেকে দূরে থাকার কারণে তার চাচাতো ভাই আস্তে আস্তে তার কাছে চলে আসলো। এদিকে বাড়ির মানুষগুলো বলে লাকি তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে গভীর সম্পর্ক জড়িয়ে গেল। একদিকে স্বামীর টাকা পয়সা খরচ করতেছেন লাকি। অন্যদিকে সে চাচাতো ভাইয়ের সাথে ভালই সময় পার করতেছেন। ওই সময় যে কেউ লাকির বদনামি করলে খোকন ভাই বিশ্বাস করতেন না। কারণ খোকন ভাই তার ভালবাসার মানুষকে অনেক বিশ্বাস করতেন। যদিও এই কথাগুলো খোকন ভাইয়ের পরিবার তাকে বলেছেন। কিন্তু সেই মনে করল তারাই বদনামি করে তার ভালোবাসার মানুষকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতেছেন। আর এদিকে খোকন ভাই যখন তার ওয়াইফ লাকির কাছে মোবাইলের কল করতেন। সেই অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন।
এভাবে কয়েক বছর খোকন ভাইয়ের বিদেশ জীবন কেটে গেল। এদিকে খোকন ভাইয়ের বিয়ের পর তার পরিবারে কোন ছেলে সন্তান নেই। কারণ সে পড়ালেখা শেষ করে বিদেশ চলে গেলেন। হঠাৎ করে ৪ বছর পর যখন সে দেশে আসবে বলল। তখন তার ওয়াইফ বলছে আরো কয়েক বছর পর আসার জন্য। কারণ এখনো তার বাড়ি ঘর বা অন্যান্য কাজ বাকি আছে। তখন খোকন ভাই বলছেন তার ভালোবাসার মানুষকে দেখার ইচ্ছা তার অনেক। এ কারণে সেই বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার ওয়াইফ লাকি কোন মতে রাজি না বাড়িতে আসার জন্য। হঠাৎ করে সে একটা সময় তার ওয়াইফকে না বলে বাড়িতে চলে আসলো। আসার পর সেই তার ওয়াইফের বাড়িতে গেলেন প্রথমে। ওইখানে যাওয়ার পর প্রথমে সে বুঝতে পারে নাই তাদের প্রতারণা।
দুই এক দিন পর সে বুঝতে পারল তার ভালোবাসার মানুষটি তার কাছে নেই। কারণ শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ থেকে সে তাদের বাড়িতে আসলো। আসার পর শুনলো তার ভালোবাসার মানুষটি চাচাতো ভাইয়ের কাছে বিয়ে বসলেন। সে নাকি আরো বছরখানেক আগে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে দিয়ে বসলেন। এবং কি খোকন ভাইকে ডিভোর্স ও দিয়ে দিলেন আগে। তবে এই কথাগুলো খোকন ভাইকে জানালো না লাকির পরিবার। যদিও খোকন ভাইয়ের পরিবার অনেকবার বলেছিল কিন্তু খোকন ভাই বিশ্বাস করে নাই। এবং খোকন ভাইয়ের বিদেশের সব টাকা পয়সা লাকি একাই ভোগ করেছেন।
কারণ খোকন ভাইয়ের পরিবারের সাথে সম্পর্ক ভাল ছিল না বিধায় সে মা এবং ভাইদের টাকা দেই নাই। তার সব টাকা তার ওয়াইফের কাছে দিয়েছিল। কারণ খোকন ভাই তার ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস বেশি করেছিল। কারণ প্রেম করেছে তার ভালোবাসার মানুষকে জয় করেছিল। আর সেই ভালোবাসার মানুষ বিদেশ যাওয়ার পর তাকে ডিভোর্স দিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে বিয়ে বসলেন। এবং তার টাকা-পয়সার সবকিছু আত্মসাৎ করলেন। এতে করে খোকন ভাইকে একদম নিঃস্ব করে দিলেন। যদিও পরে খোকন ভাই নতুন করে বিয়ে করলেন অন্য জায়গাতে। বর্তমানে তার পরিবারের দুটি সন্তান আছে এবং সেই সুখেই আছে। আর লাকি তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর ভেঙে এখন বাবার বাড়িতে আছে। আর লাকির কপালে এখন সুখ নেই বললেই চলে। আর এই কথাগুলো আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনলাম। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1887465704896786754?t=u95JSmykXoWh1MNciOyTUQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি প্রায় একটা কথা বলে থাকি সেটা হচ্ছে মানুষের মন চেনা আর মন পাওয়া বেশ কঠিন জিনিস। অতি নিকটে থাকা মানুষগুলোও এক সময় প্রতারণা করে থাকে। ঠিক তেমনি ছিল আপনার আজকের এই পোষ্টের বিষয়। আজ হাজারো লাখির মতো মেয়েরা একটা পুরুষের কষ্ট অর্জিত টাকা এবং মাথার ঘাম পায়ে ফেলার পরিশ্রমকে এভাবেই বৃথা করে দিচ্ছে। একটা ১২ ভেবে দেখেনা সে মানুষটার ভবিষ্যৎ কি হবে। এগুলা ভাবতে খুবই খারাপ লাগে আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আমার নিজের কাছেও এরকম কিছু কথা ভাবতে ভীষণ খারাপ লাগে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সব সময় সবাইকে বিশ্বাস করতে নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে বিশ্বাস করাটা মোটেও ঠিক নয়। আপনার আজকের গল্পটা পড়তে ভালো লাগলো তবে বিষয়টা বেশ বেদনাদায়ক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন এই ধরনের মানুষকে বিশ্বাস করাটা আসলেই ঠিক না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এখন চারদিকে তাকালেই এগুলো খুব বেশি দেখা যায় বিশেষ করে প্রবাসী স্বামীদের সাথে এগুলো অনেক বেশি হয়ে থাকে। প্রবাসী স্বামীর কষ্টের টাকা দিয়ে সে তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে ভালোই সময় কাটিয়েছে। হঠাৎ করে তার হাজবেন্ড চলে আশায় বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা যায়। যাইহোক সব মিলিয়ে পড়ে খুবই ভালো লেগেছে এবং এই ঘটনাটা সম্পর্কে জেনে খুব খারাপ লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকে আমার গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লাগলো পরবর্তী তারও ভালো কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করব
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit