গল্প :- ভালোবাসায় বিশ্বাস অর্জন করতে হয়।(শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  17 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


sculpture-3611519_1280.jpg

এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম। তাই আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। তারপর দুপুর যখন কই আসলো মেয়েটি বাড়িতে তখনো আসলো না। তারপরও তার মা বাবা একটু দেখতে লাগলো হয়তোবা কলেজে গেল এই কারণে দেরি হচ্ছে। এবং তার মা-বাবা অনেকবার মোবাইলে যখন কল করলো মেয়েটি ফোন রিসিভ করলেন। বলতেছে মা আমি কলেজে আছি আসছে। এভাবে যখন মাগরিবের আজানের সময় হয়ে গেল। ওই সময় যখন কল করলে মেয়েটি বলতেছে আমি আমার বান্ধবীর বাড়িতে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে আমি বাড়িতে চলে আসছ। কিন্তু ঐদিন মেয়েটির গায়ে হলুদ। যখন তার বাবা তাড়াতাড়ি করে একটি গাড়ি নিয়ে বান্ধবীর বাড়ির দিকে যাচ্ছে মেয়েটিকে আনার জন্য।

তখন ওই মেয়েটি মোবাইলে কল করে বলতেছে আপনি আসার দরকার নেই। আমি আমার ভালবাসার মানুষের সাথে অনেক দূর চলে আসলাম। এই কথা শোনার পর তার বাবা ওইখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। তাড়াতাড়ি করে সবাই তার মাথা পানি ও তেল দিতে লাগলো। যখন জেসমিনের বাবার জ্ঞান ফিরলো মেয়ের জন্য চিৎকার করে আবার অজ্ঞান হয়ে গেল। তারপর তাড়াতাড়ি করে অন্যান্য লোক তার মেয়ের মোবাইলে কল দিয়ে দেখতেছে মোবাইলটি বন্ধ। এদিকে আস্তে আস্তে জানাজানি হচ্ছে মেয়েটি তার ভালবাসার সাথে পালিয়ে গেলেন।

এই কথা শোনার পর মেয়েটির মা-বাবা দুজন অসুস্থ হয়ে গেল। যদি মেয়েটির প্রথমে পছন্দ থাকতো তাহলে জেসমিন প্রথমে বলতে পারতেন। কারণ এত কষ্ট করে তার বিয়ে ঠিক করে এবং অনুষ্ঠান পর্যন্ত রেডি হয়ে গেল এই মুহূর্তে মেয়েটি তার ভালোবাসার সাথে পালিয়ে গেলেন। এবং মা-বাবার মুখ ও ছোট করে ফেললেন। এদিকে ছেলেদের বাড়ি তো জানাজানি হয়ে গেল মেয়েটি অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গেলেন। এবং এলাকা জানাজানি হওয়ার পর ব্যাপারটি নিয়ে মানুষ অনেক ধরনের কথা বলতেছেন। এই কথাগুলো শুনতে শুনতে তার মা-বাবা দুজন এতই অসুস্থ হয়েছে যা বলার বাহিরে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু দুষ্ট লোক বাড়িতে থাকে। এই লোকগুলো সবসময় মানুষকে খোঁচা মেরে কথা বলে। জেসমিন দের বাড়ি তো এরকম লোক আছে। তারা বিভিন্ন ধরনের কথা বলতেছে এবং জেসমিনের মা-বাবাকে অপমান করতেছেন। এবং বলতেছে উচ্চশিক্ষিত করার জন্য কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। আর এখন মেয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য ভালোবাসা মানুষের সাথে পালিয়ে গেলেন। এত অর্জন শিক্ষা কোথায় রাখবে। এই কথাগুলো জেসমিনের মা-বাবা শোনার পর গত দুই দিন আগে জেসমিনের বাবা স্টক করেছেন। আর মা-বাবা দুইজন অসুস্থ হয়েছে শুধু মেয়ের কারণে।

এদিকে জেসমিনের মোবাইলটি বন্ধ। শোনা গেছে সেই নাকি তার কলেজ ক্লাসমেট এর সাথে পালিয়ে গেলেন। অথচ মা-বাবা দুইজন অসুস্থ হয়ে গেল তারপরও তাদের কথা একবারও চিন্তা করলেন না জেসমিন। বিশেষ করে জেসমিনের বাবা বারবার মেয়েদের কথা বলতেছে। কারণ মেয়েটিকে এত আদর করে মানুষ করেছে তার কথা ভুলতে পারছেন না। আর জেসমিনের এমন ব্যবহার তার বাবা কখনো কল্পনা করে নাই। তবে চেষ্টা করেছে তার মেয়েকে সুন্দরভাবে মানুষ করার জন্য। আর জেসমিন তার বাবা-মায়ের কথা একবারও চিন্তা করলেন না।

আজকে জেসমিনের কারণে বাড়ির লোক এবং সমাজের লোক গুলো তার বাবার মুখের উপর কথা বলে অপমান করতেছে। মেয়েটি যদি তার মা বাবার কথা চিন্তা করত তাহলে আজ এত কিছু হতো না। এতে করে মা বাবার মান থাকতো। আর যদি প্রথমে জেসমিন বলত তার পছন্দের মানুষ আছে হয়তো বা তারা এ বিয়ে ঠিক করত না। হয়তোবা তার পছন্দের মানুষের কাছে বিয়ে দিতেন বা আলোচনা করতে পারতেন। তবে জেসমিনের বাবা যেভাবে অসুস্থ হয়েছে সহজে সুষ্ঠু হবে না। অনেকে বলতেছে এভাবে থাকলে জেসমিনের বাবা হয়তো বা মারাও যাবে। তাই আমি মনে করি ভালোবাসা করা পাপ না। ভালোবাসার মানুষের কারণে মা-বাবাকে ছোট করা ভালো দিক না। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG_20250109_105140.jpg

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। যদিও প্রথম পর্ব পড়া হয়নি তবে শেষ পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম জেসমিন যেটা করেছে তা খুবই অন্যায়। নিজে সুখী হবার জন্য বাবা মা কে কষ্ট দেওয়া একদমই ঠিক কাজ নয়। এতে কখনও সুখী হওয়া যায় না। জেসমিন আগে বললে তার বাবা মা হয়তো এই স্বপ্ন দেখতো না। বাবা মায়ের চোখের পানি জেসমিন কে সুখী হতে দিবে না। যাই হোক ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

আজকে আমার এই গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে দেখে খুশি হলাম ধন্যবাদ