আমার পরিচয়
আমার স্টিম আইডি নাম@beer75। আমার নাম মোঃ আতিয়ার রহমান। আমি একজন ছাত্র এবং আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোট একটা জব করি। মা, বাবা, ভাই, বোন নিয়ে আমাদের ছোট একটি পরিবার। আমি পরিবারের ছোট ছেলে তাই আমাকে সবাই অনেক ভালোবাসে।
আমার বাবার নাম মোঃ সায়েদ আলী। আমার বাবা একজন পেশায় কৃষক। বাবা হচ্ছে বটগাছ ছায়ার মত,পুরো পরিবার তাকে আগলে রাখে। বাবার মত শক্ত মানুষ পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। যতই কষ্ট হোক না কেন পরিবারকে সুখে রাখার জন্য দিনভর কষ্ট করে যায়। পরিবারকে দুবেলা-দুমুঠো ভালো খাওয়ানোর জন্য জীবন যুদ্ধে যিনি সংগ্রাম করে তিনি হচ্ছে বাবা। যার ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারব না।
আমার মায়ের নাম আরোদা বেগম। আমার মা একজন গৃহিনী। যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরে আমাদের এই দুনিয়ার মুখ দেখেছেন তিনি হচ্ছেন মা। আমার গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলো ওমায়ে ঋণ কোনদিন শোধ হবে না।
ও মায়ের একধার দুধের দাম
কাটিয়া গায়ের চাম,
জুতা বানাই দিলে ও শোধ হবেনা
এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার মা।
আমার শিক্ষা জীবন
আমার শিক্ষাজীবন শুরু হয় ২০০৫ সাল থেকে। আমাদের গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আমি পঞ্চম শ্রেণী পাস করি। তারপর ভর্তি হয় জমির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে। জমি উচ্চবিদ্যালয় থেকে আমি এসএসসি পাস করি ২০১৫ সালে । তারপর ২০১৫ সালে আমি খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। সেখান থেকে ২০১৭ সালে আমি আইএ পাস করি। তারপর আমি ২০১৯ সালে পাবর্তীপর সরকারি কলেজে ভর্তি হই ডিগ্রী নিয়ে। তারপর শুরু হয় মহামারী করোনাভাইরাস। মহামারী করোনাভাইরাস এ পুরো জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেছে এখনো সাজাতে পারিনি।
আমার আমার শখ
আগে যখন ছোট ছিলাম, তখন সবাই যখন বলতো তুই বড় হয়ে কি হবে, আমি বলতাম বড় হয়ে আমি পুলিশ হবো। আমি চোরদের ধরবো তাদের অনেক মারব। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে আসা গুলো আর আশা থাকে না সব পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রথমাবস্থায় আমার পড়াশোনা একটু ভাল ছিল কিন্তু তারপর যত বড় হতে থাকি তখন পড়াশুনা সব এলোমেলো হয়ে যায়। পরিবারের অভাবের তাড়নায় মাঝে মাঝে কাজও করতে হয়েছিল আমাকে। কাজ আর পড়াশোনা একসাথে তাল মিলাতে পারছিলাম না। তারপর যখন আমি আইএ পাস করি তারপর আমি একজনের দোকানে কাজ পাই। তারপর থেকে ওখানেই আমি কাজ করতেছি। এখনো আমার আশা আমি একটি বড় খামার দিব হাঁস, মুরগি, গরু ছাগলের। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন খামারটি দিতে পারি।
বন্ধুবান্ধব
প্রত্যেক মানুষেরই বন্ধু রয়েছে। বন্ধু মানে সুখ, দুখ, হাসি, কান্না, রাগ, অভিমান, ভালোবাসা নিয়ে বন্ধুত্ব। বন্ধু মানে সুখে দুঃখে পাশে থাকা মনের কথা শেয়ার করা। বন্ধু মানে হাতে হাত রেখে চলা, বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থাকা, তাই আমি আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে থাকা কিছু মুহূর্তের ছবি আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করলাম।
বন্ধুরা আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় আমি এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আমার পরিচয়টি আমি খুব ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।
আমি যেন আপনাদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারি এজন্য সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আর আমি যেন আমার জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি যারা আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছে, তাদের আমি ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। তারা না হলে হয়তো আমরা বাংলা ভাষায় লেখা এরকম কমিউনিটি পেতাম না। আমার আন্তরিক ভালোবাসা এবং দোয়া রইলো তারা যেন সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে। বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
অনেক যুদ্ধ করেছেন আপনি আপনার জীবনের সাথে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা ভাইয়া দোয়া করবেন যেন সফল হতে পারি জীবনে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্বাগত বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে এখানে স্বাগত জানাই।
আপনি খুব সুন্দরভাবে পরিচয়মূলক পোস্ট লিখেছেন । পরিচয়ের মধ্যে সবকিছু তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এখানে আপনার নিজের ভাষায় আনন্দের সাথে লেখালেখি করতে পারবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা ভাই ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে আমাদের কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। আমাদের সঙ্গেই থাকার জন্য চেষ্টা করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা ভাই দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit