মিষ্টি খেজুরের গাছ থেকে রস চুরির হাস্যকর বাস্তব ঘটনা //পর্ব:-০২।

in hive-129948 •  last year 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ মঙ্গলবার। ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

IMG_20231215_072720_347.jpg



খেজুর গাছ থেকে খেজুর রসের ভাড়গুলো নামাতে শুরু করেছিলাম প্রথমে আমার বন্ধুরা মিলে। তারপর আমাদের সাথে যাওয়া বড় ভাইকে খেজুর রসের ভাড় নামানোর কাজে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। প্রথমে মিষ্টি খেজুর গাছের রসের ভাড়টি নামিয়ে একটি নিরাপদ জায়গায় রেখেছিলাম। তারপর আমাদের সাথে যাওয়া পাড়ার সেই লোভী বড় ভাইসহ আমার মোট দুইজন বন্ধু সুবিধাজনক সব কয়টি গাছে উঠতে লাগলো। যে গাছে বেশি রস জমা হয়েছে সেই গাছের ভাড় নামানো হয়েছিল। এভাবে দেখেশুনে আমাদের ছয়জনের জন্য মোট চারটি খেজুর গাছ থেকে চারটি খেজুরের রসের ভাড় নামিয়েছিলাম।

খেজুর গাছ থেকে নামানো খেজুরের রসের ভাড় গুলো রেখেছিলাম তিন জায়গায়। মিষ্টি খেজুর গাছের রসের ভাড়টি রেখেছিলাম আলাদাভাবে। আর বাকি তিনটি রসের ভাড় রেখেছিলাম দুই জায়গায়। আমার বন্ধুরা মিলে প্রথমেই মিষ্টি খেজুর গাছের রসগুলো খেতে আরম্ভ করেছিলাম। পাঁচজন বন্ধু মিলে মিষ্টি খেজুর গাছের রসগুলো আধা কাপ করে খাওয়ার পর সামান্য পরিমাণ রস পাড়ার সেই বড় ভাইকে খেতে দিয়েছিলাম। উনি তো সামান্য রস খেয়ে পুরো পাগল হয়ে গেল। সে বলতে লাগলো, এতো মিষ্টি রস জীবনেও খায়নি। আসলে প্রথমে সামান্য মিষ্টি রস খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে তার রস খাওয়ার নেশা তুলে দিয়েছিলাম।

তারপর আমি পাশ থেকে আস্তে করে বলেছিলাম ভাই এর থেকেও মিষ্টি রস হবে ওই রসের ভাড়গুলোই। আমার কথা শুনে সে তো রস খাওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী। কিন্তু আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে তাকে রসের ভাড়ের কাছে যেতে দেয়নি। অন্ধকার নির্জন শীতের রাত, আমার এক বন্ধুর সাথে বড় ভাইকে একটি খেজুর গাছের গোড়ায় বসিয়ে রেখেছিলাম। এদিকে আমার এক বন্ধুকে ইতিমধ্যেই বাংলা রস সংগ্রহ করার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আমার সেই বন্ধু প্রথমেই একলা একলা ভাড় থেকে ইচ্ছামতো রস খেয়েছিল। তারপরে সে পুকুর থেকে আধা গ্লাসের বেশি ঠান্ডা জল তুলেছিল। তারপর আমাদের প্লান মোতাবেক পুকুরের ঠান্ডা জলের সাথে খেজুরের রস মিশ্রণ করে তাকে খেতে দেওয়া হয়েছিল। পাড়ার সেই বড় ভাই মনে করেছিল হয়তো এই গ্লাসের রসগুলো খুবই মিষ্টি হবে।

গ্লাস ভর্তি খেজুরের রস হাতে পেয়ে সে হাসিমুখে ঢকাঢক রস খেতে শুরু করলো। কয়েক ঢোক খাওয়ার পরে সে বলতে লাগলো, সেই রকম মিষ্টি মনে হচ্ছে না তো এই রসগুলো। আমার এক বন্ধু পাশ থেকে বলে দিলো-- রসগুলো খেয়ে নিন পরে মিষ্টি লাগবে। তারপর পাড়ার সেই বড় ভাই কোন কথা না বলে এক নিঃশ্বাসে গ্লাসের রস গুলো খেয়ে নিল। তারপর আমি বললাম অন্য ভাড় থেকে আরও বেশি মিষ্টি রস নিয়ে আসছি। তারপর আমার সাথে আরো একজন বন্ধুকে নিয়ে গেলাম। দু'জন মিলে ইচ্ছেমতো খেজুরের রস খাওয়া শেষ করে আবারো পুকুর থেকে আধা গ্লাসের একটু কম পরিমাণ পানি তুলে খেজুরের রসের সাথে মিশিয়ে পাড়ার সেই বড় ভাইকে খেতে দিলাম। সেই বড় ভাই রসগুলো খেয়ে বললো, এগুলো কিছুটা মিষ্টি ছিল। আসলে বড় ভাইটি লোভী মানুষতো তাই বাংলা রস সেভাবেই সরবরাহ করেছিলাম। বাকি ঘটনাটি জানতে পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকেন।

প্রথম পর্বটি পড়ার লিংক





১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আপনারা তো দেখছি আপনার বড়ো ভাইকে খুব নাকানিচুবানি দিয়েছেন। রসের নেশায় এতোটাই পাগল ছিলো যে রস খাচ্ছে না কি পুকুরের জল তা বুঝতে পারে নি। মিষ্টি গাছের খেজুর রস খেতে গিয়ে ভালোই মজা করেছেন সবাই মিলে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

অনেক ভালো লাগলো আপনার এই গল্পটি পড়ে৷ এর প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম৷ আপনারা তো আপনাদের বড় ভাইকে একদমই পাগল করে দিয়েছেন৷ তিনি এই মিষ্টি খেজুরের রস খেয়ে একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছেন৷ তিনি বুঝতে পারছেন না তিনি কি খাচ্ছেন৷ শুধু খেতেই যাচ্ছেন৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷৷