গল্প: মামা ও ভাগ্নে। পর্ব: ১২ || তাং: ০৭/০৪/২০২৩ ইং।

in hive-129948 •  2 years ago 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ শুক্রবার। ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ ইং।




আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট আমার লেখা একটি গল্প শেয়ার করছি। আমার গল্পের নাম- 'মামা ও ভাগ্নে', পর্ব-১২। আমি আশা করি আমার লেখা গল্পের পর্ব-১২ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।


sunset-g5f78888ca_1280.jpg

Source



গল্পের একাদশতম পর্বটি পড়ার লিঙ্ক



সুজন হৃদয়কে শক্ত করে ধরে পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে ঢুকে পড়লো। ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে আলো জ্বলে থাকা স্থানের দিকে তাকাতেই সুজনসহ সকলেই আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা দেখল যে আলোর পাশে দু'জন মানুষ বসে আছে এবং তাদের পাশেই পুঁতে রাখা আছে মাদকের বাক্স গুলো। অপ্রত্যাশিতভাবে মাদক রাখা স্থানে দু'জন মানুষ দেখে সুজনসহ সকলেই একে অপরের চোখের দিকে তাকালো। তারপর পুলিশ সুপার বলল, এরাই সেই মাদক ব্যবসায়ী। এরা কোন পথ দিয়ে এসেছে আমাদের আরো সতর্কতার সাথে দেখতে হবে। সুজন বলল, জি স্যার, এরা সেদিন সংখ্যায় অনেকজন ছিল। তারপর পুলিশ সুপার খুবই কৌশল করে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে দিল দারোগাদের কাছে। ভুট্টা ক্ষেতের চারপাশে থাকা সকলেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নিজ নিজ অবস্থান শুরু করল। এমনকি পুলিশ সুপার এবং সুজন ও হৃদয় তিনজন তিন দিকে অবস্থান নিল এবং খুবই সতর্কতার সাথে চারিদিকে নজর রাখতে লাগলো।


এমন সময় সুজন যেখানে আত্মগোপন করে ছিল ঠিক তার পাশ দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের দল ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করলো। তারা সংখ্যায় আজ অনেকছিল ছিল। প্রায় 16-17 জন। তাদের ভিতর কয়েকজনের হাতে আরও বেশ কয়েকটি মাদক রাখা বাক্স। সুজন খুবই নিরবের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সব কিছুই দেখতে লাগলো। ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করতেই তাদের সর্দার বলল, প্রত্যেকের ভিতরে আসার প্রয়োজন নেই। কয়েকজন বাইরের নজর রাখো, যাতে কেউ এখানে না আসতে পারে এবং আমাদের অবস্থান বুঝতে না পারে। সর্দারের এরকম আদেশের সাথে সাথে একজন সুজনের পাশে এসে দাঁড়ালো। শীতের রাত, চারিদিকে ঘন কুয়াশা, কে কোথায় আছে বোঝা খুবই কষ্টকর। শুধুমাত্র মাদক ব্যবসায়ীদের জ্বালিয়ে রাখা মৃদু আলোকে অনুকরণ করে তাদের কার্যকলাপ বোঝার চেষ্টা করছে সবাই।


সুজনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মাদক ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র ঘন কুয়াশায় দেখছিল। কারণ তার একেবারেই পায়ের কাছে সুজন আত্মগোপন করে আছে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না। এমন সময় গ্যাস লাইট দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী একটি সিগারেট ধরানো। সিগারেটের জ্বলন্ত ছাই জোনাকির মতো করে সুজনের কানের উপর পড়তে লাগলো। আর সুজনের কান ঝলসে গেল। তারপরও সুজন অনড় এবং নীরব। এদিকে পুলিশ সুপার নিজে চোখে মাদক ব্যবসায়ীদের সকল কার্যক্রম দেখতে পেল। পুলিশ সুপার দেখলেন যে, মাদক ব্যবসায়ীরা আজ আরো কয়েকটি বাক্স বোঝাই করে ট্যাবলেট জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ে এসেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ট্যাবলেট জাতীয় মাদকদ্রব্য গুলো তাদের দলের সদস্যদের ভিতরে ভাগ করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। মাদকদ্রব্য ভাগ করার সময় সর্দার একটু মোটা কন্ঠে বলল, এগুলো বিক্রয় করে টাকাগুলো যথাসময়ে আমার কাছে পৌঁছে দেবে। কেউ কোন রকমের চালাকি করার চেষ্টা করলেই তার অবস্থা খুবই খারাপ হবে। সর্দারের এমন কথা শুনে পুলিশ সুপার রেগে আগুন হয়ে উঠল।


পুলিশ সুপার খুব দ্রুত অন্যান্য দারোগা এবং কনস্টেবলদেরকে একত্রিত করতে লাগলো। এদিকে হঠাৎ হৃদয় পুলিশ সুপারকে লক্ষ করে ছোট্ট একটি মাটির ঢেলা নিক্ষেপ করল। পুলিশ সুপার তাকিয়ে দেখো যে আরো ছয় জন লোক ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে প্রবেশ করছে। ছয়জন লোকের মধ্যে তিনজনের হাতে রয়েছে বড় বড় তিনটি বাক্স। পুলিশ সুপার বুঝতে পারলো যে এরা টাকা ভর্তি বাক্স নিয়ে মাদকদ্রব্য গুলো কিনতে এসেছে। তারপর পুলিশ সুপার দারোগাদের সাথে ফিসফিস করে কথা বলতে লাগলো এবং মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ধরার পরিকল্পনা করা শুরু করল। এমন সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সর্দার একটু জোরেই চিৎকার দিয়ে উঠলো। সর্দার বলতে লাগলো, "আমার পুঁতে রাখা কোটি কোটি টাকার মাদকগুলো এভাবে কারা নষ্ট করল? এখানে আমরা ছাড়া তো আর কেউ ছিল না। নিশ্চয় আমার দলের কেউ পরিকল্পিত ভাবে বাক্স বোঝায় হেরোইন এবং মদের বোতলগুলো নষ্ট করেছে।" তারপর সর্দার সকলকে একত্রিত করার জন্য ডাক দিল। সর্দারের ডাকে সাড়া দিয়ে সুজনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মাদক ব্যবসায়ী যখন যেতে লাগলো তখন সুজন সে মাদক ব্যবসায়ীকে কৌশল করে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর শক্ত করে মাটির সাথে মুখ চেপে ধরে।


[গল্পটি চলমান থাকবে]



১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png