হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ৩১ ই মার্চ, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
Source
মোটা কুচিয়া সাপ দেখে আমি যখন পালাচ্ছিলাম ঠিক তখন আমার বন্ধুরা কুচিয়া সাপকে নিয়ে খেলা শুরু করেছিল। আমার বন্ধু বকুল কাঁদার ভিতর থেকে কুচিয়া সাপ টেনে বের করে আনলো। তারপর কুচিয়া সাপের দেহের মাঝের অংশে দুই হাত দিয়ে যতই চেপে ধরতে লাগলো সাপটি ততই দুই হাত থেকে বের হয়ে যেতে লাগলো। আসলে কুচিয়া সাপের দেহ যে এতো পরিমানে পিচ্ছিলিত হয় সেটা আমার পূর্বে জানা ছিল না। আমার বন্ধু বকুলের হাত থেকে বের হয়ে কুচিয়া সাফটি আবার কাঁদার মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে খুব দ্রুত কাঁদার মধ্যে লুকিয়ে যেতে সক্ষম হলো। কিন্তু কোন লাভ হলো না। আমার বন্ধু বকুল পুনরায় কাদা সরিয়ে কুচিয়া সাপকে কাঁদার ভিতর থেকে টেনে বের করে আনলো। মাছধরা বাদ দিয়ে কুচিয়া সাপের সাথে খেলা করা দেখে আমি তো পুরোই হতবাক।
বিশেষ করে মাছ ধরা যেমন তেমন নির্দ্বিধায় কুচিয়া সাপ হাত দিয়ে ধরার এবং কুচিয়া সাপ নিয়ে খেলা করার দৃশ্যটি দেখে আমি তো উঁচু স্থানে বসে থেকে বলতে শুরু করেছিলাম, বকুল তুই পুরো সাপুড়ি হয়ে গেছিস। সত্যি বলতে আমি ওই সময় জানতাম যে, একমাত্র ধোড়া সাপ বাদে সকল সাপ বিষাক্ত। কিন্তু কুচিয়া সাপ যে মানুষকে কামড় দেয় না এবং এটা কোন বিষাক্ত সাপ নয়--এই বিষয়টা সেই ছোটবেলায় প্রথমবার আমাদের মাঠের বিলে মাছ ধরতে গিয়ে জানতে পেরেছিলাম। যাহোক আমার বন্ধু বকুল সহ বাকিরা যখন কুচিয়া সাপকে বারবার হাত দিয়ে ধরতে লাগলো তখন খুব সহজে সাপটি অত্যন্ত নিস্তেজ হয়ে গেল এবং দেখতে পুরো মর মর অবস্থা লাগলো। এদিকে আমার বন্ধুরা যখন কুচিয়া সাপটিকে বারবার ধরছিল এবং সাপ নিয়ে খেলা করছিল তখন তারা আমাকে সাপ ধরা শেখার জন্য ডেকেছিল।
কুচিয়া সাপ ধরা শেখার জন্য বন্ধুদের ডাকে প্রথমবার একেবারেই সাড়া দিয়েছিলাম না। তারপর ভাবলাম যে, আমার বন্ধুরা মাছ ধরতে এসে এতো সুন্দর ভাবে সাপ ধরতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না? তারপর মনে অগাধ সাহস নিয়ে কুচিয়া সাপ ধরার জন্য আমাদের মাছ ধরার স্থানে চলে গেলাম। মাছ ধরার স্থানে যাওয়ার সাথে সাথে আমার এক বন্ধু কুচিয়া সাপটি ধরে আমার শরীরের দিকে ছুড়ে মারলো। কুচিয়া সাপটি আমার শরীর স্পর্শ করার সাথে সাথে আমি অত্যন্ত ভয় পেয়েছিলাম এবং আমার ভয় পাওয়া দেখে আমার সকল বন্ধুরা দাঁত বের করে হি হি করে হাসছিল। তারপর আমার বন্ধু বকুল সহ সকলের কথামতো কুচিয়া সাপটি ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম। এরপর ডান হাত দিয়ে কুচিয়া সাপের লেজের অংশ চেপে ধরতেই আমার পুরো শরীরের মধ্যে কেমন যেন কাটা দিয়ে উঠেছিল।
জীবনে প্রথমবার আমাদের বিলে মাছ ধরতে গিয়ে সেইবার ছিল আমার জীবনে প্রথম ডান হাত দিয়ে সাপ ধরার মুহূর্ত। প্রথমবার সাপ ধরার পরে বুঝতে পেরেছিলাম না যে সাপের শরীরটা কেমন। কিন্তু তার পরেরবার যখন সাপটি ধরলাম তখন বুঝতে পারলাম কুচিয়া সাপের শরীরটা বেশ পিচ্ছিলিত এবং অত্যন্ত নরম। একই সাথে কুচিয়া সাপের শরীরটা বেশ ঠান্ডা ছিল। যাহোক বন্ধুদের সাহসে প্রথমবার কুচিয়া সাপ নিজ হাতে ধরতে পেরে নিজেকে বড়ই বীরপুরুষ মনে হয়েছিল। মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো এখন থেকে এভাবেই সাপ ধরতে পারবো। এরপর আমার বন্ধু বকুল কুচিয়া সাপটিকে পানির মধ্যে ছেড়ে দিল এবং সাপটি কোনো রকমে নিজেকে আড়াল করে নিল। এরপর আমরা পুনরায় শুরু করলাম মাছ ধরা। আমরা যতই কচুরিপানা গুলো তুলছিলাম ততই মাছ পাচ্ছিলাম।
তারপরে আমি একগুচ্ছ কচুরিপানা তুলতেই আমার সামনে পড়লো বেশ বড় আকারের একটি জিওল মাছ। ভেবেছিলাম জিওল মাছটি আমি ধরবো। কিন্তু আমার বন্ধু বকুল বললো, তুই জিওল মাছটি ধরতে পারবি না, জিওল মাছে কাঁটা মেরে দেবে। বন্ধুর কথা মতো আমি জিওল মাছ ধরা থেকে নিজেকে বিরত রাখলাম। পরে আমার বন্ধু বকুল অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জিওল মাছটি ধরতে সক্ষম হলো। আমি চ্যাং মাছগুলো বেশ ভালোভাবে ধরতে পেরেছিলাম। কিন্তু একটি মাঝারি সাইজের চ্যাং মাছ ধরার সময় চ্যাং মাছটি আমার বাম হাতে তর্জনী আঙ্গুলটি কামড়িয়ে ধরেছিল। হাত জোরে ঝাড়া দেওয়ার পরে চ্যাং মাছটির মুখ থেকে আমার আঙ্গুল ছুড়েছিল। আসলে চ্যাং মাছ যে এভাবে হাতের আঙ্গুল কামড়িয়ে দেয় সেটা আমার পূর্বে কখনোই জানা ছিল না। যাহোক তারপর পুনরায় কচুরিপানা তুলে যখন মাছ ধরা আরম্ভ করলাম তখন আমার সামনে পড়লো বিশাল মোটা একটি শোল মাছ।
প্রথম পর্বটি পড়ার লিঙ্ক
আমার শৈশব জীবনে খালে ও বিলে মাছ ধরার স্মৃতিময় মুহূর্তের বাকি কথাগুলো তৃতীয় পর্বে শেয়ার করা হবে।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ। |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit