হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শনিবার। ৩০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, সুস্থতা মহান সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক আমাদের জন্য বিশেষ একটি নেয়ামত। তাই আমরা সব সময় শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চায় এবং সুস্থ থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু রক্ত-মাংসের গড়া আমাদের শরীর সবসময় সুস্থ থাকে না কিংবা আমরা সুস্থ রাখতে ব্যর্থ হয়। আমরা যখনই অসুস্থ হয় ঠিক তখনই বুঝতে পারি সুস্থতার গুরুত্ব। যাহোক, আমি গত ৬ থেকে সাত দিন একটানা যাবৎ বিশেষভাবে অসুস্থ ছিলাম। আর অসুস্থ থাকা অবস্থায় অনুভব করতে পেরেছি যে সুস্থতা আমাদের জন্য কত বড় নেয়ামত। বেশ কয়েক বছর যাবত আমি সাইনোসাইটিস এর সমস্যায় ভুগতেছি। অতিরিক্ত গরমে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডায় এই সমস্যাটা সবথেকে বেশি দেখা যায় এবং জটিলতা সৃষ্টি করে। এবার শীতেও সাইনোসাইটিসের মারাত্মক একটি প্রভাব সৃষ্টি হয়েছিল। সাইনোসাইটিসের সেই প্রভাবটা কোনরকমে কাটিয়ে উঠছি।
ঠান্ডার কারণে হঠাৎ করেই আমার সাইনোসাইটিসের সমস্যাটা বেড়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে নাকের দুই ফাক সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রচন্ড ঠান্ডা এবং মাথায় অনেক যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি গলার টনসিলে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়েছিল। সবথেকে বড় সমস্যা সৃষ্টি করে করেছিল সর্দি। সর্দির প্রভাবে নাকের দুই ফাক তো পুরো বন্ধ আছেই। পাশাপাশি যখন হাঁচি ওঠা শুরু হয়েছিল তখন একটানা 15-20 বার হাঁচি হয়েছিল। এভাবে দিনের মধ্যে কমপক্ষে হলেও ৭০ থেকে ১০০ বার হাঁচি দিতে হয়েছিল। এরকম অবস্থায় বেশিরভাগ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করতে হয়েছিল। নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার কোন সুযোগই ছিল না। আর হাঁচির পরেই শ্বাসকষ্ট অনুভব হতো। সব মিলিয়ে সাইনোসাইটিসের মারাত্মক রূপ ধারণ করেছিল।
এমন অবস্থায় দেরি না করে খুব দ্রুত নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ছিলাম। আমার অবস্থা দেখে এবং বিস্তারিত শুনে ডাক্তার সাহেব খুব সহজেই আমার সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারলেন। তারপর তিনি প্রথমেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন। তিনি বললেন যে, ঠান্ডা থাকা অবস্থায় শরীরে কোনভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না, একই সাথে ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ যতদিন বেঁচে আছি ততদিন পর্যন্ত এই দুইটা পরামর্শ আমাকে মেনে চলতেই হবে। একই সাথে ডাক্তার সাহেব আরো বললেন যে সমস্ত খাবার গুলো খেলে সাইনোসাইটিসের সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। আর গলা ব্যথার জন্য কুসুম গরম পানির সাথে হালকা লবণ দিয়ে গড়গড় করতে বললেন দিনে তিনবার। তারপর ডাক্তার সাহেব 15 দিনের ঔষধ লিখে দিলেন এবং সাথে দিলেন নাকে দেওয়া একটা স্প্রে।
নাকের স্প্রে ব্যবহারের পর নাকের দুটি ফাক সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঔষধ খাওয়ার পরে সর্দি অনেকটাই কমে যাচ্ছে কিন্তু ঘুমের অতিরিক্ত চাপ হচ্ছে। বিশেষ করে রাত্রে মোনাস-১০ মিলিগ্রাম ওষুধটি খাওয়ার পরে মনে হয় দশ মিনিটও জেগে থাকতে পারছি না। যাহোক ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ঔষধ সেবন করার মধ্য দিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছি। শুধুমাত্র সামান্য সর্দির ভাবটা রয়েছে। আগামী সাতদিনে ইনশাল্লাহ পুরোপুরি সুস্থ হতে উঠবো। যাহোক আপনারা সবাই এই শীতের সাবধানে থাকবেন এবং শরীরের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হবেন। কেননা, শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে মনও ভালো থাকে না এবং কোন কাজের প্রতি যত্নও থাকে না। ভালো থাকবেন সবাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া, প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি।আসলে শীতকালে হাঁচি,কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যায়।তাই সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্তু আপনার অসুস্থতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি জেনে খারাপ লাগছে।শ্বাসে সমস্যা হলে খুবই কষ্ট হয়।যাইহোক নিজের প্রতি আরো যত্নশীল হবেন ভাইয়া, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি আপু, নিজের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার চেষ্টা করছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit