হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার। ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
রাজু কাঁঠাল গাছ তলায় গিয়ে নিশ্চিত হলো যে-- এই গাছে কাঁঠাল তো পেকেছেই, কাঁঠাল পেকেছে একের অধিক। আশেপাশে কাঁঠাল গাছের মালিক ছিল না, তাই রাজু এক লাফে কাঁঠাল গাছে উঠে পড়লো এবং নিশ্চিত হলো যে, মোট তিনটা কাঁঠাল পেকেছে। তিনটি পাকা কাঁঠাল একই জায়গায়। তারপর রাজু খুব দ্রুত গাছ থেকে নেমে আসলো। গাছ পাকা কাঁঠালের লোভ সামলানো খুবই কঠিন। কিন্তু এর চেয়েও কঠিন ওই কাঁঠাল গাছ থেকে পাকা কাঁঠাল চুরি করা। স্কুলে যাওয়ার সময় আমাদের চার বন্ধুর মধ্যে বারবার কথা হচ্ছিল যে, আমরা কিভাবে পাকা কাঁঠাল গুলো চুরি করতে পারি।
স্কুলে পৌঁছানোর পরে ক্লাসে আমাদের পড়ার প্রতি কোন মনোযোগ নেই। আমাদের পরিপূর্ণ মনোযোগ পাকা কাঠালের দিকে। যেহেতু দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ হাফ স্কুল। ওই সময় বৃহস্পতিবারে ১:১৫ মিনিটে স্কুল ছুটি হয়ে যেত। ওই দিনেও একই সময়ে স্কুল ছুটি হবে। কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারলাম যে, প্রথম দুইটা ক্লাসের পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুইটা ক্লাসের পরে যখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হলো ঠিক সেই সময় আমরা চারজন বন্ধু সুযোগ বুঝে স্কুল পালিয়ে চলে এসেছিলাম। আমার বন্ধু পলাশ বলেছিল, পাকা কাঁঠাল চুরি করার জন্য আমরা স্কুল থেকেও চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছি। এই কথাটি শুনে আমি, মারুফ আর রাজু বলেছিলাম, কি আনন্দ!
স্কুল থেকে পালিয়ে আমরা প্রথমে আমাদের বইগুলো গুছিয়ে একটি ঝোড়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম। তারপরে কাঁঠাল গাছের আশেপাশে কেউ আছে কি-না দেখার চেষ্টা করেছিলাম। কাঁঠাল গাছের একটু নিকটে এসে দেখতে পেলাম যে, কাঁঠাল গাছের মালিক ওই কাঁঠাল গাছ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা আরো একটু কাছাকাছি এসে দেখলাম যে, কাঁঠাল গাছের মালিক বড়শি দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরছে। আমরা বুঝতে পারছিলাম না যে, উনি কখন মাছ ধরা শেষ করবেন। কাঁঠাল গাছের মালিক বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছিল, আর আমরা চার বন্ধু ঝোড়ের মধ্যে লুকিয়ে দেখতে লাগলাম। উদ্দেশ্য একটাই, যখনই কাঁঠাল গাছের মালিক বাড়ির দিকে যাবে ঠিক সেই সময় পাকা তিনটে কাঁঠাল চুরি করবো।
ঝোড়ের মধ্যে বসে থাকাটা যে কতটা কঠিন সেদিন শতভাগ বুঝতে পারছিলাম। মোটা মোটা মশাই মুখের গাল কামড়িয়ে লাল করে দিয়েছিল। মাঝেমধ্যে মশার কামড় সহ্য না করে নিজের গালে এতো জোরে চড় মারছিলাম যে, নিজের গালেই যেন হাতের আঙ্গুলের ছাপ লেগে যাচ্ছিল। আর দুই পায়ের কথা কি বলবো--মশার কামড়ে দুই পায়ের বিভিন্ন জায়গা ফুলে গিয়েছিল। তারপরেও পাকা কাঁঠাল বলে কথা, পাকা কাঁঠাল চুরি থেকে বিন্দুমাত্র পিছুপা হয়েছিলাম না। এদিকে হঠাৎ করে আমার পিছন থেকে আমার আরেক বন্ধু মারুফ উহু করে উঠলো। তাকিয়ে দেখলাম যে, বেচারা তার প্রসাব করার যন্ত্রটি অর্থাৎ লিঙ্গটি চেপে ধরে অনবরত উহু উহু করে যাচ্ছে।
(চলমান থাকবে)
Twitter link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পূর্ণ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অতীতের স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে বেশ ভালো লাগে। আর আমাদের সকলের অতীতের দারুন দারুন স্মৃতি রয়েছে। আজকে আপনি একটা অসাধারণ স্মৃতিসরণ করেছেন তাই বেশ কিছু জানার সুযোগ হলো আমাদের সকলের। আশা করবো খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে আরো পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit