সেই দুরন্ত শৈশবে কাঁঠাল চুরির বাস্তব ঘটনা। পর্ব:-০২।

in hive-129948 •  last month 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ বুধবার। ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

IMG_20240514_112246_244.jpg



রাজু কাঁঠাল গাছ তলায় গিয়ে নিশ্চিত হলো যে-- এই গাছে কাঁঠাল তো পেকেছেই, কাঁঠাল পেকেছে একের অধিক। আশেপাশে কাঁঠাল গাছের মালিক ছিল না, তাই রাজু এক লাফে কাঁঠাল গাছে উঠে পড়লো এবং নিশ্চিত হলো যে, মোট তিনটা কাঁঠাল পেকেছে। তিনটি পাকা কাঁঠাল একই জায়গায়। তারপর রাজু খুব দ্রুত গাছ থেকে নেমে আসলো। গাছ পাকা কাঁঠালের লোভ সামলানো খুবই কঠিন। কিন্তু এর চেয়েও কঠিন ওই কাঁঠাল গাছ থেকে পাকা কাঁঠাল চুরি করা। স্কুলে যাওয়ার সময় আমাদের চার বন্ধুর মধ্যে বারবার কথা হচ্ছিল যে, আমরা কিভাবে পাকা কাঁঠাল গুলো চুরি করতে পারি।



স্কুলে পৌঁছানোর পরে ক্লাসে আমাদের পড়ার প্রতি কোন মনোযোগ নেই। আমাদের পরিপূর্ণ মনোযোগ পাকা কাঠালের দিকে। যেহেতু দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ হাফ স্কুল। ওই সময় বৃহস্পতিবারে ১:১৫ মিনিটে স্কুল ছুটি হয়ে যেত। ওই দিনেও একই সময়ে স্কুল ছুটি হবে। কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারলাম যে, প্রথম দুইটা ক্লাসের পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুইটা ক্লাসের পরে যখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হলো ঠিক সেই সময় আমরা চারজন বন্ধু সুযোগ বুঝে স্কুল পালিয়ে চলে এসেছিলাম। আমার বন্ধু পলাশ বলেছিল, পাকা কাঁঠাল চুরি করার জন্য আমরা স্কুল থেকেও চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছি। এই কথাটি শুনে আমি, মারুফ আর রাজু বলেছিলাম, কি আনন্দ!



স্কুল থেকে পালিয়ে আমরা প্রথমে আমাদের বইগুলো গুছিয়ে একটি ঝোড়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম। তারপরে কাঁঠাল গাছের আশেপাশে কেউ আছে কি-না দেখার চেষ্টা করেছিলাম। কাঁঠাল গাছের একটু নিকটে এসে দেখতে পেলাম যে, কাঁঠাল গাছের মালিক ওই কাঁঠাল গাছ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা আরো একটু কাছাকাছি এসে দেখলাম যে, কাঁঠাল গাছের মালিক বড়শি দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরছে। আমরা বুঝতে পারছিলাম না যে, উনি কখন মাছ ধরা শেষ করবেন। কাঁঠাল গাছের মালিক বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছিল, আর আমরা চার বন্ধু ঝোড়ের মধ্যে লুকিয়ে দেখতে লাগলাম। উদ্দেশ্য একটাই, যখনই কাঁঠাল গাছের মালিক বাড়ির দিকে যাবে ঠিক সেই সময় পাকা তিনটে কাঁঠাল চুরি করবো।



ঝোড়ের মধ্যে বসে থাকাটা যে কতটা কঠিন সেদিন শতভাগ বুঝতে পারছিলাম। মোটা মোটা মশাই মুখের গাল কামড়িয়ে লাল করে দিয়েছিল। মাঝেমধ্যে মশার কামড় সহ্য না করে নিজের গালে এতো জোরে চড় মারছিলাম যে, নিজের গালেই যেন হাতের আঙ্গুলের ছাপ লেগে যাচ্ছিল। আর দুই পায়ের কথা কি বলবো--মশার কামড়ে দুই পায়ের বিভিন্ন জায়গা ফুলে গিয়েছিল। তারপরেও পাকা কাঁঠাল বলে কথা, পাকা কাঁঠাল চুরি থেকে বিন্দুমাত্র পিছুপা হয়েছিলাম না। এদিকে হঠাৎ করে আমার পিছন থেকে আমার আরেক বন্ধু মারুফ উহু করে উঠলো। তাকিয়ে দেখলাম যে, বেচারা তার প্রসাব করার যন্ত্রটি অর্থাৎ লিঙ্গটি চেপে ধরে অনবরত উহু উহু করে যাচ্ছে।
(চলমান থাকবে)



প্রথম পর্বটি পড়ার লিংক





আমার পরিচয়।

IMG_20220709_132030_108.jpg



আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।

১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের কাজ সম্পূর্ণ।

Screenshot_20241210-190933.jpg

Screenshot_20241210-191021.jpg

Screenshot_20241210-190603.jpg

অতীতের স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে বেশ ভালো লাগে। আর আমাদের সকলের অতীতের দারুন দারুন স্মৃতি রয়েছে। আজকে আপনি একটা অসাধারণ স্মৃতিসরণ করেছেন তাই বেশ কিছু জানার সুযোগ হলো আমাদের সকলের। আশা করবো খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে আরো পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হবেন।