গল্প // তিন মূর্তি //পর্ব-০২.

in hive-129948 •  6 days ago 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ সোমবার। ২০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

boys-1283786_1280.jpg

Source



রহিমের বাবার কথা শুনে রঞ্জিত কিছুটা সাহস পেল। কারণ রহিমের বাবার বংশটা বেশ বড় এবং সেই বংশে অনেক লাঠিয়াল মানুষ রয়েছে। শুধু তাই নয়,রহিমের দাদা আদিও জমিদার মানুষ ছিলেন এবং তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার মনের মানুষ। রহিমের দাদা যখন বেঁচে ছিলেন তখন রহিমের দাদা নিজ ইচ্ছায় অনেকগুলো জমি দান করেছিলেন সংখ্যালঘু হিন্দুদের, যাতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঘরবাড়ি তৈরি করে সেখানে বসবাস করতে পারে। এমনকি রহিমের দাদা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল মানুষকে অত্যন্ত ভালবাসতেন এবং তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন। তাই রহিমের দাদার মৃত্যুর পরে রহিমের বাবা এবং রহিমের অন্যান্য চাচারাও সব সময় সংখ্যালঘু হিন্দুর সম্প্রদায় সকল মানুষের সাথে সহমর্মিতা বজায় রেখেছে।

তারপর রঞ্জিত উঠে দাঁড়ালো রহিমের বাবার সামনে। তারপর রহিমের বাবা রঞ্জিতকে বললো, আমরা একই দেশের সন্তান এবং একই মহল্লায় বসবাস করছি, তাই আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো আমাদের সুসম্পর্কটা বজায় রাখার। রহিমের বাবা রঞ্জিতকে আরো বললেন, তোমরা অবশ্যই মনে সাহস নিয়ে নিজ ভিটা বাড়িতেই অবস্থান করবে। তারপর রঞ্জিত রহিমের বাবার কাছ থেকে তার নিজের বাড়ির দিকে রওনা হলো এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই রঞ্জিত তার বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে দেখল যে, জাফর হুজুর মাথায় টুপি দিয়ে রঞ্জিতের বাড়ি থেকে জোর করে দুইটি গরু ও কয়েকটি ছাগল দিয়ে চলে যাচ্ছে। জাফর হুজুরের সাথে আরো তিন জন লোক রয়েছে।

রঞ্জিতের বাড়ির অন্যান্য মহিলা সদস্যরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছিল এবং মারধর করেছিল। শুধু তাই নয়, জাফর হুজুর এবং তার সঙ্গীরা মহিলাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জাফর হুজুরের কার্যাবলী দেখে রঞ্জিত রেগে আগুন হয়ে গেল এবং রহিমের বাবার দেওয়া উপদেশ স্মরণ করলো। তারপর রঞ্জিত একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে একসাথে চারজনকে বাংলা প্যাদানি দেওয়া শুরু করলো, রঞ্জিতের সাথে রঞ্জিতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসেও জাফর হুজুরসহ তাদের চারজনকে ঝাঁটাপেটা শুরু করেছিল। এক পর্যায়ে মার সহ্য করতে না পেরে চারজন চার দিক থেকে দৌড়ে পালানো শুরু করলো। এমন অবস্থায় দৌড়াতে গিয়ে জাফর হুজুর তার লুঙ্গিতে পা বেঁধে মাটির উপর ধোপাস করে পড়ে গেল এবং তার লুঙ্গি খুলে গেল।

জাফর হুজুর তার লুঙ্গি রেখে মাথায় টুপি দিয়ে এবং উলঙ্গ শরীর নিয়ে মা-রে বাবারে বলতে বলতে দৌড়াতে লাগলো। একই সাথে রঞ্জিতও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে জাফর হুজুরের পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলো।কোনো রকমে জাফর হুজুর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনা খুব দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো। এদিকে রহিম, রাম এবং জাফর হুজুরের ছোটো ছেলে রমজান একসাথে স্কুল থেকেই বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। তখন তার এই সংবাদটি শুনতে পেয়ে অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিল এবং রহিম ও রমজান রামদের বাড়িতে এসেছিল

প্রথম পর্বটি পড়ার লিংক





আমার পরিচয়।

IMG_20220709_132030_108.jpg



আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।

১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।

Vs68WyhR4ueWguiqU5CbbyMd2eBafmyPRcYVv3LiYRs71UXq9fEqpbeAVPzHYduBype2HWE8Nhc1iC2fZdQmNHV5MZTGyeziTZ2mg568ZW...TRTB4jvHeRQc9AcbRtSb6rm2Xqo2rYeYVjEqeuuVpyH6LQKRAsoHRV9mDWTjypFu24ubjoTGKhcaV6dUT5n1EMEH1zuX4ai8pTKqaj72GU2WNBjYQqPAWdorH.webp

3CQ5eBKFPEFNa39hevVYBjMk22F7hc9Vsydt2d7L2Mik9X6X5XDn6V5u2tLTr2dsMToGQfqzwYnDY8ogMD1htpwkujtTUMvzXtseYduURP...a2yyG8GVQx6vvxVcY336ZYj3d1d5xFEqrZQfZEEkYhcRGM7bHvVEvLzrZBLspwHUL8v47KTKKCzFN7fdJzGJWiSWwSgEqSH8vmS1Tf4XCi1NMQAzp92NNYJUm.webp

3CQ5eBKFPEFNa39hevVYBjMk22F7hc9Vsydt2d7L2Mik9X6X5XDn6V5u2tLTr2dsMToGQfqzwYnDY8ogMD1htpwkujtTUMg9fm14EJD7JS...9kW1phpAKWFLkmE1VGrDefyUSZAwCuEv6icMCdKv9voU5sGwvV245HKg49QLeF3D3vEQP6JLpeY5oBtowhu45zXzzwEsLVqCLLfLAfLvs6zj5CzULF56tRLsf.webp



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের কাজ সম্পন্ন।

Screenshot_20250120-233556.jpg

Screenshot_20250120-233423.jpg

Screenshot_20250120-232927.jpg