হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ সোমবার। ২২ ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সঙ্গে সঙ্গে আমার বন্ধু বকুল হাত-ঝাড়া দিয়ে চিৎকার করে উঠলো। তার চিৎকার শুনে আমরা দুজন ভয়ে লাফিয়ে উঠলাম। এরপর সে তার বাম হাতের তর্জনী আঙ্গুল চেপে ধরে আস্তে আস্তে শুকনো স্থানে আসলো। আমি তাকে দেখলাম যে, আঙ্গুলে লেগে থাকা কাঁদা ভেদ করে রক্ত বের হচ্ছে। আমার বন্ধু বকুলের তর্জনী আঙ্গুলের উপরের অংশে জিওল মাছ কাটা ঢুকিয়ে দিয়েছিল। যার কারনে অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং যন্ত্রণায় আমার বন্ধু বকুল একেবারেই কাতরাতে লাগলো। এরপর আমার বন্ধু বকুল বলতে লাগলো কাটা লেগে যাওয়া স্থানটি চেপে ধরে ওখান থেকে আরও রক্ত বের করে দিতে। তারপর তোমার দুটি হাত পরিষ্কার করে বকুলের আঙ্গুল থেকে চেপে রক্ত বের করতে লাগলাম। বকুলের আঙ্গুল থেকে বিষাক্ত রক্ত বের করার সময় আমিও ভয়ে কেমন যেন কাঁপছিলাম।
এদিকে শোল মাছ নিয়ে বসে থাকা বন্ধুটিও আমাদের কাছে চলে আসলো। আমার বন্ধু বকুল আমাদের মধ্যে মাছ ধরার কাজে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিল। সে জানতো যে, কিভাবে জিওল মাছের বিষাক্ত কাটা'র প্রভাব শরীর থেকে দূর করতে হয়। যখন বকুলের আঙ্গুল থেকে অনেকগুলো রক্ত বের করা হলো তখন সে আস্তে আস্তে স্বস্তি পেতে লাগলো। কিন্তু যন্ত্রণা পুরোপুরি ভালো হলো না। তখন আমার বন্ধু বকুল বললো, যদি তেলাকুচা পাতার রস আমার আঙ্গুলে দেওয়া যেত তাহলে আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতাম। বকুলের কথা শুনে আমি এক দৌড়ে একটি জঙ্গলে চলে গিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে সবুজ তেলাকুচার পাতা সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর পাতাগুলো এনে আমার দুই হাতের তালুর মাঝখানে দিয়ে চেপে থেতো করে রস বের করেছিলাম।
তেলাকুচা পাতার রস বকুলের আঙ্গুলে দেওয়ার ৫-৭ মিনিটের মধ্যেই বকুলের শরীর থেকে সকল যন্ত্রণা আস্তে আস্তে দূর হয়ে গেল। একই সাথে জিওল মাছের কাটা ঢুকিয়ে দেওয়ার স্থানটি যতটা ফুলে গিয়েছিল আস্তে আস্তে সে ফুলার পরিমাণ কমতে লাগলো। আসলে আমার বন্ধু বকুল তার বড় ভাইদের সাথে অনেক আগে থেকেই বিলে মাছ ধরতে যায়। তাই সে তার বড় ভাইদের কাছ থেকে শিখেছিল যে, জিওল মাছে কাটা ঢুকিয়ে দিলে কিভাবে তৎক্ষণাৎ ট্রিটমেন্ট করতে হয়। এরপর আমরা তিনজন পুনরায় আমাদের মাছ ধরার স্থানে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আশপাশের স্থান থেকে পানি চুয়ে এসে বেশ খানিকটা পানি জমে গেছে। একই সাথে দুপুর শেষ হয়ে বিকেল বেলা হয়ে গেছে। আমার এক বন্ধু তার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো যে, এখন প্রায় তিনটে বেজে গেছে। একই সাথে আমরা সকলেই বেশ ক্ষুধার্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সেই সকালবেলায় খাবার খেয়েছি।
এদিকে আমার এক বন্ধু বলে উঠলো আজকে আর মাছ ধরার দরকার নেই, আগামীকাল এসে মাছ ধরলেই হবে। কিন্তু আমার বন্ধু বকুল বললো, আগামীকাল এসে এই মাছ আর পাওয়া যাবে না। তাই আমরা পুনরায় সিদ্ধান্ত নিলাম যে, মাছ ধরেই বাড়ি যাবো। তারপর আমরা দুজন পুনরায় পানি ছেকতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর পানি যখন শেষ হয়ে গেল তখন পুনরায় তিনজন মিলে মাছ ধরা শুরু করলাম। আমার বন্ধু বকুল পূর্বের মতো মাছ ধরতে পারছিল না। কারণ জিওল মাছের কাটা ঢুকিয়ে দেওয়া স্থানটি কিছুটা ফোলা ছিল এবং ব্যথা ছিল। মাছ ধরার শুরুতেই আমরা একটি গর্তের মতো স্থান দেখলাম। সেখানে হালকা পরিমাণে পানি ছিল। আমার বন্ধু বকুল বললো, ওখানে অনেকগুলো জিওল মাছ থাকতে পারে। বকুলের কথাই ঠিক হলো, গর্তের মতো স্থান থেকে প্রায় সাত থেকে আটটি মাঝারি ও বড় সাইজের জিওল মাছ খুবই কষ্ট করে ধরতে পেরেছিলাম।
এমনিতেই কাঁদা পানিতে পরিপূর্ণ গর্ত মধ্য থেকে জিওল মাছ ধরা খুবই কঠিন। এরপর আবার বকুলের অবস্থা দেখে জিওল মাছ দেখার সাথে সাথে ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছিল। তারপরও অদম্য ইচ্ছা এবং সাহসের কারণে জিওল মাছগুলো ধরতে পেরেছিলাম। মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে সেই শোল মাছটি কচুরিপানার ভিতর থেকে বের হয়ে আমার ডান পায়ের গোড়ালির কাছে এসে কাদার মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দিল। শোল মাছটির অবস্থান দেখে আমার বন্ধু বকুল বললো, এবার খুব সহজেই শোল মাছ ধরা যাবে। আমি বলেছিলাম, শোল মাছটি আমি একাই ধরবো। আমার কথা শুনে আমার অন্য দুজন বন্ধু বলে উঠলো, পারবি তো? বন্ধুর প্রশ্নের উত্তরে মাথা নাড়িয়ে বোঝালাম পারবো। এরপর আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে শোল মাছের মাথার অংশটি দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলাম। তারপর দাঁতে দাঁত কামড়িয়ে শোল মাছটি ধরে উঁচু স্থানের দিকে যেতে লাগলাম। এদিকে আমার দুই বন্ধু মাছ ধরা বাদ দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। শোল মাছটি এতটাই চেপে ধরেছিলাম যে, আমার দুই হাতের কব্জির অংশ থরথর করে কাঁপছিল।
আমার শৈশব জীবনে খালে ও বিলে মাছ ধরার স্মৃতিময় মুহূর্তের বাকি কথাগুলো পঞ্চম পর্বে শেয়ার করা হবে।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit