আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি লাইফ স্টাইল এর পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক দিন পরে খুবই সুন্দর একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকে আমি যে পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷ আপনারা হয়তো আমার এই পোস্টের টাইটেল দেখে কিছুটা বুঝতে পেরেছেন যে আমি কি ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আসলে আমার একটি বড় স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে আমি এগিয়ে যাচ্ছি৷ তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই পোস্টটি শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আপনারা সকলেই জানেন যে আমি একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করি৷ কিছুদিন আগে একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে এখন দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলাম৷ একইসাথে আমি পলিটেকনিকের যে চার বছরের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং রয়েছে সেটিও করার আগ্রহ অনেক বেশি ছিল৷ সেই ভিত্তিতে আমি অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম৷ গত বছর যখন ভর্তির আবেদন চলছিল তখন আমি সেখানে ভর্তির আবেদন করেছিলাম৷ তবে কিছু অনলাইন জটিলতার কারণে গত বছর সেখানে ভর্তি হওয়ার সময় আমি ভর্তি হতে পারিনি৷ তবে আমি আমার মনোবল শক্ত করে ধরেছি এবং ভেবেছিলাম যে যেহেতু গত বছর ভর্তি হতে সমস্যা হয়ে গিয়েছিল তাই আমি এই বছর আবারও ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করব৷ তাই আমি আমার একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষাও দিয়ে দিলাম৷ সবকিছুই খুব ভালোভাবে চলছিল। এরপর যখন আবারো ভর্তির আবেদন শুরু হলো তখন আবার আমি ভর্তির আবেদন করলাম এবং এখানে প্রথম চান্সে আমার নাম চলে আসলো৷ যা দেখে আমি একেবারে খুশি হয়ে গিয়েছিলাম৷
এরপর শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ৷ যখন আমি প্রথমে এখানে একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছিলাম এবং একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষাও কিছুদিন কিছুদিনের মধ্যেই ছিল তাই সবাই চিন্তা করছিল যে আসলে এখন কি এখান থেকে ভর্তি বাতিল করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো নাকি আবার এখানে থেকে যাব৷ তখন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথাবার্তা বলার পর সব জায়গা থেকে একটি পজিটিভ চিন্তাধারা বেরিয়ে আসলো৷ সবাই বলল যে এখানে একাদশ শ্রেণীতে অথবা দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করার চেয়ে সেখানে গিয়ে পলিটেকনিক এর ডিপ্লোমা কোর্স করে নিলে অনেক ভালো হবে৷ একইসাথে সেখানকার যে স্টুডেন্টরা ছিল তারা অনেকেই আমার বন্ধুবান্ধব ছিল৷ একই সাথে অনেক বড় ভাইরাও সেখানে ছিলেন৷ তখন তাদের সাথে কথা বলার পরে তারা বলে যেহেতু নাম চলে এসেছে তাই তাড়াতাড়ি যেন সেখানে ভর্তি হয়ে যাই৷ একইসাথে এখানকার একজন বড় ভাই আমাকে বলেছিলেন যে ওনার ছোট ভাইকে উনি অনেক কষ্ট করেও সেই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করাতে পারেননি৷ এর ফলে তিনি এখন অন্যান্য কাজেই ব্যস্ত রয়েছেন৷ তাই আমাকে বললেন যে তুমি যেহেতু এখন সেখানে চান্স পেয়েছো তাহলে এখনই সেখানে ভর্তি হয়ে যাও। যদি সেখানে ভর্তি হয়ে যেতে পারো তাহলে ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে৷ তাই সকলের সাথে আরো অনেক আলাপ আলোচনা করে আমি ভর্তি কনফার্ম করে দিলাম৷
এরপর চলে গেলাম আমাদের কলেজে এবং সেখানে পরীক্ষা চলছিল৷ সেই পরীক্ষা দিয়ে দিলাম এবং সে পরীক্ষা যেদিন শেষ হয়ে যাবে সেদিনই আমি আমার ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন করলাম৷ সেখানে ভর্তি বাতিলের আবেদন করার সময় তেমন একটা সমস্যা হয়নি৷ কারণ সেখানে কিছুটা সমস্যা হওয়ার কথা ছিল৷ কারণ তাদের মধ্যে একটি চিন্তা ভাবনা ছিল যে এখন যদি এই ছেলেটা এই কলেজ থেকে ভর্তি বাতিল করে চলে যায় তাহলে তাদের কিছুটা সমস্যা হতে পারে৷ অথবা কোন না কোন কারণেই তারা আমাকে ভর্তি বাতিল করার জন্য আগ্রহ দিচ্ছিল না৷ তখন আমি বললাম যে আমি এই কলেজে আর থাকবো না এবং এই কলেজ থেকে আমি চলে যাব৷ তাই আমি আমার বাতিলের আবেদন করতে চাই৷ তখন তারা আমার আবেদন গ্রহণ করল৷ সেদিন আমাদের কলেজের নতুন একজন অধ্যক্ষ এসেছিল৷ যার ফলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততার মধ্যে আমার কাজটি হতে অনেক দেরি হয়েছিল৷ তারপরে আমি আমার কাজটি সেরে নিলাম৷ এরপর আমি সেখান থেকে একটি ফরম নিয়ে চলে গেলাম। সেখান থেকে ফরমটি নিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্রগুলো সহ কুমিল্লা বোর্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে৷ সেখান থেকে একটি চিঠি নিয়ে আসলেই কলেজ থেকে আমার সবগুলো কাগজপত্র দিয়ে দিবে৷ তখন আমি সেই চিঠি আনার জন্য কুমিল্লা বোর্ডে যাব ভাবছিলাম৷ কিছুদিন পরেই শুরু হয়ে গেল আন্দোলন৷ এর ফলে সবকিছুই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ এরপর যখন আমার ভর্তির ডেট অনেকটাই কাছাকাছি চলে আসলো তখন আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি কুমিল্লা বোর্ড থেকে ঘুরে আসার জন্য এবং সেই চিঠি নিয়ে আসার জন্য৷ তবে তা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না৷ তখন আমাদের এখানকার একজন শিক্ষক রয়েছে যিনি এই কাজগুলো সম্পর্কে অনেক ভালো জানেন৷ তিনি সবকিছুই আগে থেকেই করে এসেছেন৷ তাই উনাকে আমি দায়িত্ব দিয়ে দিলাম৷ উনাকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে উনি সবগুলো কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন৷ একইসাথে সেখানে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে ও ব্যাংকড আপ করা যাচ্ছিল না৷ ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে কোন কাজও হচ্ছিল না৷ একইসাথে বোর্ডেও কোন ধরনের কাজ করা যাচ্ছিল না৷ কারণ ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে সেখান থেকে একটি রিসিট নিয়ে সেটি বোর্ডে জমা দিলেই তারা চিঠি দিবে৷ তা নাহলে তারা চিঠি দিবে না৷ এরপর অনেকদিন পরে যখন সে এই কাজটি করতে পারল না৷ তখন ভর্তির ডেট দেওয়া হয়েছিল ১১ থেকে ২০ শে আগস্ট পর্যন্ত৷
তবে বিভিন্ন কারণবশত সেই ভর্তির তারিখ বাতিল করা হয়৷ পরবর্তীতে একটি নতুন ভর্তির ডেট দেওয়া হবে এরকম একটি কথা বলা হয়েছিল৷ এরপর যখন তারা নতুন ভর্তির তারিখ দিবে তার মাঝামাঝি সময়ে আমি অনেক গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে দিলাম৷ যে শিক্ষককে আমি সবকিছু দিয়ে বলেছিলাম সবকিছু নিয়ে আসার জন্য সেই শিক্ষক করতে পারছিল না৷ সে শুধু ডেটের পরে ডেট দিয়ে যাচ্ছিল৷ আজকে গেলে বলতো কালকে আসো৷ কালকে গেলে বলতো পরদিন আসো৷ এভাবে করতে করতে সে একেবারে ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলে গিয়েছিল৷ তবে আবারো ভর্তির ডেট দেওয়া হয় ১৯ থেকে ২৫ আগষ্ট৷ তখন তাকে বলে দেওয়া হয় যাতে করে সে সবকিছু এখনই নিয়ে আসে এবং সে যদি এখন এগুলো নিয়ে আসতে না পারে তাহলে কাগজপত্র আমাদেরকে দিয়ে দিতে হবে৷ আমরা এখনই কুমিল্লা চলে যাব৷ কারণ এখন আবার সবকিছু স্বাভাবিক ছিল৷ বোর্ড ও ব্যাংক খোলা হয়েছিল৷ তাই তাকে একটি ডেডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ তখন তাকে ডেডলাইন দিয়ে দেওয়ার পরেও সে ১৯ তারিখ পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে যায়৷ ১৯ তারিখ বিকেল বেলা আবারও তার সাথে দেখা করার জন্য গেলাম৷ তখন আমরা ভেবেছিলাম যে সবকিছুই তার কাছ থেকে নিয়ে চলে আসবে এবং ২০ তারিখে আমরা বোর্ডে চলে যাব৷ তখন সে ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করার বলে যে সে চিঠি নিয়ে এসেছে এবং সে আমাদেরকে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছিল৷ একইসাথে তার সাথে যে টাকা কন্ট্রাক হয়েছিল তার থেকেও সে আরো অনেক গুন বেশি টাকা দাবি করছিল। তবে আমরা সব কিছুই জানতাম৷ কারণ সেখানে আমাদের একজন বন্ধুর কাজিন ছিল৷ তাকে জিজ্ঞাসা করার পর বলে যে বোর্ড এখন সচল রয়েছে এবং সেখানে কোন কিছুই এখন হচ্ছে না৷ সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে৷ যখন ওই ব্যক্তির কাছে গেলাম তখন সে চিঠি দিয়ে দিল৷ ২০ তারিখে আমি চলে গেলাম কলেজে এবং কলেজে যাওয়ার পরে তাদেরকে সে চিঠি দিয়ে দিলাম৷ সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমি আমার সেই কাগজ পেয়ে গেলাম৷ আমার মার্কশিট এবং প্রশংসা পত্র আমাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এরপর আমি আমার সকল কাগজপত্র তৈরি করে নিলাম এবং সেই কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে গেলাম ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে৷ সেখানে যেতে যেতে দুপুর ১টা বেজে গিয়েছিল৷ সেখানকার সবগুলো ফরম পূরণ করে সেখানে ভর্তি হয়ে গেলাম এবং সেখানে খুব সুন্দর একটি পরিবেশ ছিল৷ এর পরবর্তী সময়ে সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে আবারও আমাদের বাসায় চলে আসলাম৷ আর সেদিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল৷ তার কিছুদিন পরেই আমাদের ইনস্টিটিউট ডুবে যায় এবং আমরা ভর্তি হওয়ার পরবর্তী দিন থেকেই বৃষ্টি হয়ে বন্যা শুরু হয়ে যায়। যাইহোক জীবন থেকে এক বছর বেশি চলে গেলেও আমি আমার নিজের স্বপ্ন পূরণের একটি ধাপের দিকে পৌঁছে গেলাম৷ আশা করি আমি চার বছর এখানে আমার ধৈর্য সহকারে সবকিছু শেষ করে বের হয়ে আসতে পারবো৷ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন৷ যাতে করে আমি ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করতে পারি এবং এই ইনস্টিটিউট থেকে ভালো কিছু অর্জন করে আমি সেখান থেকে ভালো রেজাল্ট নিয়ে বের হয়ে আসতে পারি৷ আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ০৫.০৯.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের লাইফ স্টাইল পোস্ট। আসলে কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি জানিনা। তবে আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ দিয়ে। আর আপনাদের উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে হয়তো আরো ভালো কিছু করতে পারব,সেজন্য আপনাদের সাপোর্টের অনেক অনেক প্রয়োজন।যাইহোক বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1831531451483066742?t=wXUlkZMs517hFQFw8xnDwg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রতি ভালোবাসা সব সময় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
WOWZA! 🤩🌹* What a stunning visual feast you've got here! 😍 I'm loving the vibrant colors and playful vibe of these images. It's like a breath of fresh air, right? 😊
I just can't get enough of this kind of creativity and energy! ❤️ It's infectious and makes me want to dive in and explore more. So, let's get this party started! 🎉
What do you think about these mesmerizing visuals? Do they spark any inspiration or emotions in you? Let's chat about it in the comments below! 💬
And don't forget, if you love Steem as much as I do, please vote for our witness, xpilar.witness! 😊 Just head over to https://steemitwallet.com/~witnesses and give us your support. Together, we can keep growing and thriving as a community! 🌱
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit