এক গভীর অরণ্যে, যেখানে সূর্যের আলো পাতায়
ফুটে পড়ে, বাস করত এক কিশোরী, নাম রিমা। রিমা ছিল প্রকৃতির প্রেমিকা। প্রতিদিন সকালে সে পাখিদের গান শুনতে বনে যেত। একদিন, বনের গভীরে ঘুরতে ঘুরতে সে দেখতে পেল একটি বিরাট গাছ। গাছটির গায়ে ছিল অদ্ভুত আলোর ঝলকানি। রিমা ভয়ে পেয়ে গেল, তবুও তার কৌতূহল তাকে গাছের কাছে টেনে নিয়ে গেল।
হঠাৎ, গাছের গুহা থেকে বেরিয়ে এল এক বৃদ্ধা। বৃদ্ধা রিমাকে বলল, "ভয় পেয়ো না বৎসী, আমি এই বনের রক্ষাকারী। এই গাছটি হল 'জীবন গাছ'(গাছ হলো বনের প্রাণ)। যারা এর স্পর্শ পায়, তারা অসুস্থতা থেকে মুক্তি পায়।" রিমা অবাক হয়ে গেল। তার দাদী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। রিমা দ্রুত জীবন গাছের স্পর্শ করল।
কয়েকদিন পর, রিমা তার দাদীকে জীবন গাছের (ঔষধি)পাতা দিয়ে তৈরি ওষুধ খাওয়াল। অলৌকিকভাবে, রিমার দাদী সুস্থ হয়ে উঠলেন। রিমা সকলকে জীবন গাছের কথা জানালো।
লোকেরা দূর-দূর থেকে এসে জীবন গাছের স্পর্শ নিতে লাগলো। রিমা বনের রক্ষাকারীদের সাথে মিলে বন রক্ষার জন্য কাজ করতে লাগলো।
এভাবে, রহস্যময় বন এবং জীবন গাছ রিমার জীবনে নতুন অর্থ বয়ে এনেছিল। রিমা শিখেছিল, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং যত্নই আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে।