হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩/০৬/২০২৪) রোজ: বৃহস্পতিবার।
💞 শুভ সকাল 💞
ইতিপূর্বে আপনারা যারা আমার এই বিষয়ের পর্ব গুলো দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন । যে ঢাকায় যাওয়া আমার অনেক একটা শখ ছিল। তবে ঢাকায় প্রথম যার অনুভূতি আমার সত্যিই খুবই ভালো লেগেছে। তবে ঢাকায় প্রথম গিয়ে সেখানকার দৃশ্য দেখতে পেয়ে একটা অন্যরকম ফিল হয়েছিল। তবে আমি একদম সকালের দিকে ঢাকায় পৌঁছেছিলাম। তাই সন্ধ্যা হতে নামাজ পড়ার জন্য পাঞ্জাবি পড়ে খুবই মাথায় দিয়ে মসজিদের দিকে রওনা দিলাম। তবে সন্ধ্যা হতেই বোঝা যায় আসলে ঢাকা শহর কেমন এবং কতটা সুন্দর। আর এমন প্রথম দৃশ্য দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। নামাজ শেষ করে রুমে ফেরার আগে বাজারের দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই এমন সময় চলতি পথে থেমে একটা সেলফি ছবি তুলি যেটা আপনারা উপরে দেখতে পাচ্ছেন।
প্রথম ঢাকায় গিয়েছি আর সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে নিচে এসে এমন দৃশ্য দেখে মনটা একদম ভরে গেল। রাতের এমন দৃশ্য দেখবে ছবি না তুলে আর থাকতে পারলাম না। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন আলোয় সজ্জিত ঢাকা শহরের এক নির্দিষ্ট স্থানের বাজার। এছাড়াও ঢাকা শহর দিন রাত যেন মনে হয় বোঝা যায় না। কেননা সন্ধ্যায় এবং রাতেও দিনের মতো সব আলোক উজ্জ্বল থাকে।
মাগরিবের নামাজ শেষ করে ভেবেছিলাম একটু বাজারে ঘোরাঘুরি করি। কেননা প্রথম ঢাকায় এসেছি আর একটু বাজার ঘুরাঘুরি করবো না তা তো হয় না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে ঢাকা শহরে প্রতিটা জায়গায় জন মানুষের অনেক সমাগম দেখা যায়। নামাজ শেষ করায় আমার হাতে অনেক সময় ছিল। এদিকে ফুফুমনি বলেছিল নামাজ পড়তে যাচ্ছ ঠিক আছে। তবে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি করে দেখে এসো। কেননা আমার ভালোলাগার জন্যই বলেছিলেন। সত্যি কথা বলতে নতুন কোন জিনিস সামনাসামনি দেখলে খুবই ভালো লাগে। তো এভাবে নামাজ শেষে প্রথমে আমি একটু মার্কেটের মধ্যে গেলাম। মার্কেটে প্রবেশ করেই আরো বেশি ভালো লাগলো। মার্কেটের মধ্যে বিভিন্ন লাইটিং সহ অনেক জিনিসপত্র খুব সুন্দর করে সাজানো বোঝানো রয়েছে যা দেখে মন ভরে যায়। আসলে কোন কিছু যদি এলোমেলো থাকে সেটা তেমন একটা নজরে আসে না। একই জিনিস যদি সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো থাকে তাহলে খুব সহজে দৃষ্ট আকর্ষণ করে। তো মার্কেটে প্রবেশ করাই আমার অনেকগুলো জিনিস দেখতে পেয়ে ভালো লেগেছিল এবং আমার মনটা একদম ভরে গিয়েছিল। তাছাড়া মার্কেটে যে জিনিসগুলো আমি দেখেছিলাম সেগুলো খুবই উন্নত মানের। এমনকি দেখলেই যেন মনে হয় সবগুলো ক্রয় করেনি। আর আমি ফাস্ট ঢাকায় গিয়েছি এবং প্রথম এমন আলোকচিত্র চোখের সামনে সত্যিই মুহূর্তটা ছিল অসাধারণ। আর এমন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পেরে যে ভালো লেগেছিল তার কিছু অংশ অপূর্ন ছিল। আর সেই অপূর্ণ অংশটুকু ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে বা নিজের সেলফি তোলার মাধ্যমে পূর্ণ হলো।
এভাবে ঢাকা শহরে আমার প্রথম দিন সন্ধ্যার মুহূর্ত পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাটলো। তবে সন্ধ্যার এই মুহূর্তটি বা সন্ধ্যার পরে যে দৃশ্য আমি দেখেছিলাম এগুলো সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি একদম অবাক হয়েছিলাম যে, দারুন দেখতে লাগছে। কেননা সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে। তো অনেক সুন্দরদের মধ্যে দিয়ে নামাজ শেষে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি করলাম । সাথে মার্কেটে গেলাম এতে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। এভাবে প্রায় আধাঘন্টা একটু চারপাশ দেখতে ছিলাম। পরবর্তীতে আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম। আমি ছিলাম মিরপুর ১১ তে। আর এই স্থানটিকে আরও একটি নামে সবাই চিনে থাকেন সেটা হচ্ছে মুড়ি পট্টি। যাইহোক সবমিলিয়ে সকাল অব্দি সন্ধ্যা তার মধ্যে সন্ধ্যার মুহূর্তটা আমার কাছে ছিল বেস্ট। আরে সন্ধ্যার মুহূর্তটুকু উপভোগ করতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। এবং মনটা উৎফুল্ল হয়ে গিয়েছিল।
টেবিল-০১ | টেবিল-০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি