হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৪/০৬/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞 জুম্মা মোবারক 💞
ইতিপূর্বে আপনারা যারা আমার এই ভ্রমণের পর্ব গুলো দেখেছেন। আজকে আপনারা এই পর্বটি দেখতে পেয়েও আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার খুবই শখ ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাব। আলহামদুলিল্লাহ শখটাটা আমার পূরণ হয়েছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আমি কলেজ থেকে ভ্রমণ করেছি । আর কলেজে নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করে বেশ মজা এবং আনন্দ উপভোগ করেছি। আমি মনে করি ভ্রমণ জিনিসটাই মজার। কোথাও ভ্রমণ করা মানে আনন্দ উল্লাসের আরও একটা সময়। এমনিতেই আমি ঘুরতে অনেক বেশি ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করার মধ্য দিয়ে জ্ঞান বাড়ানোর আরেকটি ভালো মাধ্যম। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে গিয়ে সেদিন থেকেই বেশ মজার সময় পার করেছি। এদিকে আমরা স্যারের সাথে প্ল্যান করেছিলাম যে সেখানে আমরা এক রাত থাকবো সাথে দুইদিন খুব সুন্দর ভাবে ঘুরে দেখবো। ইতিপূর্বে আমি দেখেছি যারা শিক্ষা সকলের যায় তারা কখনো এভাবে রাত্রিটা সেখানে পার করে না কিন্তু আমরা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গিয়েছিলাম তাই একটি বাস গিয়েছিল। আমরা সবাই বলেছিলাম যে আমরা এক রাত সেখানে থাকবো এবং রাতের দৃশ্যটাও আমরা সেখানে উপভোগ করবো। এরপরে আমরা সন্ধ্যায় হোটেল থেকে বন্ধুরা মিলে একসাথে রাত্রের খাবার শেষ করলাম। এরপরে অনেকেই রেস্ট করলো এবং অনেকেই বললো চলো বীচে গিয়ে একটু সময় পার করি। আমরা যেহেতু সেখানে ঘুরতে গিয়েছি তাই ঘুমানোর তো কোন প্রশ্নই আসে না। আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে রাত্রে বীচে চলে আসলাম। সত্যিই দিনের বেলায় যেটুকু কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে উপভোগ করেছি বা মুহুর্ত পার করেছি রাত্রে আবার বীচে এসে তার চেয়েও বেশি আনন্দ উপভোগ করলাম। কারণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে রাত্রেবেলার দৃশ্যটা খুবই দৃষ্টি নন্দন এবং বেশ ভালোলাগার একটা মুহূর্ত । মাঝে মাঝে এই সমুদ্রের কলোধ্বনি কানে শুনতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। এভাবেই সমুদ্রের নিচে যে বসার স্থান ছিল সেখানে বেশ কিছু সময় পার করলাম এমন সময় আমার একটা বন্ধু আমাকে হঠাৎ করেই ফটোগ্রাফি করে নেই আর সেই ফটোগ্রাফির ছবিটা আপনারা ওপরে দেখতে পাচ্ছেন ।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যে আমরা কি কি খেয়েছিলাম সেগুলো আস্তে আস্তে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একটা ফেমাচ হচ্ছে মালাইয়ের চা। আমরা একসাথে ছিলাম চারজন বন্ধু তাই রাত্রে বেলায় ঘোরাঘুরি করলাম এবং অবশেষে বীচের পাড়ে বসে এক কাপ মালাইয়ের চা খেলাম সত্যি চা টা ছিল খুবই স্বাদ এখনো যেন মনে হয় আমার জিভে জড়িয়ে আছে। আসলে আমি তেমন চা খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু একটু ভিন্ন রকম চাওয়া কফি হলে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার। তবে সেখানে যে মালায়ের চায়ের যে একটা মাটির হাড়ি যেটাই চা দিচ্ছে এটা দেখেই খাওয়ার বড় ইচ্ছে জাগলো। তাই খেয়ে নিলাম সত্যিই খুবই স্বাদ ছিল চা টি। প্রতি এক কাপ এ মালাইয়ের চায়ের মূল্য নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা। মালাইয়ের চা টি খাওয়ার পরে আমি এই হাঁড়িটি খুব সযত্নে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম কারণ এটা আমার একটা স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়ার জন্য। আপনারা যারা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক তাদের কাছে বলবো অবশ্যই এই মালাইয়ের চা খেতে ভুলবেন না। আর রাত্রে র যে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সেটা অবশ্যই দেখবেন।
যখন চা বিক্রেতা মামা আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে হাড়িতে বসিয়ে কফি দিয়েছিলকথাটা সমুদ্র সৈকত থেকে খাওয়া মালাই চার ফটোগ্রাফিটি আপনার উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাহলে তো কুয়াকাটা ভ্রমণ করতে গেলে অবশ্যই রাতের বেলায় এই মালাই চায়ের স্বাদ নিতে হবে। কুয়াকাটা ভ্রমণের বাকি পর্বগুলো দেখা হয়নি তবে এই পর্বে আপনার মনের আবেগ সম্পর্কে কিছুটা বুঝতে পারলাম আসলে আপনার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল কুয়াকাটা ভ্রমণ করা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া অবশ্যই মালাইয়ের চা খেতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে এবং অনেক সুন্দর কিছু সময় সেখানে অতিবাহিত করা যায়৷ আজকে আপনি সেরকম একটি সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই মালাই চা খাওয়ার মুহূর্তও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অবশ্যই সেখানে গিয়ে এই মালাই চা টেস্ট করতে হবে৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্যই টেস্ট করে দেখবেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit