আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮/০৯/২০২৪) রোজ: বুধবার।
💞শুভ বিকেল💞
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। নাস্তা শেষ করতেই বাড়ি থেকে বললো আপুর বাসায় যেতে। তাই গাড়িটি ঘর থেকে নামিয়ে আমার হাতে একটা মাছের ব্যাগ দিল। আর বলল খুব দ্রুত মোটরসাইকেলে গিয়ে তোমার আপুকে এই মাছগুলো দিয়ে আসো। তবে ওই মুহূর্তে আমার মাথায় আসলো গাংনীতে যেতে হবে। তাই ভাবলাম আপনি বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমি ওই পথেই গাংনীতে যাবো। তাই বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমি রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা বাস্তব গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। তাছাড়া আপনারা টাইটেল দেখেই অনুমান করতে পেরেছেন আমার এই গল্পটা কি বিষয়ে আমি লিখতে যাচ্ছি। তাহলে আমি একদম প্রথম থেকে শুরু করি। আমি যখন বাসা থেকে যাই তখন আমার বাবা আমার কাছে ১৪০০ টাকা দিয়েছে। আমাকে বলেছিল তুমি যেহেতু গাংনীতে যাচ্ছ তাই ঔষধ নিয়ে আসবে। এবার আমি গাড়ি নিয়ে তেল পাম্প। সেখানে গাড়িতে তেল ভরে নিলাম। তারপর আমি আবার গাংনী বাজারে রওনা দিলাম। তাই বাবা বলেছিল ঔষাধ নিয়ে আসতে । আসলে বাজারে গেলে যদিও একটা কাজ নিয়ে যায় সাথেই আরো অনেক কিছু বেধে যায়। তাছাড়া বাজারে গেলে কাজের কোন শেষ থাকে না। এমনিতেও মাঝেমধ্যে বাজারে গেলে অনেকটা কিছু নিয়ে আসতে বলে যাই। তাই আমি ভাবলাম আগে আমি ঔষধের দোকানে যাব। তাই আগে আমি ফার্মেসিতে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমি একটা মলম নিয়ে এবং এক পাত এলার্ট ট্যাবলেট ক্রয় করি। এখানে আমার দাম এসেছিল ২০০ টাকা। এবার আমি সেখানে ২০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আবার বাজারের দিকে আসলাম।
এরপরে আমি আরো কিছু ঔষধ ক্রয় করার জন্য আরেকটি ফার্মেসিতে যায়। কেননা আমি যেই ঔষধ নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম সেই ঔষধ যে ফার্মেসিতে পাওয়া যায় আবার সে ফার্মেসিতে গেলাম। গিয়ে সেখানে ঔষধ নিয়ে আমার ঔষধের দাম আসলো ৬০০ টাকা। এবার আমি সেখানে ৬০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ওখান থেকে ব্যাক করলাম। এবার আরো কিছু কেনার জন্য একটি মুদিখানার দোকানে যাই। আর সেখানে গিয়ে আমি যাবতীয় জিনিসপত্র ক্রয় করি। সেখানে আমি তিন প্যাকেট কয়েল, ১ কেজি চিনি ও আধা কেজি ওজনের একটি ঋণ হুইল পাউডার ক্রয় করি। এসব গুলোর মূল্য এসেছিল ৩২৮ টাকা। তারপর সেখানে টাকা পরিশোধ করে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে এবার সোজা বাসার দিকে রওনা দিবো। ঠিক এই মুহূর্তে মানিব্যাগ খুলে দেখি টাকা নেই। এদিকে বার বার আমি হিসাব করে দেখতেছি আমার ২০০ টাকা ঘাটতি। তখন আমার মনে হয়েছিল আমি কি কোথাও টাকা ফেলে দিলাম। এরপরে আমি বাজার থেকে কিছুটা দূরে এসে একটি গাছের ছায়ায় গাড়ি থামিয়েছিলাম। আসলে আজকে যতটা রোদ তাতে করে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। কেননা রোদের যে তাপ তাতে ঘেমে একদম গা ভিজে গেছে। সেই সাথে আবার ২০০ টাকা পাচ্ছি না। বুঝতে পারছেন কতটা টেনশন শুরু হলো। এবার আমি আবার প্রথম থেকে আমি হিসাব মিলাতে শুরু করলাম। কিছুতেই আমার আর মনে পড়ছে না। এভাবে গাংনী বাজার থেকে বাসা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পথ শুধু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে 200 টাকা করে ফেললাম। আসলে কিছু সময়ে ভুলে গেলে টেনশন শুরু হয়ে যায় এটা তারা আজকে একটা বাস্তব ঘটনা আমার সাথে ঘটলো। আসলে আমি কোনোভাবেই মিলাতে পারছি না ২০০ টাকা কোথায় গেল। এভাবে আমি পুরোটা পথ শুধু মাথায় ঘুরপাক একই কথা। তবে একটা বিষয় হচ্ছে ড্রাইভিং করার সময় যদি কোন টেনশন মাথায় ঢুকে যায় তাহলে কিন্তু পথ চলতে একটু ঝামেলা হয়। তাই আমি খুব ধীর গতিতেই বাসায় আসলাম। বাসায় এসে আগে ফ্যানের নিচে বসে ঠান্ডা হলাম। এমনিতেও আজকে যে গরম পড়েছে তাতে আমি অনেক ক্লান্তি। সেটা একটা বিষয়। আবার এদিকে আমি হিসাব করে ২০০ টাকা মিলাতে পারছি না এটাও একটা অন্যরকম বিষয়। বাসায় এসে ফ্যানের নিচে বসে আগে আমি একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপরে আমি পুনরায় আবার হিসাব করলাম। এরপরে আমার মনে হয়েছিল আমি মোটরসাইকেলে তেল ভরেছিলাম এটা আমার মাথায় ছিল না। সত্যিই মাঝে মধ্যে এমন ভুল আমাদের সকলের সাথে হয়ে থাকে। তবে আজকে আমি এই ছোট একটা ভুল করার মাধ্যমে অনেক টেনশন পার করেছি। তাছাড়া হঠাৎ করেই এমন ভুলটা করে বসে ছিলাম সত্যি এটা অকল্পনীয়। তারপরে কিন্তু ঠান্ডা মাথায় হিসাব করে আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার ২০০ টাকা কোথাও পড়ে যায়নি এবং আমার ২০০ টাকা ফার্মেসিতেও আমি বেশি দি নাই। তাই মাঝে মধ্যে আমাদের সাথে এই ভুলগুলো বারবার হয়ে থাকে। তবে সেই সময় সেটাকে ভুলে গেলে আমার মনে হয় ভালো হবে। কেননা আমাদের এই ভুলের কারণে খুব দ্রুতই টেনশন বেড়ে যায়।
তাই আজকে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি সেটা হচ্ছে এই টেনশন এর সময় নিজেকে কোন একটা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। এবং সুন্দর একটি পরিবেশে থাকতে হবে। এবং মনটাকে পুরো ফ্রেশ করে মন মাইন্ড ঠিক রেখে আবার যদি হিসাব করা যায়। তাহলে ঠিক সে হিসাব মিলে যাবে। সত্যিই আমি যদি বাজারে বার বার এভাবে আমি হিসাব করতাম তাহলে বারবার আমি ভুল করতাম। কেননা এমনিতেই যে গরম পরছে তাতে আমি ক্লান্তি সেই সাথেই আবার নিজেকে পেশার দিচ্ছে হিসাব মিলাতে। সব মিলিয়ে বেশি চাপে পড়ার কারণে আমি তখন হিসাবটা মিলাতে পেরেছিলাম না। তবে যাই হোক শেষমেষ বাসায় এসে হিসাব মেলাতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। তাই নিজের অভিজ্ঞতাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যাতে আপনাদের সাথেও যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে কিছু হলেও এই পোস্টটি পড়ার মধ্য দিয়ে আপনি একটু উপকার পাবেন।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু ভুলে গেলে টেনশন হয় এটা কিন্তু স্বাভাবিক একটা বিষয়। তবে ভুলে যেন না যাই তাই কোন কিছু করার মুহূর্তে বা মনে রাখতে হবে এমন সময়টা একটু মনোযোগ দিয়ে মাথায় আনতে হবে এবং বারবার সেটা উল্লেখ করতে হবে দেখা যাবে সেটা সহজে ভুল হচ্ছে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন ভুল আমাদের সবার কম বেশি হয়ে থাকে। আর তখনই টেনশন সৃষ্টি হয়। বেশ ভালো লাগলো কিছুটা মিল খুঁজে পেলাম ভুলের সাথে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে তখন আমাদের ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit