আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৯/০৯/২০২৪) রোজ: বৃহস্পতিবার।
💞শুভ রাত্রি💞
আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি বিষয় পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা আপনারা আমার টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। আসলে আজকে সারাটা দিন এতটাই ব্যস্ত ভাবে পার করলাম তা বলে বোঝাতে পারবো না। আজকের পুরা ব্যস্ত দিনের মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। নাস্তা শেষ করেই হঠাৎ আমার কাছে একটা ফোন আসলো। ফোনটা ছিল দুলাভাইয়ের। আমার দুলাভাই পাট কৃষি উপসহকারী। আজকে আমাদের গাংনী উপজেলায় একটা ট্রেনিং ছিল। ট্রেনিং টি হচ্ছে পাট বীজ প্রশিক্ষণ। আসলে প্রশিক্ষণে যাওয়ার জন্য আমাকে ফোন দিয়েছিল। তাই আমি ফোনটা রিসিভ করার পরে বিষয়ে জানতে পেরে দ্রুত গোসল শেষ করি। গোসল শেষ করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। এরপরে উপজেলায় হলরুমে গেলাম। সেখানে অনেকে এসেছিলেন এর প্রশিক্ষণে। এ প্রশিক্ষণ টিম ১০ঃ৩০ মিনিটের দিকে শুরু হল। তারপরে এভাবে একাধারে বারোটা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ হয়েছিল। এখানে এই প্রশিক্ষণের সভাপতি ছিলেন আমাদের উপজেলায় নির্বাহী ইউনিয়ন মহোদয় জনাব প্রিত্তম সাহা। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়েই এই প্রশিক্ষণে উদ্বোধন শুরু হল। তো ঠিক বারোটার সময় প্রশিক্ষণ শেষ হলো। প্রশিক্ষণ শেষ হলে আজকে আরো অনেক কাজ ছিল কেননা আজকে টাকা আদায় করতে গিয়েছিলাম। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে সোজা আম ঝুঁপিতে যায়। সেখানে এক জায়গায় আমাদের ব্যবসার কিছু টাকা পাওয়া যেত। তাই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে তাদের কাছ থেকে যে টাকাটা পাবো তার মধ্যে তারা কিছু টাকা দিল।। এবং তারা আমাদের কাছে সময় নিল এক সপ্তাহ অর্থাৎ সামনে সপ্তাহে তারা পরিশোধ করবে।
এদিকে আমঝুপিতে যেতে যা সময় লেগেছে তাতে দুপুরের খাবার টাইম হয়ে গেছে। তাই আর দেরি না করে আমরা সেখানে একটা হোটেলে আমি আর আমার মেজ বাবা খেয়ে নিলাম। আসলে সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার ডাইরেক্ট মেহেরপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কেননা মেহেরপুরে আমরা আরও দুই জনের কাছে টাকা পাবো। তাই আমরা সেখান থেকে রওনা দিয়ে মেহেরপুরে পৌঁছাতে আমাদের ৪০ মিনিট লাগলো। মোটর সাইকেলে পথ যদিও দীর্ঘ তারপরে শর্ট টাইমে আমরা পৌঁছে ছিলাম। তবে মেহেরপুর যেই দুই জনের কাছে আমরা টাকা পেয়েছিলাম এসে দেখি তাদের দোকান বন্ধ। সত্যিই তারপরেই একটা অন্যরকম টেনশন শুরু হলো। মানুষের কাছ থেকে জানতে পারলাম তারা দোকান সাড়ে ৪ টার সময় খোলে। তবে আমরা যখন পৌঁছেছিলাম তখন আমাদের ঘড়িতে বাজে 2:30 মিনিট। তাহলে এতটা সময় সেখানে বসে পার করা কিন্তু খুবই মুশকিল। তাছাড়া আজকের আবহাওয়াটা যেমন ছিল তাতে কেউ ভালো থাকতে পারেনি। কেননা আজকে প্রচুর গরম পড়েছে সেই সাথে যখন মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং করছি তখন ভালো লাগছে। তবে মোটরসাইকেল থামিয়ে নামলেই গরম শুরু হয়ে যাচ্ছে তখন আর থাকতে পারছি না। সত্যিই সেখানে পৌঁছে গিয়ে বিষয়টা জানতে পারলাম তারা আসরের আযানের পরে দোকান খুলে। তো কি আর করার আমরা চলে যেহেতু এসেছি অনেকটা পথ তাই আমরা সেখানে অপেক্ষা করলাম। এভাবে অনেকক্ষণ বসে থেকে কোনভাবেই সময় পার হচ্ছে না। কি আর করব এদিক-ওদিকে হাঁটাহাঁটি করছি । পাশের দোকানে গিয়ে বসছি । সেখানে ঠান্ডা খাচ্ছি ।তারপরেও যেন মনে হচ্ছে সময় পার হচ্ছে। তুই কারোর জন্য অপেক্ষায় থাকা খুবই কঠিন সেটা আজকে বুঝতে পারলাম। তবে এতটা গরম আজকে পড়েছে তা বলে বোঝাতে পারবো না যে কারণে আরও বেশি অশান্তি লেগেছে। তবে কি আর করার অনেকটা পথ যেহেতু চলে এসেছি তাই বাড়ির দিকে আর আসতে পারছিনা। এরপরে ঠিক আসরের আযানের সময় দেখছি দোকান খুললো তারা। তারপর তাদের কাছে টাকাটা পাই সেটা বললাম তারা আজকে আমাদের কিছু দিল। এবং তারা এক সপ্তাহ সময় নিলো। আসলে তাদের কাছ থেকে সময় নিয়ে সেখানে আগে একটু বসিয়ে নিলাম। এরপরে আবার গাড়িতে উঠলাম। আমার তো আজকে খুবই খারাপ লেগেছিল কেননা গরমে আমার একদম ভালো লেগেছিল না।
মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং করা গরমের মধ্যে কিন্তু খুবই কষ্ট আবার খুবই শান্তি। কেননা মোটরসাইকেলে বসে গাড়ি চালালে সেই সময় একটু ভালো লাগলেও কিন্তু গাড়ি থামালেই সেই গরমের ভাবটা বোঝা যায়। তাছাড়া আজ কে এতটাই রোদ হয়েছে এতে করে রোড অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়েছে এবং সেই গরমটা আমাদের গায়ে লাগছিল। এমনকি সব মিলে অনেক জার্নি করেছে আজকে। আজকে প্রায় ১৫০+ ড্রাইভ করেছি। তো শেষমেষ সন্ধ্যা হতেই বাসায় ফিরলাম। তবে দেখে বুঝতেই পারছেন সকালে আমি বাসা থেকে বের হয়েছি এদিকে আমি সারাক্ষণ মোটরসাইকেলের উপরে। যে কারণে আমার আজকে অনেকটা কাজ বাকি রয়ে গেছে। এইতো কিছুক্ষণ আগেই বাসায় এসে গোসল করলাম কেননা গরমে একদম ভালো লাগছে না। এখন আমার প্রচন্ড ক্লান্তি লাগছে। আর আজকে সারাটা দিন এই ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কেটে গেল আমার। তাছাড়া আজকে শরীরের উপরে অনেক চাপ দেওয়া হয়ে গেছে। কেননা বাড়ির খাবার আর বাইরের খাবার কখনো সেট খায় না আমার। আজকে দুপুরে হোটেলে খেলেও যেন মনে হচ্ছে দুপুরে খাইনি। তবে বাসায় এসেই ভাবলাম যেহেতু বিদ্যুৎ আছে তাই গোসল শেষ করেই ফ্যানের নিচে বসলাম। তারপরেই এই পোস্টটি লিখলাম এবং এই পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আর এই ব্যস্তময় দিনটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ব্যস্ত সময় গেছে আপনার আজকে। শুরুতে ট্রেইনিং, তারপর টাকা আদায়ের জন্যে ক্লায়েন্ট থেকে ক্লায়েন্ট ঘুরাঘুরি। তার উপর গরম! সভবতই ক্লান্ত থাকার কথা।
রেস্ট নিন। ভাল থাকুন।
আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশান (American Diabetic Association- ADA) এর মতে, একজন বয়স্ক ডায়াবেটিস রুগী (১৮ বছরের উর্দ্ধে) কে প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মধ্যম মাত্রার (moderate-intensity exercise) শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। অথবা, প্রতি সপ্তাহে ৭৫ মিনিট কঠোর মাত্রার (vigorous-intensity exercise) শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। মাংশপেশী (Muscle-strengthening exercise) গঠনের জন্যে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সপ্তাহে দুই দিন বা তার বেশী।
কিভাবে বুঝবো ব্যায়ামের তীব্রতা কেমন হচ্ছে?
এটার জন্যে আগে বের করা লাগবে একজন মানুষের ম্যাক্সিমাম হার্ট (Maximum Heart Rate-MHR) রেট কত হতে পারে। এটা বয়সের উপর নির্ভর করে। সূত্রঃ MHR=২২০- বয়স। [উদাহরণঃ একজনের বয়স ৪০ বছর। তার MHR=২২০-৪০=১৮০ বিটস/মিনিট]
কঠোর মাত্রার ব্যায়ামঃ ব্যায়াম করা অবস্থায় কারও হার্ট রেট যদি তার নিজস্ব MHR এর ৭০% বা তার উপরে যায় তাহলে সেটাকে কঠোর মাত্রার ব্যায়াম হিসাবে ধরা যাবে। [উদাহরণঃ ৪০ বছর বয়স্ক লোকের কথায় ধরা যাক যার MHR হচ্ছে ১৮০ বিটস/মিনিট। তার MHR এর ৭০% হচ্ছে ১২৬ বিটস/মিনিট। অর্থাৎ তার হার্ট রেট ১২৬ বিটস/মিনিটের উপরে গেলেই বলা যাবে যে তিনি কঠোর মাত্রার ব্যায়াম করছেন]
মধ্যম মাত্রার ব্যায়ামঃ যখন হার্ট রেট তার MHR এর ৫০%-৭০% মধ্যে থাকবে। [উদাহরণঃ উপরের ব্যক্তির হার্ট রেট ৯০-১২৬ বিটস/মিনিটের মধ্য থাকলে বলা যাবে যে উনি মধ্যম মাত্রার ব্যায়াম করছে।]
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছো। তুমি খুবই ব্যস্ত একটি দিন পার করেছে সেটি আমাদের মাঝে সম্পূর্ণ লিখে শেয়ার করেছ। তুমি এবং তোমার মেজ বাবা দুজন মিলে বাইক নিয়ে বের হয়েছিলে জানতে পারলাম। যেহেতু দুপুরের খাবার টাইম শেষ হয়ে যাচ্ছিল তাই তোমরা আমঝুপিতে একটি হোটেলে খাবার খেয়েছ জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে গরমের দিনে বাইক ড্রাইভিং করা সত্যি বেশ কষ্টকর। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই আজকে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিয়ে দিনটি পার করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সারাদিনের বিভিন্ন ব্যস্ততার মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে। যাই হোক আপনার এই পোস্ট করে আপনার আজকের সারা দিনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit