ভুল রাস্তা মানুষকে অনেক হয়রানি করায়।

in hive-129948 •  5 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৯/০৮/২০২৪) রোজ: সোমবার।

pexels-pixabay-326709.jpg

ছবিটিএখান থেকে নেওয়া হয়েছে

💞 শুভ দুপুর 💞

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ আমি @biplob89 অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমি আজকে আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা হলো ভুল রাস্তা মানুষকে অনেক হয়রানি করায়।।

আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি তা আমার টাইটেল দেখেই কিছুটা বুঝতে পেরেছেন। আসলে মানুষ মানেই ভুল। কিন্তু এই ভুলগুলো এমন সময় হয়ে যায় যা কখনো শোধরানো যায় না। এমনকি তার শোধরাতে বেশ সময় এবং সার্বিক পরিস্থিতির প্রয়োজন। আজ ঠিক যেমনটি আমার সাথে হয়েছে। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে চুয়াডাঙ্গার গাড়ি সার্ভিসিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আর আজকে ঘটলো আমার সাথে সেই ঘটনা। আমার বাসা থেকে চুয়াডাঙ্গা অনেক দূরে। মোটরসাইকেলে যদি সেই ভাবে যাওয়া যায় তাহলে ৫০ মিনিট টাইম লাগবে। কিন্তু এখানে মেন রোডে গাড়ি চালানো একটা অন্যরকম ব্যাপার।

বাসা থেকে খেয়ে মোটরসাইকেল সাথে হেলমেট সহ মোটরসাইকেলের কাগজপাতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় রওনা দিলাম। এর মধ্যে আমার মাঝে একটা ভয় কাজ করছে সেটা হচ্ছে পুলিশে যদি গাড়ি ধরে। যদিও গাড়ির কাগজপত্র আছে কিন্তু আমার ড্রাইভিং নেই। যে কারণে অনেক ভয় লাগছে‌ । তো নির্ভয় রওনা দিলাম। ঠিক ঘড়িতে যখন ১১ টা বাজলো তখন আমি চুয়াডাঙ্গায় বাজাজ শোরুমে পৌছালাম। এদিকে ঠিকঠাক ভাবে পৌঁছে গেলাম। আপনারা জানেন নতুন গাড়ি ক্রয় করলে সেখানে ফ্রি সার্ভিসিং থাকে। আর তার জন্য সে নির্দিষ্ট শোরুমে যেতে হয়। তাই আজকে আমি গিয়েছিলাম। এবার মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করার কাজ ৩০ মিনিটের মাথায় শেষ হয়ে গেল। ওখানে এতক্ষণ বসে ছিলাম। এবার বাসায় যেতে হবে। তাই চুয়াডাঙ্গা তেলপাম থেকে ১০০ টাকার তেল ভরে নিলাম। যদিও গাড়িতে তেল ছিল। তারপরেও ১০০ টাকার নিয়ে নিলাম। তবে আজকে আমি প্রথম মোটরসাইকেল নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় গিয়েছিলাম যে কারণে পথ তেমন আমি একটা চিনি না। তবে বর্তমানে পথ না চিনলেও নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌঁছানো যায়। কেননা এদিক-ওদিকে তাকালে বোঝা যায় আমি কোথায় অবস্থান করছি এবং আমার সামনে কোন রাস্তা এবং আমার সামনে কি বাজার। যাইহোক খুব ভালোভাবেই শোরুমে পৌঁছে গাড়ি সার্ভিসিং এর কাজ শেষ করলাম। এবার বাসায় আশার পালা। পথের মধ্যে কোথাও আর দাঁড়ালাম না। চুয়াডাঙ্গা হতে পথের মধ্যে কিছুক্ষণ আসতেই বৃষ্টি। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল তাই গাড়ি আর কোথাও থামালাম না। আমি ঠিক গতিতে আসলাম। এদিকে হঠাৎ করে আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে আসমান খালির রোডে না এসে আমি চলে গিয়েছি মেহেরপুর এর রোডে। কেননা এর আগে আমার কখনো চাওয়া হয়নি যে কারণে আমি পথ খুব একটা চিনতে পারি। কিন্তু সেটা আমার কোন সমস্যা হয়েছিল না। বৃষ্টির কারণে গাড়ি জোরে চালাতে আমি পথ ভুলে গিয়েছিলাম। এমনকি আসমান খালি রোডে না আসে আমি মেহেরপুর রোড এসেছি। আসলে পরিস্থিতি এমনই ছিল যে আমি কোথা থেকেও কোন ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করার সময় পায়নি। এরপরে এভাবে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে এসে আমি দেখি আসমান খালি যেতে আমার আবার অনেক ঘুরতে হবে। এদিকে আসমান খালি হয়ে আসার কারণ হচ্ছে হাটবোলিয়ায় আপুর বাসায় খাওয়া দাওয়া করবো। আমি যখন সকালে চুয়াডাঙ্গা গিয়েছিলাম‌ তখন আপা বলেছিল তুমি যেহেতু হাটবোলিয়া রোড হয়ে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছ‌। তাহলে যাওয়ার পথে খেয়ে যাবা। এদিকে আপু আমার জন্য মাংস রান্না করে বসে রয়েছে। আসার পথে আমি পথ ভুলে গিয়ে মেহেরপুর চলে এসেছি। যদিও আমি এরপরে আর আসমান খালি তে ব্যাক করলাম না। কেননা অনেক জার্নি করাতে আমি অনেক টায়ার্ড হয়ে গেছি। তাই আমি মেহেরপুরের রাস্তা খুব ভালোভাবে চিনি। এরপরে আমি সেখান থেকে সোজা গাংনী রোড হয়ে বাসায় আসলাম। এদিকে হাঁট বোয়ালিয়া যেতে হলে আমাকে আরো ২০ কিলোমিটার যেতে হবে। তাই গাংনীতে পৌঁছে গিয়ে আপুর কাছে ফোন দিয়ে বললাম আমি অন্য পথ দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আপু আমার জন্য খাবার রেডি করে বসে রয়েছে আমার অপেক্ষায়। আমারও ইচ্ছা ছিল দুপুরে খেয়ে আসবো আপুর বাসায়। কিন্তু তা আর হলো না। আমার সামান্য একটু ভুলের জন্য আমি পুরা রাস্তাটাই হারিয়ে ফেলেছি। এদিকে বাসা থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে সাথে আপুও ফোন দিচ্ছে। কোথায় আছো? ওই মুহূর্তে যদি আমি বলি আমি পথ ভুলে গিয়েছি তাহলে তারা টেনশন করবে। তাই আমি আর কিছুই বললাম না। আমি মনে মনে ভেবে নিলাম যেহেতু আমার যেই পথে যাওয়া কথা সেই রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় চলে এসেছি তাই এই রাস্তা দিয়েই বাসায় যাব। বিষয়টা বাসায় গিয়ে বললেই ভালো হবে। এতে করে তারা টেনশন করবেনা। কিন্তু আমার আসতে আরো দেরি হয়েছিল যে কারণে সেটা হচ্ছে বৃষ্টির কারণ।

যাইহোক একটু হয়রানি করেই আজকে আমার বাসায় আসতে হলো। তাই পথ যদি না চেনা যায় তাহলে সে পথ কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তার কোন ঠিক নাই। তবে আমার সাথে আজকে এমন হওয়ায় আমার খুবই খারাপ লেগেছে। কেননা আমার সাথে এমন কখনো হয়নি। তবে যাই হোক এই নতুন পথটাও চেনা হল তাতে ভালো লাগলো। তবে আমার একটা ভুল হয়েছিল যে আমি লোকেশন অন না করে এসেছিলাম। যদি আমি লোকেশন অন করে ফোন দেখে গাড়ি রানিং করতাম তাহলে হয়তো আমার এই হয়রানির শিকার হতে হতো না। আসলেই আজকে আবারো প্রমাণ হলো আমার সাথে । যে ভুল রাস্তা মানুষকে অনেক হয়রানি করায়।

টেবিল ০১টেবিল ০২
ডিভাইসOPPO A15
পোস্ট তৈরি@biplob89

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

💝 আল্লাহ হাফেজ 💝

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

খুব সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আপনি আজকে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে সত্যিই বলেছেন ভুল রাস্তা মানুষকে অনেক হয়রানি করে মানুষের জীবনে দুটো জিনিস খুবই ইম্পর্টেন্ট সঠিক রাস্তা ও সঠিক মানুষ, সঠিক রাস্তায় না গেলে যেমন হয়রানি হয়ে যায় সময় নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি ভুল মানুষ এর পিছনে পড়লে জীবন নষ্ট হয়ে যায়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু আজকের পোষ্টের প্রাসঙ্গিক হচ্ছে। আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে আসার পথে রাস্তা ভুলে গিয়েছিলাম। তাছাড়া অন্য কিছু না ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা যখনই কোন ভুল রাস্তায় যাই তখন আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। যেন চোখের সামনে সবকিছু উলটপালট হয়ে যায়। কখন আমি এই ভুল পথ থেকে রেহাই পাব। আপনি আপনার নতুন গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন।কিন্তু আপনার কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।এইজন্য আপনার পুলিশের জন্য খুব ভয় হয়েছিল এবং পরবর্তীতে আপনি আপনার গাড়ি সার্ভিসিং করেন । আর অচেনা এক রাস্তা ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই কারণে আপনাকে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল।অবশেষে যে বাড়ি ফিরেছেন তা জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আপু পোস্টটি খুব সুন্দর ভাবে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ আপু আমার এই একটু ভুলের জন্য অনেক হয়রানি হতে হয়েছিল।

আসলে ভজর রাস্তায় পা বাড়ালে পারে মহাবিপদ আর হয়রানি ভোগান্তিতে থাকবে। যাই হোক আপনার আজকের লেখা পড়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হল। যেখানে সচেতন ও সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হবে মানুষের এমনই লেখা ছিল। গাংনী হাট বলিয়া রোড ১২ কিলো দূর।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য । তবে বানানগুলো একটু ঠিক করে নেবেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মানুষ ভুল রাস্তায় পা বাড়লে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ‌। আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির কাগজপত্র থাকলে সব জায়গায় নিরাপদে যাওয়া যায়। আর এসব কিছু না থাকলে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। যাইহোক পরিশেষে নিরাপদে আসতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে ভাইয়া নতুন গাড়ি কিনেছি । তবে কাগজগুলো আশা করে খুব দ্রুত পেয়ে যাবো। ধন্যবাদ।