প্রিয় কমিউনিটির সদস্য ,আশা করি আপনারা সকলেই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।
এইতো মনে হয় সেদিন শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিয়েছি। এরপরে কৈশোর পার হয়ে আজকে জীবনের কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছি।এখনো চোখ বুজলে শৈশবের প্রতিটি স্মৃতি মনে পড়ে যায়। কখনো বা শৈশবের স্মৃতি মনে করে মিটিমিটি করে হাসি আবার কখনো বা মুখ গম্ভীর হয়ে যায়। কারণ আমার শৈশব ছিল খুব রোমাঞ্চকর।
আর সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার একটি সুযোগ করে দিল আর্মি দাদা গৃষ্ম কালীন ফলের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। শৈশবে আমরা তিনজন বন্ধু ছিলাম যে কাজগুলো করতাম সবাই একসাথে মিলেমিশে করতাম। আমি যদি ও ওদের থেকে বয়সে একটু ছোট ছিলাম কিন্তু ওরা আমাকে ছাড়া আর কোন কাজ করতো না। বিশেষ করে ফল চুরি করার বিষয়টি ছিল আমাদের জন্য খুব কমন একটি বিষয়। একদিন রাতে আম চুরি করার জন্যে মনস্থির করলাম।
যে কথা সেই কাজ। এই মোতাবেক সন্ধ্যাবেলায় আমরা তিনজনে এক জায়গায় হলাম। তখন ঠিক সন্ধ্যা ছিলনা একটু রাত হয়ে গিয়েছিল তাই হাতে আমাদের লাইট ছিল। বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পার হচ্ছিলাম আমরা তিনজন। ওরা দুজন ছিল আমার সামনে আর আমি ছিলাম পিছনে আমার হাতে ছিল টস লাইট। হঠাৎ পা স্লিপ কেটে আমি পানির মধ্যে পড়ে গেলাম ওরা পিছন দিকে তাকিয়ে আমাকে আর দেখেনা। পরে দেখে আমি হাঁটু পানির মধ্যে পড়েছি যাই হোক টানাটানি করে আমাকে উঠানো হলো। এরপরে আম চুরি করতে গেলাম সেখান থেকে গাছ থেকে কাঁচা কাঁচা আম পেড়ে আনলাম। আমাদের সাথে ছিল শুকনা মরিচ ও লবণ দিয়ে বানানো বিট লবণ। পাশের কলাগাছ থেকে কলাপাতা কেটে আনলাম। পরবর্তীতে আম গুলা কেটে কলা পাতার উপর মাখানো হলো। আহ কি স্বাদ একটু ঝাল একটু টক। এভাবে সবাই মিলে মজা করে আম মাখানো খেয়ে নিলাম। পরবর্তীতে বাসায় যাওয়ার পালা
বাসায় যেতে আমি একটু ভয় পাচ্ছিলাম কারণ রাতটা তখন বাজে প্রায় সাড়ে সাতটা। ভয়ে ভয়ে বাসায় গিয়ে পড়ার টেবিলে বসে গেলাম। পরে দেখি বাবা-মা কেউ ঠিক পায়নি যে আমি বাইরে ছিলাম।