ঈশ্বর আসলে কি?।।০৫ নভেম্বর ২০২৪

in hive-129948 •  2 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি ঈশ্বর আসলে কি এই প্রসঙ্গে আলোচনা করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

17307465272303612477039585952258.jpg

Image designed by AI


"ঈশ্বর" শব্দটি বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও দার্শনিক চিন্তায় ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে।সাধারণত, ঈশ্বরকে সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বত্র উপস্থিত এবং সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কল্পনা করা হয়।অনেক ধর্মে ঈশ্বরকে এমন এক চেতনা বা সত্তা হিসেবে দেখা হয় যিনি বিশ্বজগতের নিয়ম তৈরি করেছেন এবং তা পরিচালনা করেন।

একটি সাধারণ বৈজ্ঞানিক বা দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়,ঈশ্বর ধারণাটি মানবজীবনের অর্থ, বিশ্বজগতের সৃষ্টির কারণ এবং মানবতার পরম কল্যাণের চিন্তা থেকে উদ্ভূত।ঈশ্বরকে বাস্তব, অস্তিত্বহীন বা ধারণামূলক ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

  1. আধুনিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ বা অস্বীকার করতে পারে না।ঈশ্বরের ধারণা এমন একটি বিষয় যা বিজ্ঞান ছাড়িয়ে মানব অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাসের ক্ষেত্রে পড়ে।অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন,ঈশ্বরের ধারণাটি মানবতার সৃষ্টি সম্পর্কে এক ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রচেষ্টা।

  2. দর্শন ও যুক্তি:দর্শনের মধ্যে বিভিন্ন মতবাদ আছে যা ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি দেয়।যেমন, আদি কারণ (First Cause) তত্ত্ব অনুযায়ী ঈশ্বরকে সব কিছুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।আবার, নৈতিক তত্ত্ব (Moral Argument) অনুযায়ী মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের জন্যও ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা উল্লিখিত।

  3. আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় ব্যাখ্যা:ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঈশ্বর সবকিছুর উৎস এবং মানবতার পূর্ণতা।হিন্দুধর্ম, খ্রিস্টান ধর্ম, ইসলাম, বৌদ্ধধর্ম সহ বিভিন্ন ধর্মে ঈশ্বরের ভিন্ন ধারণা আছে।প্রতিটি ধর্মে ঈশ্বরকে ভালোবাসা, দয়া, ক্ষমা এবং ন্যায়বিচারের মূর্ত প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

  4. মানবিক দৃষ্টিকোণ:অনেকে ঈশ্বরকে একটি আধ্যাত্মিক শক্তি বা চেতনাময় সত্য হিসেবে মানেন যা আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে পরিচালনা করে।এ ক্ষেত্রে ঈশ্বর কেবল একটি সত্তা নয় বরং একটি অনুভূতি বা জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়ার মাধ্যম।

ঈশ্বরের ধারণা অত্যন্ত ব্যক্তিগত এবং সবার কাছে এর মানে ভিন্ন হতে পারে।ঈশ্বরকে কেউ পরম সত্য হিসেবে দেখেন,কেউ আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে আবার কেউ একে কেবল একটি ধারণা হিসেবে ভাবেন যা মানুষের চিন্তা, বিশ্বাস এবং জীবনের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার একটি প্রচেষ্টা।


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

1000158425.png

PUSS COIN:BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার আজকের লেখার টপিক টা বেশ জটিল ছিল দাদা। চাইলেই এটা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তর্ক বিতর্ক করা যায়।তবে আপনার যুক্তিগুলো পুরোপুরি তথ‍্য নির্ভর ছিল। দারুণ লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। আসলে এই টপিকটা নিয়ে মানুষের যুক্তি তর্কের শেষ নেই। আপনি এই টপিকটা নিয়ে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আধ্যাত্মিক বিষয় প্রত্যেকটি দিক থেকে মতামত গুলি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করে দিলেন। বিজ্ঞান থেকে শুরু করে আধ্যাত্ম্যবাদ, সব জায়গায় ঈশ্বরের আলাদা সংজ্ঞা। আপনি সেই দিকটাই ভীষণ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলেন। আপনার পোস্টগুলি পড়লে অনেক কিছু জানতে পারি। খুব ভালো লাগে প্রত্যেকটি পোস্ট পড়তে।।

দাদা, তোমার পোষ্ট মানেই ভিন্ন কিছু সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।ঈশ্বর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।তবে বুঝতে পারলাম সবকিছুর মূল হচ্ছে মানবতা।এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে আক্ষেপের শেষ নেই,ধন্যবাদ।