প্রাত্যহিক জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।।১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

in hive-129948 •  last year 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচছা জানিয়ে শুধু করছি।

বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি এবং আমাদের প্রাত্যহিক কাজ করি সব কিছুতেই AI ব্যাপক বিপ্লব ঘটিয়েছে।স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিবিশেষ এর পছন্দ থেকে শুরু করে অটো ড্রাইভিং যুক্তি গাড়ি সবেতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।সর্বব্যাপী, সুবিধা, দক্ষতা এবং নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে AI এর প্রয়োগ।

image.png

Image taken from freepik.com

আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবদান রেখে চলেছে।

বিনোদনের ক্ষেত্রে AI অ্যালগরিদম Netflix এবং Spotify-এর মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ব্যবহারকারীর পছন্দগুলি বিশ্লেষণ করে এবং সেইরকম প্লেলিস্ট সাজায়।এই সুপারিশগুলির হিস্টরি সময় এবং এমনকি পছন্দ বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে AI পুরো সিস্টেম কে নিয়ন্ত্রণ করে।সিরি এবং অ্যালেক্সার মতো ভার্চুয়াল সহকারীকেও ক্ষমতা দেয় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। রিমাইন্ডার সেট করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং স্মার্ট হোম ডিভাইসগুলি নিয়ন্ত্রণ করার মতো কাজগুলি করে থাকে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

স্বাস্থ্যসেবাতে ও এআই রোগী পরিষেবা কে সহজ ও সিস্টেমেটিক করতে সাহায্য করে।এআই অ্যালগরিদম সর্বোচ্চ নির্ভুলতার সাথে ক্যান্সার ,ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো রোগ সনাক্ত করতে সাহায্য করে।মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ফটো বিশ্লেষণ করতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ।এআই-চালিত চ্যাটবটগুলি ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের উপর বোঝা কমাতে এবং রোগীর পরিষেবা উন্নত করতে পারে এই AI।

কর্মক্ষেত্রে এআই রিপিট কাজগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করে এবং কর্মীদের আরও কৌশলগত কাজের উপর ফোকাস করে।এআই-চালিত সরঞ্জামগুলি প্রবণতা সনাক্ত করে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে এবং ডেটাসেটগুলি বিশ্লেষণ করে AI বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গ্রাহক পরিষেবায় এআই চ্যাটবটগুলি নিয়মিত অনুসন্ধানগুলি পরিচালনা করতে পারে, 24/7 সহায়তা প্রদান করে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির উন্নতি ঘটাতে পারে।

পরিবহণে AI প্রাইভেট যানবাহনের উন্নতি করছে ব্যাপক।স্ব-চালিত গাড়িগুলি রাস্তা নেভিগেট করতে, বাধা সনাক্ত করতে এবং রিয়েল-টাইম সিদ্ধান্ত নিতে AI অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তিতে দুর্ঘটনা, যানজট এবং নির্গমন কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের ভ্রমণের নিরাপত্তা বাড়ায়।

শিক্ষায় ক্ষেত্রে AI এর ভূমিকা ও প্রভাব এক কথায় ব্যাপক।এআই-চালিত টিউটরিং সিস্টেমগুলি শিক্ষার্থীদের পৃথক চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে।শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা ডেটা বিশ্লেষণ করে তাদের আসন্ন ভবিষ্যত সম্পর্কে প্রেডিকশন করতে পারে।

সত্যি কথা বলতে আমাদের পুরো মানব জীবনে AI পুরোপুরি ভাবে দখল নিতে চলেছে।এটা কতটা নেতিবাচক না ইতিবাচক সেটা সময় বলবে।তবে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবন সত্যি সহজ ও দ্রুত করে দিয়েছে।

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মানুষের জীবন যেন দিন দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। আপনি চিকিৎসা ক্ষেত্রের কথা বলেন বা অন্যান্য যে কোন খাতের কথাই বলেন সেটা যেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে। যেমন ক্যান্সার ডায়াবেটিস রোগগুলো শনাক্তের ক্ষেত্রে এআই বড় ভূমিকা রাখছে।

Posted using SteemPro Mobile

  ·  last year (edited)

যায়ই হোক না কেন,AI কিন্ত অনেক মানুষে মানুষের চাকুরি মেরে দেবে।
😑😑😑

দাদা আজকের ব্লগে দারুন বিষয়ে তুলে ধরেছেন ৷ এটা সত্য যে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিনিয়ত AI সুবিধা ভোক করছি ৷ আর যা আমাদের জীবন যাপনে আরও সহজ করছে ৷এক কথায় সর্বক্ষেত্রে AI বড় অবদান রাখছে ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা অনেক সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷

বর্তমান যুগে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এআই এর গুরুত্ব অপরিসীম। এআই এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। এতে করে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আমরা বেশ উপকৃত হচ্ছি। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের সুফলের সাথে কুফলও রয়েছে। অনেকেই এআই এর অপব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। হয়তোবা সামনে সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে জানতে পারবো। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার আমাদের জীবনে আরো বেশী গতিশীলতা এনে দিয়েছে আরো বেশী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফল ব্যবহার চলছে, হয়তো ভবিষ্যতে আরো প্রসারিত হবে, তবে সময় বলে দিবে আমরা কতটা নিখুঁত ব্যবহার করতে পারবো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। ধন্যবাদ দাদা।

এআইয়ের বেশ কিছু টুলস সেভ করে রেখেছি। এডুকেশনাল পারফাজ এ ব্যবহার করি মাঝে মাঝে। ভালোই লাগে, সহজে সমাধান করে দেয়। এআই এর ফলে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে ঠিকই তবে আমাদের সৃজনশীলতা অনেকটাই কমবে যে সামনে সেটা বুঝা যাচ্ছে।

  ·  last year (edited)

প্রথমে বলবো ভাই, পোস্টটা অনেকটাই তথ্যবহুল। কেননা যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করেছেন, তা সর্বক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য। এটা সত্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেকটাই সহজ করেছে, তবে আগামী সময়গুলোতে যে কি হবে, তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত আমি।

সব মিলিয়ে দারুণ লিখেছেন ভাই।

সকল ক্ষেত্রে AI এর ভূমিকা এত ব্যাপক জেনে খুবই ভালো লাগলো।দাদা এই পোষ্টের মধ্যে নতুন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেলাম।আসলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জীবনকে দিন দিন আধুনিক করে তুলেছে, ধন্যবাদ দাদা।

দাদা, বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI যে কতটা জায়গা দখল করে নিয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, সেটা তো তোমার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্র কিংবা কর্মক্ষেত্র সব জায়গায় এখন AI এর ব্যাবহার। একটা সময় পর দেখা যাবে যে, মানুষের আর তেমন বিশেষ কাজ করার প্রয়োজন হবে না। তবে এই ব্যাপারটা কতটা নেতিবাচক না ইতিবাচক হবে সেটা সময় বলে দেবে, এটা ঠিক বলেছো দাদা।