মাটি

পানি

বোতল

রঙ

তুলি

গ্লিটার

পুরনো টিফিন বক্স

প্রথমে আমি মাটিগুলোকে ছোট ছোট করে ভেঙে নিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে থাকলাম যাতে এগুলো নরম হয়। তারপর ছোট বল আকৃতির করে বানিয়ে নিলাম।

এই ধাপে আধা লিটারের একটি পানির বোতল নিলাম। তারপর বোতলের ঢাকনা খুলে রেখে দিলাম। বোতলের উপরে এই নরম করা কাদা মাটি দিয়ে পুরো বোতলটি কভার করে নিলাম যাতে এটি ট্রফির শেপে আসে।

এখন পুরনো একটি টিফিন বক্সের বাটি নিলাম। এই গোল বাটির মধ্যে ভিতরের অংশে আমি মাটি দিয়ে ভরাট করে দিলাম। তারপর এরমধ্যে বোতলটি বসিয়ে দিলাম।

বোতলের মাটি এবং সেই টিফিন বক্সের মাটি একসাথে করে আমি ট্রফির নিচের অংশের শেপ তৈরি করে নিলাম মাটির সাহায্যে। এরপর আবার উপরের দিকে বোতলটি বসিয়ে উপরে গোল অংশটি সেট করে নিতে থাকলাম।

এখন মোটামুটি ট্রফির মেইন শেপ করে নিয়েছি। আর যেহেতু এটি মাটির তৈরি করা তাই এটি শুকাতে কিছুটা সময় লাগবে। তাই রোদে দিয়ে শুকাতে থাকলাম। কিন্তু মেঘলা থাকার কারণে এটি শুকায় নি। তারপর আমি মাটির চুলার পাশেই একদিন রাখলাম। তার পরের দিন আবারো সকালবেলায় আগুন দেয়ার পর শুকিয়ে নিলাম।

দ্বিতীয় দিনের দুপুরবেলায় আবারো ট্রফি নিলাম। হাত দিয়ে আবার কিছুটা মাটি নিয়ে ট্রপির মাঝে বাঁকা করে যে অংশটা থাকে সেই ডিজাইনটা করতে থাকলাম।

আকাশে একদম মেঘে ভরা তাই রোদ নেই। এজন্য ট্রফিটি তৈরি করার পর চুলার উপরে দিয়ে দিলাম এবং দুই চুলায় আগুন দিয়ে দিলাম। যেহেতু রোদে শুকানো সম্ভব না আর তিন দিন এর মধ্যেই কাজটি শেষ করতে হবে। সেজন্যই আমি এটি ভালোভাবে শুকানোর জন্য চুলের পাশে রাখলাম।এভাবে ২দিন ভালোভাবে শুকালাম।

অবশেষে শুকানোর কাজ শেষ করার পর আমি ট্রফিটি রং করব। তাও রাতের বেলায় বসলাম রং করতে। এক্ষেত্রে আমি হলুদ রং নিলাম। হলুদ রং দিয়ে ট্রফির উপরের দিক থেকে রং করতে থাকলাম। উপরের অংশ পুরো হলুদ রং করে দিলাম।

তারপর সবুজ রং দিয়ে নিচের দিকের অংশটা রং করলাম। এর উপরে একটা বিট সবুজ রং দিয়ে করে নিলাম।

এই ধাপে আমি গোল্ডেন কালার নিলাম। তারপর ট্রফির মাঝের যে ডিজাইনটি থাকে তার উপরে গোল্ডেন কালার করলাম।নিচ থেকে উপরের দিকে কালার করে নিলাম।

এখন আমি গোল্ডেন এবং সিলভার কালারের গ্লিটার নিলাম। এগুলোকে সেই ট্রফির উপরে ছড়িয়ে দিয়ে ট্রফিটিকে গ্লিটার এর ভাব দিয়ে দিলাম। পুরো উপর থেকে নিচের অংশে ট্রফিতে গ্লিটার দিয়ে দিলাম। আর এখন এই ট্রফিটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে গেল।

এখন এই ট্রফিটি রং করতেও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। কারণ মাটির মধ্যে রঙগুলো বসছে না ঠিকমত। আর আমি বারবার রং করার পর এগুলো শুকানোর জন্য বাতাস করতে থাকলাম। তারপর আবার রং করলাম। এভাবে প্রায় ২-৩ ঘন্টা লেগে গেল পুরো রঙের কাজ সম্পন্ন করতে করতে।অবশেষে কাজ শেষ হলো এবং বিভিন্ন রকম ভাবে ছবি তুলে নিলাম।আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য চলে এলাম।

আশা করি আমার আজকের এই মাটির তৈরি করা ট্রফিটি আপনাদের কাছে ভালই লেগেছে। কেমন লেগেছে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦