ভ্রমণ||কক্সবাজারের আরও একটা স্পটে ঘুরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত।

in hive-129948 •  5 months ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

IMG-20240803-WA0012.jpg

আপনাদের সাথে বেশ কিছুদিন আগেই শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো। তার মাঝে কিছু কিছু স্পটে আমরা গিয়েছিলাম। আর সেদিন ফানপেস্ট থেকে ফেরার পথে একটা জায়গায় গিয়েছিলাম।জায়গাটার নাম আমার ঠিক মনে পড়ছে না। তবে জায়গাটা একটা পার্কের মত।ফানপেস্ট থেকে যখন আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি তখন এই জায়গাটায় গিয়েছিলাম। তখন প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিল।

IMG-20240803-WA0006.jpg

যাই হোক জায়গাটা একটা ছোটখাটো পার্কের মত ছিল। যেখানে পুরনো কিছু স্মৃতিস্তম্ভ আছে। সেখানে কিছু আদি গুহা ছিল, যেগুলো অনেক বেশি ভয়ংকর। একা একা সেখানে গেলে ভয়ে হয়তো মারা যাবে লোকজন। যাইহোক প্রথমেই গাড়ি থেকে নেমে টিকিট কেটে নিলাম। একজনের টিকিট ৩০ টাকা করে ছিল।আমরা ছিলাম ৪জন।নিভৃতের টিকেট তো লাগে নি।

IMG-20240803-WA0010.jpg

IMG-20240803-WA0020.jpg

টিকেট কেটে নেয়ার পর আমরা ভেতরের দিকে যেতে থাকলাম। এখানে দেখা যাচ্ছে বড় একটা মাছ, আর মাছের মুখ দিয়েই মূলত ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। পাশেও জায়গা ছিল কিন্তু আমরা ইচ্ছে করেই মাছের মুখ দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম,হাহাহা। তারপর সেখানে আওয়াজ করতেই বোঝা গেল এটা অনেকটা আওয়াজের প্রতিফলন হচ্ছিল। আমাদের কথাগুলোই আমাদের কানে এসে বাজতেছিল। আমরা কিছুক্ষণ সময় সেখানে অতিবাহিত করলাম। তারপর বেরিয়ে গেলাম ভেতরের দিকে যাওয়ার জন্য।

IMG-20240803-WA0032.jpg

IMG-20240803-WA0033.jpg

আশেপাশে তেমন কিছুই দেখিনি সেখানে। শুধুমাত্র উপরের দিকে কিছু ছোটখাটো ভবন ছিল আর বসার জায়গা ছিল। নিচু জায়গা থেকে উঁচু জায়গায় সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম। তারপর সেখানে কিছুক্ষণ বসলাম। জায়গাগুলোতে বসার পরে চারদিকে তাকালে মনে হয় জায়গাটা কিছুটা ভয়ংকর। এখানে যদিও তেমন মানুষজন ছিল না মাত্র ২-৩ জনকে আশেপাশে ঘুরতে দেখেছিলাম। এখানে ঝুলন্ত ব্রিজ ছিল যেটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। সেজন্য আর ঐ দিকে যাওয়া হয়নি। দূর থেকেই সেটা দেখেছিলাম।

IMG-20240803-WA0044.jpg

IMG-20240803-WA0043.jpg

IMG-20240803-WA0038.jpg

আশেপাশে জায়গাগুলো ছোট ছোট কিছু গাছে পরিপূর্ণ ছিল। আর জায়গাটা অনেকটাই নীরব ছিল। ছোট একটা ঘর ছিল যেটা তালা দেয়া অবস্থায় ছিল। কিন্তু আমাদের নিভৃর সেখানে উঠছে আর নামছে। বেশ মজা করেছিল সে সেখানে। উপর থেকে নিচের দিকে দৃশ্যগুলো দেখতে কিন্তু ভালোই লাগছিল। তারপর গুহা দেখতে গেলাম।অনেকটা পথ হেটে যাওয়ার পর আমরা কিছু গুহা দেখলাম,ছবি তোলার সাহস করি নি।তারপর একটা স্মৃতিস্তম্বের সেখানে গেলাম। মূলত সেখানে তেমন কিছুই ছিল না। বড় করে একটা দেয়ালে কিছু খোদাই করা নকশা ছিল। যেগুলো মূলত কক্সবাজারে দৃশ্যকে প্রতিফলিত করে।

IMG-20240803-WA0040.jpg

IMG-20240803-WA0050.jpg

সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম এবং অনেকগুলো ছবি তুললাম। তারপর আমরা আরেকটা পথ দিয়ে বেরিয়ে এলাম। জায়গাটার মধ্যে খুব সুন্দর কিছু বসার জায়গা ছিল, এগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। ব্যাঙের ছাতার মতো একটা জায়গা ছিল যদিও আমার কাছে সেটার ছবি নেই। তুলেছিলাম কিন্তু এখন পাচ্ছি না। যাই হোক সেখানে বেশিক্ষণ সময় আর অতিবাহিত করি নি। কারণ আমাদেরকে অন্যান্য জায়গায় যেতে হবে। তাই বেরিয়ে গেলাম অন্য গন্তব্যে,তা আরেকদিন শেয়ার করবো।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার অনুভূতি কেমন ছিল জানিনা, তবে মনে হইল ডস খাইসেন। হাহা। না, মানে ৩০ টাকা টিকিট, অথচ গুহা বাদে তেমন কিছুই নাই। হতাশাজনক মনে হইল।

হাহাহা,ঠিক বলেছেন খুব বেশি কিছু ছিল না টিকিটের দাম অনুযায়ী। তবে টাকা দিয়ে বিশ্রাম করলাম আরকি।

এটা ঠিক বলেছেন কক্সবাজারে এতগুলো পর্যটক স্পট রয়েছে নাম মনে রাখাটা কিন্তু বেশ কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে যায়। তবে আমি যখন শেষবার গিয়েছিলাম তখন ইনানী বীচে ছিলাম। বেশকিছু সময়ের উপভোগ করেছিলাম। আপনারাও বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন। তবে আমার কাছে মনে হয় ৩০ টাকা মাটি হয়ে গেল। এর থেকে ভালো যদি আপনি কক্সবাজার মিউজিয়ামে যেতে পারেন তাহলে নতুনত্ব অনেক কিছু আবিষ্কার করতে পারতেন।

আমরা সেদিন অনেক জায়গায় ঘুরেছি। আর ৩০টাকা মাটি বলবো না, কারণ বিশ্রাম নিয়েছি ঠান্ডা জায়গায় বসে,হাহাহা।আর কাঙ্ক্ষিত কিছু জিনিস ছিল না এটাই হলো কথা।

ভ্রমণ করতে আমিও খুব পছন্দ করি আপু। সুযোগ পেলেই যে কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাওয়ার চেষ্টা করি। আর এভাবে যদি সুন্দর কোন জায়গা ভ্রমণ করা যায় তাহলে বেশ অনেক কিছু দেখার থাকে অনেক কিছু শেখার থাকে। ঠিক তেমনই কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে গিয়ে খুব সুন্দর জায়গা ঘোরাঘুরি করেছিলেন আপনারা তারই মধ্য থেকে একটি অসাধারণ স্পর্ট ঘোরাঘুরি করেছেন এবং আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,আসলে ঘুরাঘুরি করতে আমার বেশ ভালো লাগে।

দেওয়ালে খোদাই করে নকশা গুলো দেখতে তো বেশ সুন্দর লাগছে আপু। কক্সবাজারে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সেগুলো আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন দেখি খুবই ভালো লাগলো। কক্সবাজারের আরো একটি স্পটে ঘোরাঘুরি করার অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জায়গাটা খুব সুন্দর ছিল,কারণ কক্সবাজারের কিছু নিদর্শন সেখানে ছিল।আর বেশি সময় থাকলে খুঁটিনাটি কিছু ছবি নেয়া যেত আরকি।

আপনি তো দেখছি কক্সবাজার ভ্রমণ এসে সব জায়গা দেখে নিলেন।এই জায়গাতে গত বছর আমরা গেছিলাম অনেক সুন্দর একটি জায়গা। তবে আমি ভিতরে প্রবেশ করি নাই সিএনজিতে বসে থাকছিলাম বাচ্চারা গেছিল। আপনি পুরো দৃশ্যটি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা সহকারে আমাদেরকে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে।

সেখানে আনসিজনের কারণে তখন ঝর্নার পানি ছিল না।তবে গুহাগুলো ভয়ংকর দেখতে ছিল,একা না যাওয়াই ভালো।ছবি তুলি নি,কারণ ছবিতে ভালো বোঝা যাবে না।

আপনার ঘোরাঘুরির ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।তবে আপনি যে ব্যাঙের ছাতার কথা বলেছেন তার ছবিটি হয়তো পরবর্তী কোন এক সময় দেখতে পাব।

আশা করি কোনো রেনডম ফটোগ্রাফিতে সেটা শেয়ার করতে পারবো আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব ভালো লাগল আপনার কক্স বাজার ঘোরার বিবরণ৷ ছবিগুলোও অসাধারণ হয়েছে। কিন্তু তিরিশ টাকা টিকিট কেটে গুহায় ঢুকলেন? নিজের কথার প্রতিফলন শোনার জন্য? 🤔🤭

হাহাহা,না আপু,সেটা সদর দরজা বলতে পারেন। আর সেখান দিয়ে ভেতরে গেলাম। যে গুহার কথা বললাম সেটা আদি গুহা।।তবে আমরা বেশিক্ষণ সময় থাকতে পারি নি,একে তো দুপুর আর ক্ষিদেও পেয়েছে।তবে বর্ণনামতে জায়গাটায় অনেক কিছু ছিল কিন্তু সেগুলো এখন ফিকে হয়ে গিয়েছে।