পুরনো দিনের পরিবেশ পরিস্থিতি অনেক ভালো ছিল

in hive-129948 •  last year 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

environmental-protection-326923_1280.jpg

source
এখন বলতেই হবে একটা সময় ছিল চারিপাশ কত নিরব, কত সুন্দর, সতেজ, কোমল আর শীতল ছিল। চারিদিকের আবহাওয়া এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে বাইরের বাতাসে গেলে মনটা একদম সতেজ হয়ে যেত। পাশাপাশি আকাশ গাছপালা সবকিছু দেখে যেন মন ভালো হতো। আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু কথা তুলে ধরব যেটা আমরা হয়তোবা সকলে মাঝে মাঝে চিন্তা করি।

কারণ বর্তমান পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অতীত নিয়ে ভাবতে গেলেই কষ্ট লাগে। এই কষ্টটা হল প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার। প্রকৃতি আমাদের কত কিছুই না দিয়েছে। আমরা শুধু অনবরত প্রকৃতির উপরে নির্যাতন, অত্যাচার সবকিছুই করে যাচ্ছি। যার কারণে আবহাওয়া এখন বৈরি। আমাদের অনুকূলে নেই, কেন নেই তা আমরা নিজেরাও জানি না। দিনে দিনে সবকিছু আমরা নিজ হাতেই শেষ করে দিয়েছি।

আচ্ছা একটা জিনিস চিন্তা করুন তো, আমার বা আপনার ছোটবেলার কথা। হয়তো অনেকে রাত্রিবেলা পড়াশোনা করতো মোমবাতি অথবা কেরোসিনের দীপ জ্বালিয়ে। তখন ঘরে ঘরে কারেন্ট ছিল না। চারিদিকে গাছ পালায় ভরপুর ছিল। এত ঘর বাড়িও ছিল না। ফাঁকা ফাঁকা কয়েকটা জায়গায় ঘনবসতি ছিল আবার অনেকটা জায়গা খালি ছিল। অনেক সুন্দর ছিল সময় গুলো। দিনের বেলা তীব্র রোদে ছায়া পেতে গাছতলায় একটা মাচা পেতে দিলেই হত। আমার মনে আছে আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে অনেক বড় একটা ভিটি ছিল। সেখানে অনেক গাছ ছিল। কয়েকজন ছেলে মিলে সেখানে কিছু বাঁশের সাহায্যে মাচা পেতে দিয়েছিল যাতে যে কেউ সেখানে বসতে পারে।

আমরা তো ছোট ছিলাম, তখন সেখানে গিয়ে বিকেলবেলা বসে থাকতাম। যখন স্কুলে যেতাম তখন তো বাইরেই সময় কাটতো। বন্ধু-বান্ধব সকলের সাথে খুব ভালো একটা মুহূর্ত হতো তখন। সময়গুলো ছিল বাইরে কাটানোর। ঘরে যেন মন বসত না। রাত্রিবেলাটাও কোনো রকমে পড়াশোনা করে, খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে কাটাতে হতো। সকালের অপেক্ষা, কারণ সকাল বেলা নাস্তা করেই হয়তোবা স্কুলে দৌড় দিতে হবে। পড়ালেখার চাপ থাকলেও বন্ধুবান্ধব ছিল প্রচুর। সবার সাথে খেলাধুলা, আড্ডা দেয়া। যাওয়া আসার সময় বিভিন্ন রকম গল্প করা হতো। কখনো মেলা বসেছে মেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করা।নয়তো ছেলেপুলেরা ফুটবল খেলবে সেই পরিকল্পনা করা।বিকেলবেলা মাঠে দিয়ে সবাই মিলে একত্র হবে।

এদিকে মেয়েরা সবাই ছোটাছুটি করবে, কানামাছি খেলবে,আরও কত খেলা আছে তা খেলবে তেমন পরিকল্পনা করেই কাটতো। তার পাশাপাশি বিকেল হলে ঘর থেকে বের হওয়া বড় দায়। কারণ তখন সবার মায়েরাই চাইতো দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া করে বাচ্চারা ঘুমাতে যাবে। কিন্তু বাচ্চাদের মন তো ফুরফুরে তারা যে বিকেল বেলা খেলার পরিবর্তে একটু দুপুর করেই খেলবে সে পরিকল্পনা করে রেখেছে। কোনমতে ঘুমের ভান ধরে থাকে, যখন মা ঘুমিয়ে যেত তখন টুক করে দরজাটা খুলে বেরিয়ে যেত সবাই। হ্যাঁ এমনটা আমিও করেছি, তারপর সন্ধ্যেবেলায় ঘরে ফিরে বেশ বকাও খেয়েছিলাম। বকাটা এরকম হত খাওয়া দাওয়ার পরে সবাই ঘুমায় তুই কেন বাইরে যাস, কিসের খেলা দুপুর বেলা, পড়ালেখার বেলায় তো এত ভালোবাসা দেখি না, খেলার বেলায় এত ভালবাসা কেন? তখন উত্তর হতো কেউই তো দুপুরে ঘুমায় না সবাই একসাথে খেলতে যায় হাহাহা।

আজ আর নয়,এতটুকুই। আরেকদিন আসবো ভিন্ন কিছু কথা নিয়ে।তবে একটা কথা সবার মাঝেই বলে গেলাম,পরিবেশ আমরা নিজেরাই নষ্ট করছি,সবাই যদি নিজ থেকে সচেতন হই তবে আবারও একটা সুন্দর পরিবেশ দেখব।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং।
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

কথায় আছে না আগের দিন বাঘে খেয়েছে। আগের সাথে এখনকার পরিস্থিতির কোন কিছুই মিল নেই। দিনকে দিন আরো খারাপ হতে যাচ্ছে। হোক সেটা পরিবেশ, হোক সেটা মানুষের মনুষত্ব। ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

খুবই দারুণ একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু আপনার এই পোস্ট করে কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। পুরনো দিনগুলো সত্যিই অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিল কতই না সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো। বিশেষ করে একটা জিনিস আমিও আপনার মত অনেক বেশি মিস করি সেটা হচ্ছে যে বাঁশ দিয়ে যে মাচা তৈরি করে রাখা হয় সেখানে বিকেল বেলা সকলে মিলে বসে আড্ডা দেওয়া এবং কানামাছি সহ অন্যান্য যত খেলা ছিল সেগুলো খেলা। সমবয়সীদের সঙ্গে ওই মুহূর্তটা কাটানোর মতো রোমাঞ্চকর মুহূর্ত আমার জীবনে আজ পর্যন্ত আসেনি। আসলে প্রকৃতি এবং আশেপাশের পরিবেশ সবকিছু বদলে দিয়েছে এখন কোন কিছুই আর আগের মত নেই। চারিদিকে বড় বড় অট্টালিকা আর যানজটের শহরে নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয় মাঝে মাঝে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আগের দিন গুলো সত্যি ই খুব ভালো ছিল।এখন এই পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী।আমরা পরিবেশের উপর অনেক বেশি অন্যায় করে গেছি।তাইতো আজ আমরা এর ফল ভোগ করছি।আপনার মতো আমরা ভাই-বোনরা মিলে আম্মু ঘুমিয়ে গেলে খেলতে চলে যেতাম।সেই সব দিন গুলো সত্যিই খুব সুন্দর ছিল।তবে আমি কখনো আম্মুর কাছে বকা খাইনি।খেয়েছে আমার দুই ভাই।আমি বকা খাইনি কারন আমার খেলা লিমিটেশনের মধ্যে ই থাকতো,হিহিহি।আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আগেকার দিনগুলো সত্যিই অনেক মজাদার ছিল। চাইলেই সে সময় ইচ্ছামতো ঘুরোঘুরি খেলাধুলা করা যেত। আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে সহজেই হারিয়ে যাবার মত সুযোগও ছিল। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বযন্ত্র নির্ভর হবার কারণে পুরনো দিনের সেই মজাদার বিষয়গুলো এখন হারিয়ে যাচ্ছে।