বাসায় থাকা উপকরণে তৈরি চিকেন পিৎজ্জা রেসিপি।

in hive-129948 •  3 months ago  (edited)

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

20240731_192718.jpg

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন আগে তৈরি করা একটা রেসিপি। যেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভেবেছিলাম কিন্তু সময় সুযোগ হয়নি তাই করা হয়নি। যাইহোক আজ ভাবলাম আপনাদের মাঝে এটা শেয়ার করা যাক। তাই তো চলে এলাম এই রেসিপি পোস্ট টা নিয়ে। তবে আগেই বলে রাখি লোভ লেগে গেলে আমার কিন্তু দোষ নেই। এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলবেন আমি কিছু বলবো না, হাহাহা।

20240731_154739.jpg

20240731_154229.jpg

এই রেসিপিটা করার পর আমি আরো একবার তৈরি করেছিলাম। তবে সে ক্ষেত্রে আরও কিছু উপকরণ যোগ করেছিলাম। সত্যি বলতে হঠাৎ সেই সময় পিৎজ্জা খেতে খুব বেশি ইচ্ছে করছিল। আর বাইরে বের হওয়া পসিবল হচ্ছিল না। তাই ভাবলাম বাসায় যা কিছু আছে তা দিয়েই একটা পিৎজ্জা তৈরি করে ফেলি। যদিও ক্যাপসিকাম চেয়েছিলাম কিন্তু পাওয়া হয়নি। আর মাশরুম খেতে আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না। সেজন্য মাশরুম আর আনতে বলিনি। তবে ঘরে যেসব উপকরণ ছিল চেষ্টা করছি সেসব উপকরণ দিয়ে এই পিৎজ্জা তৈরি করার। দেখতে কিন্তু দারুন লেগেছিল। তবে যদি চিজ আরেকটু বেশি দিতে পারতাম তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।চিজ বেশি ছিল না বিধায় বেশি করে দিতে পারিনি।যতটুকু ছিল ততটুকু দিয়েই কাজ চালিয়ে নিয়েছিলাম। দেখতে যেমন খেতেও কিন্তু খুব মজার হয়েছিল। এজন্য আরও একবার তৈরি করেছি। আশা করি আমার আজকের তৈরি করা রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ

উপকরণপরিমাণ
ময়দা২ কাপ
ইস্ট১ চা চামচ
মুরগির মাংস১ কাপ(ছোট করে কাটা)
ডিম১টি
গ্রেট করা চিজইচ্ছেমত
হলুদগুড়ো১/২ চা চামচ
মরিচগুড়ো১/২ চা চামচ
গোলমরিচগুড়ো১/২ চা চামচ
আদাবাটা১/২ চা চামচ
রসুনগুড়ো১/২ চা চামচ
লবণদেড় চা চামচ
চিনি২চা চামচ
পেঁয়াজ কিউব১ টি
কাঁচামরিচ৪টি
টমেটো সস১/৩ কাপ
সয়াসস১/২ চা চামচ
তেল৩ টেবিল চামচ

VideoCapture_20240809-111115.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমেই একটি বাটিতে ১টেবিল চামচ পরিমাণ চিনি নিলাম।হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।তারপর ১চা চামচ পরিমাণ ইস্ট দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে রেস্টে রেখে দিলাম ৩০ মিনিটের জন্য।

20240924_133043.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এইধাপে ২ কাপ পরিমাণ ময়দা নিলাম।এরমধ্যে পরিমাণ মত তেল দিলাম,সাথে লবণ দিয়ে দিলাম।সবকিছু মিক্স করে ইস্ট মিশ্রিত পানি দিয়ে দিলাম।

20240924_133102.jpg

তৃতীয় ধাপ

সবকিছু মেখে নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে সফট ডো তৈরি করে নিলাম।এবার বাটিতে তেল দিয়ে ডো টা ঢেকে রেখে দিলাম ১ ঘন্টার জন্য।

20240924_133116.jpg

চতুর্থ ধাপ

এবার ফ্রাইপ্যানে অল্প পরিমাণে তেল দিলাম। তেল গরম হলে চিকেন কুচি দিলাম।২ মিনিট ভেজে নিলাম মিডিয়াম আঁচে।

20240924_133133.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন সব গুড়ো মসলা দিয়ে দিলাম।ভালোভাবে মিক্স করে টমেটো সস, সয়াসস দিয়ে আবারো মিক্স করে নিলাম।বেশ কিছুক্ষণ ভেজে নিলেই চিকেনের পুর রেডি।

20240924_133159.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এবার পিৎজ্জার ডো টা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভালোভাবে মথে নিলাম।তারপর রুটির মত করে গোল আকারে তৈরি করলাম।

20240924_133218.jpg

সপ্তম ধাপ

এখন স্টিলের একটি প্লেটে ময়দা ছিটিয়ে দিলাম।তারপর রুটির মত তৈরি করা ডো দিয়ে দিলাম।কাটা চামচের সাহায্যে কেচে নিলাম।সাইডের দিকটা কিছুটা মোটা রেখেছি। এরপর বেশ অনেকটা পরিমাণে টমেটো সস দিলাম।

20240924_133231.jpg

অষ্টম ধাপ

এখন সসের উপরে কিছু পরিমাণ চিজ দিলাম। তার পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলাম চিকেন।সাথে কিছু পেঁয়াজ কিউব করে কেটে দিলাম।

20240924_133248.jpg

নবম ধাপ

এখন কিছু কাঁচামরিচ লম্বালম্বি কেটে দিলাম।১/২ চা চামচ পরিমাণে গোলমরিচ গুড়া দিলাম।এরপরে ডিমের কুসুম দিয়ে সাইডে ব্রাশ করে নিলাম।আর অনেকটা পরিমাণে চিজ দিলাম।ব্যাস চুলায় তাওয়া বসিয়ে ২০ মিনিট লো আঁচে বেক করে নিলাম।

20240924_133305.jpg

পরিবেশন

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন পিৎজ্জা ।এটা খেতে অনেক বেশি মজার ছিল,তাই আবারো তৈরি করেছিলাম ।

20240731_154229.jpg

20240731_154732.jpg

VideoCapture_20240809-111946.jpg

20240731_192705.jpg

20240731_192718.jpg

20240731_192747.jpg

20240731_192655.jpg

20240731_192732.jpg

আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এত মজাদার পিজ্জা তৈরি করেছেন দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো। এই বিকেল বেলায় কিন্তু পিজ্জা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগবে। পিজ্জা আমার অনেক বেশি ফেভারিট। যা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। মাঝেমধ্যে এই ধরনের মজার মজার খাবার গুলো তৈরি করে আমাদের কেউ দাওয়াত দিতে পারেন। একা একা খেলে আবার পেটব্যথা করে। যাইহোক আপনার তৈরি করা পিজ্জা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন সবাই মিলে।

হাহাহা,তৈরি করার পর আশেপাশে যতজন থাকে ততজনকেই তো হয় না ভাইয়া। পরে তো আপনাকে দেয়ার কথা হবে 😂😂।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে বাসায় থাকা উপকরণে তৈরি চিকেন পিৎজ্জা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে এগুলো রেস্টুরেন্টে খাবার থেকেও বাসায় যদি তৈরি করে খাওয়া যায় সব থেকে বেশি মজা পাওয়া যায়। আসলে যে কোন জিনিস নিজের হাতে তৈরি করে খাওয়ার মজাই বেশ আলাদা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

রেস্টুরেন্টের থেকে বাসায় তৈরি করাটাই অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং সাশ্রয়ী হয়। কারণ রেস্টুরেন্টের পিৎজ্জা গুলোর অনেক দাম নেয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।

চিজ দিলেতো এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ঘরে থাকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বেশ মজার একটা চিকেন পিজ্জা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পিজ্জা দেখে লোভ লেগে গেল। বাসায় এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি। একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

পিৎজ্জার মেইন টপিংক্স হল চিজ। আর এটা যদি বেশি দেয়া যায় তখন আরো বেশি স্বাদ লাগে। যদিও আমার কাছে খুব বেশি ছিল না। যা ছিল তা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিলাম। কিন্তু মজাই হয়েছে আপু।

আপনার রেসিপিটা দেখে আমার তো জিভে জল চলে আসলো আপু। দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ মজা হয়েছিল পিৎজ্জা টা। ঘরে থাকা উপকরণ গুলো দিয়ে খুবই মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শেয়ার করা জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

জি আপু অনেক বেশি মজা হয়েছিল। সবাই তো কেড়ে কেড়ে নিয়েই খেয়ে ফেলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

চিকেন পিৎজ্জা রেসিপি বাসায় তৈরি করে ফেলেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনি একদম পাকা রাধুনী। আপনার রান্নার হাত অসাধারণ। আর অনেক দক্ষতার সাথে রেসিপি তৈরি করে রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কি যে বলেন না ভাইয়া, চেষ্টা করি আরকি রান্না করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

ঘরে পিৎজ্জা তৈরি করলে আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে।আমিও ঘরে তৈরি করে পিৎজ্জা খেয়ে থাকি।আপনি ঘরের কিছু উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করে নিলেন পিৎজ্জা।যদিও বেশ সময় দিতে হয়।তবে সময় গেলেও ঘরে বানানো এমন রেসিপি বেশ লোভনীয় হয় খেতে। ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপু পরিবেশনের লেখাটুকু একটু সংশোধন করবেন আশাকরি।

সময় দিয়ে হলেও যখন এরকম একটা পিৎজ্জা চোখের সামনে দেখা যায় তখন আসলে পারিশ্রমটা ভুলে যাওয়া যায়। আর খেতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।

জাস্ট ওয়াও আপু আপনার বাসায় থাকা উপকরণে তৈরি চিকেন পিৎজ্জা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার পিৎজ্জার কালারটা কিন্তু অনেক জোস হয়েছে আপু। আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে পিৎজ্জাটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো লাগল খুব মন্তব্যটা দেখে।

আসলে ঘরোয়া উপায় যে এত সুন্দর পিকটা তৈরি করা যায় তা আপনার পোস্ট দেখে সর্বপ্রথম বুঝতে পারলাম। আসলে এত সুন্দর পিকটা কিন্তু আমরা দোকানেও হয়তোবা পাই না। এছাড়াও পিজ্জা তৈরীর প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উল্লেখ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে চেষ্টা করেছি একদম বাজারের মতো দেখতে তৈরি করার জন্য। যদিও সবগুলো উপকরণ ছিল না ঘরে। যা ছিল তা দিয়ে তৈরি করেছিলাম।

আমার কাছে ঘরে বানানো পিৎজ্জা খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে বাহিরেরটাও খেতে খারাপ লাগে না।তবে ঘরে বানানো খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আর পিৎজ্জায় বেশি করে চিজ দিলে খেতে বেশ মজা লাগে। আর অরিগ্যানো ব্যবহার করলে অন্য রকম একটি ঘ্রান আসে। তবে সব সময়তো আর সব উপকরণ হাতের কাছে থাকে না। তবে বাসায় থাকা উপকরণ দিয়ে বেশ মজার পিৎজ্জা বানিয়েছেন। দেখে বেশ পারফেক্ট মনে হচ্ছে। সেই সাথে লোভনীয়। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

বাইরের গুলো তো একদম প্রফেশনালি তৈরি করা হয়। তবুও বাসায় তৈরি করা হলে সেটা অনেক বেশি তো স্বাস্থযকর হয়। বিশেষত বাজারের যে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ইউজ করা হয় সেগুলোর কোয়ালিটি খুব বেশি ভালো নাও হতে পারে।

চিকেন পিৎজ্জা কথা শুনলে খেতে খুব ইচ্ছে করে। আপনি খুব সুন্দর করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন পিৎজ্জা তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। চিকেন পিৎজ্জা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। পিৎজ্জা তৈরি করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

লোভ তো লেগেই গেল আপু। সব দোষ আপনার। এত লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করলে লোভ তো লাগবেই। চিকেন পিৎজ্জা খুবই লোভনীয় লাগছে। আর সুন্দর থেকে উপস্থাপন করেছেন। এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি অসাধারণ হয়েছে আপু। দারুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম।

পিৎজ্জা টা দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে কিন্তু আপু। বাসায় থাকা উপকরণ দিয়ে পিৎজা টা চমৎকার তৈরি করেছেন। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল আপনার পিৎজা টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।