নতুন বাসা খোঁজা এবং বাসায় যাওয়ার প্রথম দিন।

in hive-129948 •  last year  (edited)

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

বন্ধুরা আজকে আমার সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ফেনীতে প্রথম দিন যখন আমরা বাসা নিয়েছি তখন কিভাবে সব কিছু ম্যানেজ করে এসেছি সেই মুহূর্তগুলো। যদিও সেই কয়েকটা দিন অনেক বেশি খাটুনি করতে হয়েছে। প্রথমতই আমি সেদিন একদম সকাল সকাল উঠে গেলাম এবং নাস্তা করে বাবুকে খাইয়ে রেডি করে নিয়ে নিলাম। কারণ আমরা প্রথমে ফেনীতে আসবো ক্লাস করার জন্য। ৯:৩০ টায় বের হয়ে গেলাম, আমার ক্লাস ছিল সাড়ে দশটায়। গিয়ে দেখলাম স্যার আসেনি তাই হালকা পাতলা কিছু নাস্তা করে নিলাম।

IMG-20230613-WA0018.jpg

তারপর ক্লাস শেষে আমরা আমাদের বাসা দেখার জন্য গেলাম। যদিও তার পূর্বে আমার হাজবেন্ড আগেই বাসা দেখে এসেছিল।কয়েকদিন শুধু বাসার পেছনেই সময় দিয়েছে।কারণ সুবিধামত বাসা খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না।যাইহোক অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটা বাসা পেয়েছে। তাই সেদিন আমি সহ গিয়ে এডভান্স দিয়েছে। বাসা একবার দেখে আবার দুপুরের মধ্যে বাড়িতে ফিরে গেলাম।

IMG-20230613-WA0022.jpg

IMG-20230613-WA0028.jpg

তবে এর মধ্যে আর একটা খুশির খবর হলো আমার ছোট আন্টি ছেলে হয়েছে।দাগনভূঞাতে এডমিট ছিল ওরা।আমরা ফেনী থেকে যখন পৌঁছাই তখন রুমে গিয়ে দেখি বাবু কোলে নিয়ে সবাই বসে আছে। তখন কি যে আনন্দ হচ্ছিল, খুব ভালো লাগছিল। আমরা এক পথে সব কিছুই ম্যানেজ করে এসেছিলাম। যাইহোক বাবুকে দেখার পর আমরা আবার বাড়িতে ফিরে এলাম। যদিও খুব দেরি হয়ে গিয়েছে, বাড়িতে পৌঁছলাম দেড়টার সময়। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটুও রেস্ট নিলাম না কারণ বাসায় যাওয়ার জন্য কিছু জিনিসপত্র গোছাতে হবে। যদিও পূর্বেই আমি কিছু জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু যেহেতু আমরা বিকেলেই বাসায় যাবো সেই হিসেবে বাকি জিনিসপত্রগুলো গোছাতে হবে।

IMG-20230605-WA0011.jpg

সবাই যার যার মত বিশ্রাম নিতে ব্যস্ত আর আমি এদিকে বাকি জিনিসপত্রগুলো একা একাই গোছাতে ব্যস্ত। কারণ নিজের কাজগুলো সবসময় নিজেকেই করতে হয়। আমার হাজব্যান্ড এবং ছোট ভাই বাবুকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করলো, কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা সম্ভব না।তারপর আমি সবকিছুই গুছিয়ে নিলাম। এত গরমের মধ্যে ছিল না কারেন্ট, ঘেমে একাকার অবস্থা, তাও কি আর করার ছিল,কাজগুলো তো অবশ্যই শেষ করতে হবে। সবকিছুই মোটামুটি গোছানো শেষ হয়েছে। কিছু কিছু কাজে আমার হাজব্যান্ড হেল্প করেছে। কারণ হয়তো সে কাজগুলো আমার দ্বারা সম্ভব হতো না। যাইহোক প্রায় সব কিছু গোছাতে গোছাতে এবং সিএনজি আসতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল।

IMG-20230613-WA0024.jpg

সন্ধ্যা হওয়ার পর আমার হাজব্যান্ড এবং আমার ছোট ভাই মিলে সবকিছু সিএনজিতে সেট করে নিল। আমরা বাড়ি থেকে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে এসেছিলাম বাকি যে জিনিসপত্রগুলো ছিল ওগুলো এখান থেকে কিনেছি। আপনাদের সাথে সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করব। তবে আজকে শুধুমাত্র বাসায় আসার জন্য যে তড়িঘড়ি ছিল সেটাই শেয়ার করলাম। আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। মাগরিবের পরে আমরা বের হলাম। যদিও তখন আমাদের সাথে দেখা করার জন্য রকি ভাইয়া এবং তার ওয়াইফ এসেছিল। আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার সময় আন্টির সাথেও দেখা করে নিলাম। তাছাড়া যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আমাদের বাসায় গিয়ে আবার সবকিছু সেট করতে হবে সেজন্যই আর কোথাও অপেক্ষা না করেই চলে এলাম।

আজ এতটুকুই, বাকি মুহুর্তগুলো আপনাদের মাঝে অন্যদিন শেয়ার করব।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণলাইফস্টাইল
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাসা চেঞ্জ করার মত ঝামেলা আর কোন কিছুতেই নেই। এই মাসে আমিও বাসা চেঞ্জ করেছি। একেবারেই জীবন তেজপাতা হয়ে গেছে। যাইহোক আপু একদিকে পছন্দের বাসা পেয়েছেন অন্যদিকে নতুন বাবুর আগমন দেখে ভালো লাগলো। পরিবারে কারো বাবু হলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।

!upvote 40


This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven. Your post was promoted on Twitter by the account josluds

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 160%

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@xpilar.witness

We are the hope!

নতুন বাসা চেঞ্জ করতে খুবই কষ্ট। এক দিকে যাও মনের মত বাসা পেতে হয় অন্যদিকে পুরাতন বাসা থেকে সবকিছু গোছানো এবং নতুন বাসায় গিয়ে আবার নতুন করে গোছানো আসলেই অনেক ঝামেলা। যাক অবশেষে সব কাজ সম্পন্ন করেছেন ভালই লাগলো।

বাসা চেঞ্জ করা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার। তবে কিছু করার নেই নিজের সুবিধার জন্য চেঞ্জ করতে হয়। আমিও ঈদের পর করবো আর সেই কথা মনে পড়ে মাথা ঘুরিয়ে যায়। একলা সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যাওয়া আবার নতুন বাসায় গিয়ে সবকিছু গুছিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর। অবশেষে সব কাজ সম্পূর্ণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

আপনার আন্টির ছেলে হয়েছে এটা জেনে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি। আসলে বাসা চেঞ্জ করা নিঃসন্দেহে একটি ঝামেলার কাজ। আর আপনাদের সাথে রকি ভাইয়া ও তার ওয়াইফের দেখা করার মুহূর্তটুকু নিশ্চয়ই আপনাদের জন্য বেশ আনন্দের ছিল। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

নতুন বাসা খোঁজা এবং বাসায় যাওয়ার প্রথম দিন খুব সুন্দর ভাবে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার খুবই ভালো লাগলো আপনার এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। আশা করি নতুন বাসায় নতুন স্থানে সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো থাকবেন এবং সুখে থাকবেন।

এক দিনে অনেক কাজ করেছেন। ক্লাস করেছেন,বাসা রেডি করেছেন,আবার আন্টির ছেলে হয়েছে সেখানে বাবুকে দেখতে গেছেন আবার বাসায় এসে সব কিছু রেডি করে ফেনীর ‍উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। আপু আমার জানতে খুব ইচ্ছা করে এত কিছু করে পোষ্ট করার সময় কোথায় পান,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।