♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের মাঝে বাস্তবভিত্তিক কিছু অনুভূতি শেয়ার করব।আসলে আমাদের আশেপাশে পরিবেশ, লোকজন, বিষয়বস্তু সবকিছুই আমাদের কিছু না কিছু শিক্ষা দেয়।হয়তোবা আমরা বুঝতে পারি, নয়তো না।আবার অনেকে বুঝেও নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করে না। যাইহোক, মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
আমাদের এরিয়াতে এমন একজন মহিলা আছে যে পঞ্চায়েতের বউ হয়েও যতরকম কুটনামী,বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে লোভ, হিংসায় জর্জরিত। আসলে এককথায় তাকে লোভী এবং স্বার্থপর বলা চলে।সেই মহিলা চায় সবসময় নিজের ভালো হোক। আর বাকি যারা তার আশেপাশে বা ফ্যামিলিতে আছে তাদের ভালো থাকা সে সহ্য করতে পারে না। এই যেমন তার দেবরদের পাওনা সম্পত্তি আছে,সেগুলোর উপরে সে ভাগ বসায়। তার কথা হলো সবকিছুতে তার অধিকার আছে।
একটা সময় যখন তার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে যায়, তখন পরিবারের এমন কিছু জিনিস এগুলো ভাগের প্রয়োজন সেটা করতে পারত না। মানে বিভিন্ন ফল-মূল সবকিছু একসাথে ছিল সেগুলোর বিষয়ে বলছি। তখন ওই মহিলা আগ বাড়িয়ে নিজে নিজেই সবকিছু ভাগ করতে বসে যেত। তারপর নিজের ভাগের বেলায় সবগুলো বড় এবং ভালো দেখে নিতো। আর বাকিদের ক্ষেত্রে কম এবং ছোট ছোট গুলোই দিত। তার কথা হল সে যেহেতু সবকিছু ভাগ করে দিচ্ছে সেই হিসেবে তার প্রাপ্য এবং অধিকারটা বেশি। অন্যরা তার এই বিষয়ে কেউ কিছু বলতো না। তারা সবকিছু স্বচক্ষে দেখত আর শুধুমাত্র এর দায় আল্লাহর কাছেই দিয়ে এসেছিল।
আর এভাবেই সে প্রতিনিয়ত সবার সাথে অন্যায় করে যাচ্ছে যেটা আসলে সবাই স্বচক্ষে দেখে। কিন্তু ওই যে বললাম তার হাজবেন্ড সবার বড় ভাই হিসেবে সবাই ওনাকে সম্মান করে। সেজন্যই মূলত কেউ কিছুই বলে না। বাকিরা তাদের জায়গা থেকে শ্রদ্ধা সম্মান সব কিছু বজায় রেখেছে কিন্তু এভাবেই দিন কাটিয়েছে। আর এখন যখন সবকিছু সবার মাঝে আলাদাভাবে ভাগ করে দেয়া হয়েছে তখনও ওই মহিলা সবার সাথেই কিন্তু অন্যায় করে।
এর কারণ হলো তার দেবর আর দেবরের বউ সবাই কিন্তু বাড়ির বাইরেই থাকে। তিনি নিজেও বাড়ির বাইরে থাকেন তবে প্রায় সময় তিনি বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর তার নিজের জায়গা জমি যেগুলো আছে এবং সেখানে যা কিছু আছে সব কিছু তো নিজে নিবেই, তার পাশাপাশি তার দেবরদের যা কিছু আছে সেগুলোও সে নিয়ে যায়। আম কাঁঠাল বা বিভিন্ন রকম ফল ফলাদি যা কিছু হয় সবকিছুই ঐ মহিলা নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের কাউকে কিছু বলেনা বরং বাড়ির মানুষদেরকে দোষ দিয়ে যায়, বাড়ির মানুষেরা নিয়েছে।
আর বাকিরা সবাই জানে বাড়ির মানুষ কেমন আর তাদের ওই বড় জা কেমন। এইতো গতকাল বাড়িতে আসলো আর শুরু হয়ে গেল তার চিল্লাচিল্লি। বাড়িতে এসেই তার নতুন বিটায় লাগানো আমের খোঁজ করছে, কে সেই আম নিয়েছে।আমগুলো নিয়েছে মূলত মাদ্রাসার একটা বাচ্চা ছেলে। সে সেটাও জানে তবুও তার চেঁচামেচি থামেনা। যাই হোক তখন আমি এবং আমার কাজিন বলছিলাম সে নিজেই তো অন্যের হক মেরে মেরে খাচ্ছে অন্যের পাওনা নিজে নিয়ে খেয়ে ফেলছে। এখন নিজেরটা অন্য কেউ নিয়েছে হিসেবে গায়ে লাগছে।
আসলে সে চায় সব কিছুই যেন তার হয়। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকলেই যেন খুশি হয়। সবকিছু তার দখলেই হওয়া চাই, এরকম একটা মন মানসিকতা তার মধ্যে আছে। যার কারনে আসলে এই মহিলাকে বাড়ির কেউই পছন্দ করে না। তার মুখে কখনো হাসি নেই, সব সময় মানুষকে খোটা দিয়ে কথা বলে, অহংকার করে থাকে। যেহেতু তার স্বামীর অবস্থান ভালো। যাইহোক অনেকে অনেক ক্ষেত্রে চুপ থাকে কারণ ওই মহিলা এক রকম মানসিকভাবে অসুস্থত বলে বিবেচিত।যদিও অনেক সময় কেউ কেউ তার উচিত কথার জবাব দেয়।কিন্তু সবাই মূলত তাকে ইগনোর করে,কারণ কেউ তো আর ইচ্ছে করে গাধার সাথে তর্ক করতে যায় না।
যাইহোক সকাল থেকে কি পোস্ট করব ভাবতে ভাবতেই ঐ মহিলার চিল্লাচিল্লি শুনছিলাম।তখন ভাবলাম তার এমন স্বভাবে নিয়ে কিছু লেখা যাক।আমি মনে করে এমন মানুষদের সরাসরি ইগনোর করাটাই উত্তম।এতে সে ভালো থাকুক আর না থাকুক,আপনি ভালো থাকবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | কবিতা |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু লোভী আর অন্যায়কারী কখনো কারো ভালো চায় না। আসলে আপু আমি মনে করি অন্যায় দেখলে যেকোনো মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। আপনাদের বাড়ীর পাশের ওই মানুষটি প্রতিনিয়ত অন্যায় করছে তা জেনেও সকলে তার স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলে না এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আশা করি আপনারা যদি প্রতিবাদ করেন তাহলে সে তার ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
না ভাইয়া,আসলে ওনাকে বলে লাভ নেই,শুধরানোর মানুষ ঐ মহিলা নয়।আর তার সাথে কথা বললেই তর্ক হয়ে যাবে, আর তার সাথে তর্ক করা মানে বিবেকহীনের সাথে তর্ক করা। এজন্য ইগনোর করি, তবে তার স্বামীর জন্য নয়।আমরা নিজেরাই এরকম লোকদের অপছন্দ করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে অনেক মহিলা আছে এরকম দুষ্ট প্রকৃতির। মানুষ কে হেয় করাই তাদের কাজ।অহংকারে পা মাটিতে পড়ে না এমন অবস্থা। ঐ মহিলা ধন সম্পদের জন্য অহংকারী হয়ে গেছে। মনটা একদমই ছোট তাই সব জিনিস নিয়েই ঝামেলা করে।মানুষের ভালো দেখতে পারে না।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু,এইতো গত ২/৩ দিন আগেও কত ঝামেলা করেছে। আসলে উনাকে বুঝিয়ে বলেও লাভ নেই,তাই ইগনোর করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লোভীরা সবসময় চেষ্টা করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে। কারণ এ জাতীয় ব্যক্তিগুলো আমাদের সমাজের জন্য যেমন ক্ষতিকর ঠিক তেমনি আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ। আর সুন্দর এই বিষয় নিয়ে আপনি পোস্ট করেছেন এতে হয়তো অনেকের উপকারে আসবে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন একটা মানুষ যদি সবার বাড়িতে থাকে তাহলে শান্তি চলে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে গল্পটা আমাদের বাঙালি মেয়েদের ঘরে ঘরে বলা যায়, কারণ সংসারিক জীবনে এই ধরনের সমস্যাগুলো প্রায়ই চোখে পড়ে। যাই হোক আজকের গল্পটা থেকে অনেক কিছুই শিখলাম এবং আপনার প্রত্যেকটা কথাগুলোকে আমি শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাই। আমাদের কখনোই একে অপরের উপরে হিংসে করা উচিত নয়..:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঘরে ঘরে না হলেও, আশেপাশে অবশ্যই আছে এমন কিছু মানুষ। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ধরনের মহিলা শুধু আপনাদের ওখানে নয় আমাদের এখানেও আছে। তারা সবকিছুতে ভাগ বসায় সবকিছুতে নিজেদেরকে অনেক কিছু মনে করেন। এমন লোভী মানুষ সব জায়গায় রয়েছে। যারা সব কিছুতেই সবার অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে নিজেরাই ভোগ করে থাকেন। আমি মনে করি এরা যত লোভী হোক না কেন কোন কিছুতে তাদের বরকত হয়না। অন্যের হক মেরে তারা কখনো শান্তিতে থাকতে পারবে না। সৃষ্টিকর্তা এদেরকে বেশ ভালোভাবেই চিনে থাকেন। যত বেশি অন্যের জিনিস খাবেন না কেন সম্পদের কোন বৃদ্ধি হবে না। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা বাস্তব কথাগুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গত কয়েকদিন আগেও এমন অনেক কান্ড করেছে আপু, আসলে ঐ মহিলার দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করে না এসব লোভ করার কারণে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক মানুষই আছে আপু, যারা নিজের ভাগেরটাই আগে বোঝে। অন্যের কথা চিন্তা করার সময় নেই তাদের। তাছাড়া একটা বাড়ির পুরো সম্পত্তি যখন একজনের ভোগ করার সুযোগ হয়, তখন সেই সুযোগটা তারা মোটেই ছাড়তে চায় না। আপনি আপু এখানে যে মহিলাটার কথা বললেন তিনি নিঃসন্দেহে একজন অসৎ মানুষ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকে তো আছে দায়িত্ব-কর্তব্য বাদ দিয়ে নিজের পাওনা যেটা সেটা নিয়েই পড়ে থাকে। কিন্তু তারও যে কারো জন্য কিছু করার আছে সেটা সে মনে রাখে না। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit