দীর্ঘ ৮ বছর পর বাড়ি ফেরা||আনন্দময় মুহূর্তের কিছু অংশ।

in hive-129948 •  2 years ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।আমি গত ২দিন আগে মানে ২১তারিখ রাতেই এই পোস্ট লিখেছিলাম।কিন্তু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি নি। তাই আজ শেয়ার করলাম।

GridArt_20220922_205104513.jpg

২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।আজ আমাদের পরিবারের সবচেয়ে আনন্দের একটি দিন। কারণ একজন মানুষের সাথে প্রায় আট বছর পর দেখা হয়েছে।প্রবাস জীবন খুবই কষ্টকর তাদের জন্য যারা প্রবাসে বসবাস করে। তারাই বুঝে পরিবারকে ছেড়ে থাকার কষ্টটা কেমন। যাই হোক আজকের বিষয়টা হলো আমার শ্বশুরের ব্যাপারে। যিনি দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে এসেছেন।

IMG_20220922_195612.jpg

IMG_20220922_195514.jpg

বর্তমানে তিনি তো আমার শ্বশুর হন।কিন্তু এর বাইরেও আমাদের অন্য একটা সম্পর্ক রয়েছে।আর তিনি হলেন আমার ফুফা। উনার সাথে তেমন একটা দেখা হতো না। কারণ উনি অনেক আগে থেকেই প্রবাসে থাকতেন। আর কয়েক বছর পরপর দেশে আসতেন।স্বাভাবিকভাবেই প্রবাসীরা তিন থেকে চার মাস দেশে বেড়াতে আসে।
IMG_20220922_195648.jpg
নিজের দেশ তখন তাদের জন্য বেড়ানোর জায়গা হয়ে যায়।আর প্রবাসেই তাদের যেন স্থায়ী ঠিকানা হয়ে যায়। সেখানেই তাদের কাজ করে যেতে হয় দেশে থাকা পরিবারকে সচল রাখার জন্য। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট লাগে যখন নিজের পরিবারের কেউ প্রবাসে একা থাকে।একা থাকার কষ্টটা হয়তো তারাই বেশি বুঝে। চাইলেও কিন্তু কারো সাথে দেখা করা সম্ভব হয় না।
IMG_20220922_195545.jpg

IMG_20220922_195438.jpg

আমাদের পূর্ব সম্পর্কের খাতিরে আমার শ্বশুরের সাথে আগেই পরিচয় এবং তার খবরাখবর জানা আছে। কিন্তু বিয়ের পর প্রথমবারের মতোই শশুরকে দেখলাম। খুব আনন্দের বিষয় হলো আমার ছেলে হওয়ার তিন মাস পূর্ণ হয়েছে আজ।এমন দিনেই তার দাদা বাড়িতে এসেছে। তার দাদা আসার পরপরই যখন ড্রয়িং রুমে বসেছিল তখন আমার ছেলে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে এবং আমিও নিয়ে তার দাদার কোলে দিলাম। সে খুব সুন্দর ভাবে দাদার কোলে ছিল। সচরাচর সে এই ভাবে থাকে না। ঘুম থেকে উঠলেই কান্না করে। কিন্তু আজকে তার দাদাকে দেখে যেন সে নিজেই খুশি।এটাই কম কিসের।
IMG_20220922_194742.jpg

ভোর চারটের সময় যখন তার দাদু এবং চাচ্চু তার দাদাকে এগিয়ে নিয়ে আসতে যাচ্ছিল তখনও সে জেগে ছিল। সে যেন দাদা আসার কথা শুনেই খুশিতে আত্মহারা। তার আনন্দময় মুহূর্তটা খুব ভালো লাগলো দেখে এবং আমরা নিজেরা সবাই খুব আনন্দিত ছিলাম। কারণ দীর্ঘ ৮ বছর পর একটা মানুষ নিজের দেশে ফিরছে।
IMG_20220922_194700.jpg

IMG_20220922_194634.jpg

আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। এই নিয়ে আরো একটি পর্বে আপনাদের সাথে কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি সবার কাছেই ভালো লাগবে ।সত্যি বলতে এই খুশির মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো ।তাই শেয়ার করলাম ।নিজের পরিবার এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। কিছুদিন পর আরো একটি আনন্দের দিন হাজির হবে ।সেটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে এসেছে সত্যিই এটা খুবই আনন্দের। আপনাদের পরিবারে উৎসবের মতো আনন্দময় মুহূর্ত পালন করছেন। খুবই ভালো লাগলো। আসলে ৮ বছর পর দেশে এসে সে আরেকটি বেশি খুশি হয়েছে কারণ সে তার নাতিকে দেখতে পেয়েছে। সত্যিই এটা কম কিসের অনেক বড় পাওয়া। ভাল লাগল এবং বাকি জীবনটা যেন সুস্থ থাকে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে পারি এই দোয়া রইল।

জি ভাইয়া,আমরা সবাই অনেক খুশি উনি বাড়িতে আসার কারণে।

যখন কেউ প্রিয় মানুষগুলোকে ছেড়ে প্রবাসী জীবন যাপন করে তখন তারা সত্যি অনেক কষ্টে জীবন পার করে। দীর্ঘদিন পর আপনার শশুর বাসায় ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু উনার সাথে আপনার দুটি সম্পর্ক তাই আগের থেকেই আপনার সাথে পরিচিত। পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটান এই কামনা করি।

একদম ঠিক বলেছেন আপু।প্রবাসীরাই বুঝে দূরে থাকার কষ্টটা।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপু প্রথমেই আপনি আপনার শ্বশুরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন। উনি যে সুস্থ শরীরে আট বছর পরে বাসায় ফিরে এসেছেন তা জেনে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনজনদের সাথে যেন সুস্থ শরীরে একসাথে দিন যাপন করতে পারে সেই দোয়া করি।

অবশ্যই ভাইয়া,সালাম জানাবো।তবে এখন তিনি কিছুটা অসুস্থ,দোয়া করবেন।

প্রবাসে জীবন কাটানো যে কত কষ্টের, সেটা একমাত্র তারাই বোঝে যারা প্রবাসে থাকে। আপনার শশুর আট বছর পর দেশে ফিরে এসেছে সেটা তো বেশ আনন্দের বিষয়। তবে আপনার শ্বশুরকে এই প্রথমবার দেখছেন, এটা বেশ অবাক করার মত বিষয় মনে হলো। আপনার বাচ্চাটা কিন্তু খুব মিষ্টি দেখতে।

অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমার বাচ্চার জন্য দোয়া করবেন।

দীর্ঘ আট বছর পর আপনার শ্বশুর বাড়িতে ফিরেছে জেনে খুবই ভালো লাগে। আসলে প্রবাসী জীবন খুবই কষ্টের প্রিয় মানুষ আত্মীয়স্বজন সবাইকে রেখে ওখানে থাকতে হয়। আরো জেনে ভালো লাগলো যে উনি আপনার ফুফা এবং আপনার শ্বশুর দুটো সম্পর্ক ওনার সাথে আপনার। দীর্ঘ আট বছর পর সবাইকে একসাথে দেখে আপনার শ্বশুর খুবই খুশি। দাদাকে কাছে পেয়ে সত্যিই আপনার ছেলের খুবই আনন্দে আছে দেখছি। সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটান এই কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

খুবই ভালো লাগলো যখন উনি এত বছর পর দেশে আসলেন।ঘরের মধ্যে একটা আনন্দের জোয়ার।তবে সিজনাল চেঞ্জের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।দোয়া করবেন আপু।