♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট শুরু করলাম।
স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি |
---|
সোর্স লিংক
স্কুল জীবনের তিক্ততা মানেই অনেক বড় একটি সমস্যা।যেখানে পাঠ দান করা হয় সেখানেই যদি দুর্নীতি করা হয় তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেও একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। সেই তিক্ততা যে একটা বছর পার করে দিল সে তিক্তময় অনুভূতিটাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সময়টা ছিল ২০১৭ সাল, যখন আমরা দশম শ্রেণীতে উঠলাম। যেহেতু আমরা নবম এবং দশম শ্রেণীর একটি বই পড়তাম, সেহেতু আমাদের একটা চাহিদা ছিল যে আমাদের টিচারগুলো সেই নবম শ্রেণীতে যারা ছিল তারাই থাকবে। কারণ তাদের এক নিয়মের পড়ানোটাই সবাই ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু আমাদের প্রধান শিক্ষক এর মাঝেও একটা ঝামেলা তৈরি করে ফেলেছিল। আমরা ছিলাম ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী। পুর্বে আমাদের ছেলে এবং মেয়ের আলাদা ২টো ক্লাস ছিল।কিন্তু দশম শ্রেণীতে এসে বিজ্ঞান বিভাগ,ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আর মানবিক বিভাগ আলাদা করা হয়।
যাইহোক দশম শ্রেণীতে উঠার কিছুদিনের মধ্যেই ক্লাস রুটিন ঠিক হয়ে গেল। রুটিন দেখেই আমাদের মাথাটা খারাপ হয়ে গেল। তখন দেখলাম যে নবম শ্রেণীতে আমাদের টিচার যারা ছিল তাদেরকে না দিয়ে অন্য টিচারগুলোই আমাদের বিভিন্ন বিষয় দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মূল বিষয় হলো হিসাববিজ্ঞান। আর এক্ষেত্রে নবম শ্রেণীর শিক্ষককে না দিয়ে অন্য একজন শিক্ষককে দেয়া হয়েছে। আর তার পাশাপাশি বিজ্ঞান এর ব্যাপারে একই অবস্থা।
আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ২টা বিষয়। যার কারণে আমরা পূর্বের স্যার ছাড়া অন্য কোনো স্যার আশা করিনি। এই নিয়েই শুরু হয় তিক্ততার কাহিনী। যেহেতু আমি ছিলাম ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্যাপ্টেন। আর আমাদের শ্রেণীতে ৭/৮ জন ছাড়া বাকি সব শিক্ষার্থী চেয়েছিলাম যাতে এই টিচার যেন আমাদের ক্লাস না করায়। আর আমাদের আগে যে টিচার ছিল উনি যেন আমাদের ক্লাসটা করায়।
সেই ৭/৮ জন ছিল যারা ওই টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়তো। তারা তো বেশ খুশি। তারা এই টিচার পড়াবে জেনে খুশি ছিল কারণ পরীক্ষার সময় সাজেশন থেকে শুরু করে পরীক্ষার কাগজ কাটায় তারা খুব ভালো মার্কস পাবে। কিন্তু আমার মূল লক্ষ্য ছিল, যে শিক্ষক আমাদের ভালোভাবে বুঝাতে পারতো সেই শিক্ষককে কেন দিলেন না। আমরা তো চাই এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করতে,ভালোভাবে শিখতে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে কেনই আমাদের পিছিয়ে রাখা হচ্ছে। এই নিয়ে সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি আবেদন করব শিক্ষক বদলে জন্য। এ নিয়ে কয়েকদিন আলোচনা হল।
আমি এই বিষয়ে আমাদের সহকারী প্রধান শিক্ষককেও জানালাম। তখন সহকারী প্রধান শিক্ষক বলল আমরাও এই ব্যাপারটা বলেছিলাম কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাদের কথা শুনেননি, নিজের মতোই ক্লাস রুটিনটা দিয়েছেন। আমরাও চেয়েছিলাম যে যারা যারা পূর্বে টিচার ছিল সেই হিসেবেই ভাগ করে দেয়া হোক। কিন্তু তিনি কি বুঝে এই কাজটা করলেন আমরা নিজেরাও জানিনা। তোমরা চাইলে তার কাছে আবেদন জানাতে পারো।
সেই হিসেবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে আমরা চেয়েছি একটি আবেদন পত্র লিখতে। যেখানে আমরা হিসাব বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক পরিবর্তন করার কথা জানিয়েছি। যেই ভাবা সেই কাজ একটা আবেদন পত্র লিখে ফেললাম। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার আর বৃহস্পতিবার আলোচনা করে আবেদন পত্রটি লিখে ফেললাম এবং পরবর্তী শনিবার ক্লাসের পূর্বেই প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র সাবমিট করব।
শনিবার সকাল ৯টায় প্রাইভেট শেষ করে স্কুলে গেলাম।সেদিন তারাতারিই চলে এলাম কারণ ক্লাসের আগেই প্রধান শিক্ষকের কাছে যেতে হবে।যে কয়জন শিক্ষার্থী ঐ শিক্ষকের কাছে পড়তো তারা কিন্তু এ ব্যাপারে জানে এবং তারা সেদিনই স্যারের কাছে এ বিষয়ে বলেছে। যে আমি এবং ক্লাসের অন্যরা মিলে শিক্ষক পরিবর্তনের জন্য আবেদন করব। এমনকি আবেদন পত্র লিখে ফেলেছি সেটা আজকেই জমা দিব।
এই বিষয়টি ঐ শিক্ষক জানার পর তার তো মাথা খারাপ হয়ে গেল। সে চাইছে আমাদের ক্লাসটা নিতে কিন্তু আমরা চাইছি না আমাদের পড়াশোনার কোন ক্ষতি হোক। কারণ সত্যি বলতে ঐ শিক্ষক ভালোভাবে বোঝাতে পারত না।কোনোমতে শুধুমাত্র শেষ করে দিত।বোঝানোর পরিবর্তে বিভিন্ন ভাবে বকাঝকা করে বসিয়ে দিত,পরে আর বুঝতে যেতে সাহস হতো না।তার শুধু প্রাইভেট পড়ানো দরকার,সেখানে যা পড়াক না কেন,শিক্ষার্থীদের সাজেশান দিয়ে দিত।একারণেই ঐ শিক্ষার্থীরা তার কাছে পড়ত।কিন্তু আমার কথা হলো শিখতেই যদি না পারি তাহলে পড়ে লাভ কি?আমার দরকার নাই সাজেশান নিয়ে পাশ করার আমার দরকার হলো ভালোভাবে বুঝে,শিখে এগিয়ে যাওয়ার।
তো শনিবার দিন তিনিও সকাল বেলায় স্কুলে হাজির।আমি স্কুলে পৌছানোর জন্য অপেক্ষা করতেছিল দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে।আমিও দেখলাম তিনি তার সেই প্রাইভেট শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলছে।আমার আর বুঝতে বাকি রইল না।আমিও মনে মনে বললাম,যা ফন্দি আটার করে নাও। তখন তিনি তার পড়ানো শিক্ষার্থীকে আমার নিকট পাঠায় এবং বলে যে আমি যেন তার সাথে দেখা করি। সেদিন কিন্তু আমার অন্য ফ্রেন্ডরা আসেনি। শুধুমাত্র আমি এবং আমার ২ ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলাম।
আমি তাদের বললাম তোরা কেউ যাওয়ার দরকার নেই। আমাকে ডেকেছে আমিই যাব। কিন্তু ওরা দুজন মানতেই চায় না।ওরাও শুনতে চায় উনি কি বলে। যাই হোক চলে গেলাম উপরে। আমাদের ক্লাসটা ছিল নিচে, দোতলায় ছিল অফিস কক্ষ। আমরা গেলাম সেখানে,আগেই তো দেখলাম উনি দাঁড়িয়ে ছিল বাইরে বারান্দায়,আমার জন্য অপেক্ষা করেছিল। তার সেই শিক্ষার্থী আমাকে নিয়ে গিয়েছিল স্যারের কাছে।
এবার হলো মূল সমস্যা।যেহেতু শত হলেও উনি আমার শিক্ষক,কিন্তু তার অন্যায় কাজগুলো তো আর সহ্য করার মত না।তখন তিনি জিজ্ঞেস করতে লাগলেন বিভিন্ন বিষয়। আমাকে প্রথমেই বলল আমার রোল কত? আমি কার কাছে প্রাইভেট পড়ি? আমাদের বাড়ি কোথায়? এই সব কিছু জিজ্ঞেস করল। আবার এটাও বলল তুমি একটা ভালো বাড়ির মেয়ে হয়ে এরকম কাজ কেন করতেছো? তখন তো আমার মাথাটা একদম খারাপ হয়ে গেল।প্রশ্নটা আমার মনেই, ভালো বাড়ির মেয়ে আমি খারাপটা কোথায় করলাম?
আমরা তো আমাদের প্রাপ্যটাই চাচ্ছি। এখানে আমরা খুব সাধারণ একটা ব্যাপারে আবেদন করব।আমি এটাও বললাম বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকের কোনো সমস্যা নেই পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে। তাহলে হিসাববিজ্ঞান এর শিক্ষক পরিবর্তনে এত কিসের সমস্যা।আমরা তো শুধু চাই যে আমাদের পূর্বের শিক্ষক ক্লাসটা নিবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দোষটা কোথায়?
তখন তিনি এটাও বললেন পূর্বের শিক্ষক কি তোমাদের বেশি নাম্বার দেয় এজন্য?তখন আমি উত্তর দিলাম সে বিষয়ে যদি সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি আমার পরীক্ষার খাতাগুলো চেক করে দেখবেন। একটা সময় উনি বললেন তোমরা যে এরকম করতেছ একবারও কি ভাবতে পারতেছ টেস্ট পরীক্ষায় পাস না করলে কি হবে? তখন আর উত্তর না দিয়ে থাকতে পারলাম না। পিছন থেকে আমার ফ্রেন্ড এগিয়ে আসতে লাগলো কিন্তু আমি হাত দিয়ে ইশারা করে দিলাম তারা যেন এদিকে না আসে ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। আর আমি তখন উত্তর দিলাম আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন আপনি কি কোন ভাবে আমাকে থ্রেট দিচ্ছেন? আমি যদি আপনার বদলির ব্যাপারে আবেদন করি তাহলে আপনি আমাকে টেস্টে ফেল করাবেন? তখন তিনি বললেন আমি কি তা বলেছি? তখন আমি বললাম যে আপনার কথায় তো তাই বোঝা যাচ্ছে। আমিও দেখবো আপনি কিভাবে টেস্ট পরীক্ষায় আমাকে ফেল করাতে পারেন।
তখন তিনি একটু নার্ভাস হয়ে পড়লেন। বললেন এই ব্যাপারটা যেন কেউ না জানে। আমি যে তোমাকে ডেকেছি এবং এসব কথা বলেছি তা যেন প্রধান শিক্ষক অথবা অন্য কেউই না জানে। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম কেন আপনার কিসের ভয়? এখানে আপনি যদি সঠিক কথা বলেন তাহলে তো আপনার ভয় থাকার কথা না।
তখন তিনি বললেন আসলে আমি তোমাদের ক্লাস না নিলে অনেকে ভাববে আমি পড়াতে পারিনা তাই তোমরা পরিবর্তন করতেছো।তখন আমি বললাম এটা ভাবার কারণটা কি?আপনি তো পড়াতে পারেন,কিন্তু তিনি বারবার এটা বোঝাতে চাচ্ছেন যে এই বছরটা যেন উনিই ক্লাসটা নিক।
এই ব্যাপারটা আমি সহকারী প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলাম।তিনি বুঝেশুনে বললেন,আমরা যাতে আর আবেদন না করি, তখন জিজ্ঞেস করলাম কেন?কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না। তবে এটা বললেন তোমরা প্রাইভেট থেকে যেভাবে শিখ সেভাবেই ক্লাসে করবা,আর ক্লাসের আগেই প্রাইভেটে অধ্যায়গুলো শেষ করে ফেলবা।তারপর দেখা যাক কি করা যায়।
কিন্তু আমাদের তো এক নিয়মে পড়াটা খুব দরকার ছিল। যদি ভিন্নভাবে পড়তে যাই তাহলে আমরা কিছু তো শিখতে তো পারবোই না বরং পূর্বের নিয়মটাই ভুলে যাব। আমি এই কথা বলার কারণ হচ্ছে তিনি খুব কঠিন ভাবেই বোঝাতো এবং ভালো করে বোঝাতেই পারত না। আর যখন বোঝাতে পারতো না তখন যদি কেউ বুঝতে চাইতো তখন সেটা বাড়ির কাজ দিয়ে দিত।যদি তা না পারতো কেউ তখন তো তিনি বোঝানোর পরিবর্তে বিভিন্নভাবে বকাঝকা দিয়ে বসিয়ে দিত। বলত পড়ালেখা না করলে কেন আসো। আর এই ভাবেই চাপা পড়ে যেত আমাদের শিখার সময়টা।
তাকে আমরা ভালোভাবেই চিনি কারণ তার কাছে পূর্বেই ক্লাস করতাম। তখন তিনি কোন রকম ক্লাসটা চালিয়ে যেত। আর তিনি চাইতেন তার কাছে সবাই প্রাইভেট পড়ুক।আর আমি তখন আমার ফ্রেন্ডের কাছে এটাও বলেছিলাম যে ওনার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তারাই বেশি নাম্বার পাবে দেখে নিস।তিনি ক্লাস নেয়া শুরু করলেন।
সময় যেতে যেতে প্রি-টেস্ট পরীক্ষা হল,রেসাল্টও দিল। তখন আমি যথাযথই নাম্বার পেয়েছিলাম কারণ উনি বুঝতে পেরেছিলেন আমার সাথে পাঙ্গা নিয়ে লাভ হবে না আর। তার পর মজার একটা ঘটনা হলো। আমি যা বলেছিলাম তাই হল।আমাদের ক্লাসেরই এক স্টুডেন্ট যা যা লিখেছে একদম কপি বলতে কপি করেছে ঐ টিচারের কাছে পড়া একটা স্টুডেন্ট। কিন্তু আমাদের সেই ফ্রেন্ডটা ফেল করেছে মাত্র ১৭ পেয়েছে। কিন্তু তার কাছে পড়া যে স্টুডেন্ট আমাদের ফ্রেন্ডের লিখা হুবহু কপি করেছে,তবে কিছুটা কম লিখেছে। কিন্তু সে প্রায় ৬০ নাম্বার পেয়েছে।
এখন কাগজ দেয়ার পর আমার ফ্রেন্ড টা বললো আমি যা যা লিখেছি ওই দিন সে মেয়েটা আমার থেকে দেখেই সবকিছু লিখেছে কিন্তু আমি ফেল করেছি ও তো ফেল করেনি। তাও অনেক বেশি নাম্বার পেয়েছে।এটার মানে কি, এটা তো কখনোই মেনে নেয়া যায়না। তখন আমি বললাম যে এটা নিয়ে অন্তত প্রধান শিক্ষকের কাছে যাওয়া উচিত।
সে কাগজ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেল।সব কিছুই খুলে বলল।ঐদিন যখন পরীক্ষা ছিল তখন ঐ স্যারের কাছে পড়া মেয়েটা অসুস্থ ছিল এবং আমার থেকে সবকিছু লিখেছে। কিন্তু ও এত বেশি নাম্বার পেয়েছে আর আমি ফেল করেছি। এটা কিভাবে সম্ভব? তখন স্যার বিষয়টা যাচাই করে দেখলো। সেখানে দেখলো কিছু বিষয় নতুনভাবে সংযোজন করা কারণটা আমরা ভালোভাবেই জানি। স্যার যখন কাগজ কাটে তখন তার প্রাইভেটে নিয়ে কাটে এবং সেখানে সে মেয়েটাকে দিয়েই কিছু ঠিক করে নিয়েছিল। যার কারণে সেই মেয়েটা পাশ করেছে। বিভিন্নভাবে আমরা এই বিষয় জানতে পেরেছিলাম।
যাই হোক যেহেতু প্রধান শিক্ষক এটা বুঝতে পেরেছেন তাই সেদিন ঐ শিক্ষক কে কিছু বলেননি। কারণ প্রধান শিক্ষক চেয়েছিলেন দেখা যাক পরবর্তী পরীক্ষায় তিনি কি করেন। এভাবেই চলে গেল আমাদের একটা বছর। সব ধরনের দুর্নীতি আমাদের সাথে করেছিল। কিন্তু আমার এটাই একটা বিশ্বাস ছিল যে যেহেতু আমরা এসএসসি পরীক্ষা দিব সেখানে পরীক্ষার কাগজ তো আর উনি কাটবেন না। আমাদের প্রাপ্যটাই আমরা পাব। উনি যখনই কথা বলতেন ঠিকঠাকভাবে কথা বলতেন না। আমাকে তো একদমই সহ্য করতে পারতেন না। ক্লাসে যেভাবেই হোক আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু আমিও হার মানার পাত্রী ছিলাম না। আমিও সব সময় আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করতাম।
এই ছিল স্কুলে ঘটে যাওয়া খুব তিক্তময় একটি ঘটনা। যেটা আমাকে একটা বছর পার করতে হয়েছে। প্রতিদিন ৪০ মিনিটের ক্লাস ছিল, যেখানে কখনোই মনের খুশিতে ক্লাস করতে পারতাম না।তিক্ততা নিয়েই সেই শিক্ষকের ক্লাস করা।শেষমেশ এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বিদায় নিলাম।আর তিক্তময় দিন কাটানো থেকে মুক্তি পেলাম।
এই ছিল স্কুল জীবনের একটা তিক্ত অনুভূতি, যা মাঝে মাঝেই মনে পড়ে।কিছু স্বার্থপর মানুষের জন্য শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে না।যাইহোক এই অনুভূতি আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালোই লাগছে এখন।হয়ত এমন ঘটনার সাথে আপনাদের কারো মিল থাকতে পারে।যদি মিল থাকে জানাবেন অবশ্যই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ সবসময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ভালো থাকবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাশে থেকে সব সময় সাপোর্ট করে উৎসাহ প্রদানের জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে প্রতিটা স্কুলে এরকম কিছু স্যার রয়েছে যাদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে তারা নাম্বার দেয় না। আপনাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। হুবুহুব লিখে ফেল করল। আর তার কাছ থেকে দেখে লিখে পাশ করল। আসলে এরকম স্যারদের কারণেই পাইভেট পরতে হয়। খুবই খারাপ লাগে এরকম স্যারদের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আসলে স্কুলের তিক্ততার মাঝে আমার কাছে এই অনুভূতিটাই সবচেয়ে বেশি তিক্ত। কারণ শিক্ষকের সাথে এমন একটা মনোমালিন্য তৈরি হয়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি বলতে এ ধরনের টিচারগুলো বেশিরভাগ স্কুলে থেকে থাকে। স্বার্থন্বেষী কিছু টিচারের কারণে বাকি টিচারদের বদনাম। যাই হোক অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদমই ঠিক বলেছেন। আর আমাদের স্কুলে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া সবাই এইরকম মানসিকতা নিয়েই শিক্ষাদান করে। যা আমার মোটেও ভালো লাগতো না। আর এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের স্কুলের সম্পর্কে আমার কিছুটা হলেও ধারণা রয়েছে। কারণ একবার কম্পিউটার এর কিছু প্যাকেজ নিয়ে আপনাদের স্কুলে গিয়েছিলাম তখন কিছুটা বুঝতে পারলাম ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু ঠিক বলছেন কিছু স্বার্থপর মানুষের জন্য শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশুনা করতে পারে না। আমাদের স্কুল একজন শিক্ষক ছিল ওনার কাছে প্রাইভেট পড়লে ভালো নাম্বার দিত।শিক্ষা নামে ব্যবসা শুরু করে দেয়। মানুষ গড়া কারিগড় হওয়া কথা হয়ে যায় দুর্নীতি কারিগড়।শিক্ষকতা পেশা কিন্তু মহান পেশা।সেই মহান পেশাকে পেয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করে। আপু প্রতিযোগিতা জন্য রইল অবিরাম শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কারণ আমি এরকম অনেক শিক্ষককে দেখেছি যারা নিজের স্বার্থের কারণে শিক্ষার মত এমন একটি গুরু দায়িত্ব কে অবহেলা করে, ব্যবসা শুরু করে দেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit