ভ্রমণ পোস্ট||মুসাপুর ক্লোজারে কাটানো কিছু মুহূর্ত।

in hive-129948 •  2 months ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

আজ চলে এলাম ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। যেহেতু আপনাদের সাথে ভ্রমণের বিভিন্ন ব্লগ শেয়ার করি সেই হিসেবে আরেকটা অংশ নিয়ে হাজির হলাম।আর আজকের ব্লগে থাকবে বাংলাবাজার থেকে মুসাপুর যাওয়া এবং সেখানে কাটানো কিছু মুহূর্তের অংশ এবং ফটোগ্রাফি। আগেই বলে রাখি,মুসাপুর হলো কোম্পানিগঞ্জ জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা।পূর্বে থেকে এখন এই জায়গাটা অনেক জনপ্রিয়। যাইহোক সেদিন তো বাংলাবাজার ব্রিজে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। আজ পরবর্তী অংশে যাই..

IMG-20240803-WA0088.jpg

মুসাপুর যাওয়ার পথে একটা বিষয় খুব বিরক্ত করছিলো।কিছুক্ষণ পরপর শুধু স্পিডব্রেকার, আর এটাই মূলত বিরক্তির কারণ।আসার সময় মোট ৪৭ টা স্পিডব্রেকার গুনেছিলাম। আর বারবার এগুলো ওভারটেক করতে খুব বেশি বিরক্ত লাগছিল। যাইহোক এভাবে বেশ কিছুটা সময় জার্নি করার পর চলে গেলাম মুসাপুরের দিকে। সেখানে গিয়ে প্রথমে মুসাপুরের মেইন পয়েন্ট গুলোর বিপরীত পাশে একটা জায়গায় গেলাম।

IMG-20240803-WA0086.jpg

IMG-20240803-WA0082.jpg

সেখানে জায়গাটা অনেক বড়। আর এখানে কোন প্রকল্প করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে মনে হচ্ছিলো। এখানে মনে হয় কোনো মাছ চাষ করা হবে। অনেক দূর থেকে অনেক মাটি নিয়ে আসা হচ্ছে। সেগুলো ভরাট করছে জমির মাঝে বিভিন্ন জায়গায়। আবার ছোট ছোট ঘর দেখা যাচ্ছে জায়গাটায়। আসলে জায়গাটা দেখে মনে হচ্ছে এটা বাণিজ্যিক ভাবে কিছু করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।চারদিক তাকালে কোন গাছগাছালি তেমন একটা চোখে পড়ছে না। তবে শুধু আকাশ আর জমি দেখা যাচ্ছে।ছোট ছোট ঘরগুলো কিছু সম্পূর্ণ করেছে আরও কিছু করা হচ্ছে।রাস্তার দুপাশে দুরকম অবস্থা দেখলাম।

IMG-20240803-WA0078.jpg

IMG-20240803-WA0080.jpg

যাইহোক, সেখান থেকে আমরা আবার চলে গেলাম মুসাপুরের আরেকটা পয়েন্টে যেখানে মানুষ তেমন একটা যায় না। তবে ওই পয়েন্ট থেকে মেইন যে পয়েন্টে মানুষের ভিড় বেশি হয় সেটা দেখা যাচ্ছিল। তাই আমরা ভাবলাম যেহেতু আমরা কিছু ফটোগ্রাফিও করবো সেই হিসেবে আমরা সেখানে যাব যেখানে মানুষজন একটু কম থাকবে। তাই আমরা প্রথমেই গেলাম সেখানে।তবে যাওয়াত সময় অনেক ধুলাবালি ছিল চোখে এসে লাগছিল।তাছাড়া রাস্তার পাশে অনেক জঙ্গল ছিল, ভয় লাগছিল যদি এখান থেকে কিছু এসে আমাদের ধরে, হাহাহা। তবুও যেহেতু মানুষ এখানে সচরাচর চলাচল করে সেই হিসেবে একটা বিশ্বাস ছিল যেখানে কিছুই হবে না।

IMG-20240803-WA0076.jpg

IMG-20240803-WA0091.jpg

তারপর আমরা চলে গেলাম সমুদ্রের পাড়ে। এখানেও কিছু লোকজন ছিল।তারাও হয়তো নিজেদের মত কিছুক্ষণ সময় কাটাতে আলাদাভাবে এখানে এসেছে। এখানে প্রায়ই অনেক মানুষ ঘোরাঘুরি করতে আসে। আমরা যেহেতু প্রায় দেড় মাস আগে গিয়েছি সে হিসেবে তখন জায়গাটায় পানি তেমন বেশি ছিল না। বর্তমান সময়ে পানি অনেক বেশি ডুবুডুবু হয়ে গিয়েছে। যাইহোক সেখানে গিয়ে আমি উপরে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি নিয়েছিলাম প্রকৃতির। উপর থেকে দেখতেও যেন অনেক বেশি মনোরম লাগছিল। এর মাঝেই দেখলাম নিভৃত এবং তার বাবা দুজনে আগেই নিচে নেমে গেছে পানি ধরার জন্য।

IMG-20240803-WA0092.jpg

IMG-20240803-WA0089.jpg

এর কারণ হলো নিভৃত সমুদ্র সৈকতে গিয়ে যে আনন্দটা করেছিল সেই আনন্দটা নেয়ার জন্য মূলত এখানে এসেছে। যদিও তাকে আমরা নিচে নামতে দেইনি। কোলে থেকেই মূলত আনন্দটা করতে পেরেছে। আর আমরাও ধীরে ধীরে নিচে নাম গিয়ে সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম নিলাম।নিভৃত যে দুষ্টুমি করছে এগুলোর ভিডিও করেছিলাম। আমারও কিন্তু বেশ মজা লাগছিল তখন।আমার তো ইচ্ছে করছিল পানিতে নামতে, কিন্তু পানি অনেক ময়লা ছিল সেজন্য আমার ইচ্ছে জাগেনি।মানে একদম কাদাময় পানি ছিল তখন।অন্য কোন ময়লা অবশ্য ছিল না।

IMG-20240803-WA0073.jpg

যাইহোক নিভৃত আর তার বাবা কিছুক্ষণ পানিতে ভিজলো। যদিও জামা কাপড় ভেজায় নি, শুধুমাত্র পা ভিজিয়েছে। তারপর তারা উপরে উঠে এলো। আমরা উপরে বসলাম কিছুক্ষণ । মুসাপুর যাওয়ার পথেই একটা মিষ্টি পপকর্ণ নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে বসে খাবো বলে। নিভৃত তো সেটা খুব পছন্দ করেছিল। যদিও তাকে বেশি দেইনি অল্প একটু দিয়েছিলাম। আমরা বসে বসে সেখানে খেয়েছি আর মুহূর্তটা উপভোগ করেছি। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে গেছে। আর এই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় পার করলাম। উপরে উঠে আরো কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

IMG-20240803-WA0095.jpg

IMG-20240803-WA0096.jpg

IMG-20240803-WA0094.jpg
যাওয়ার পথে ব্লকগুলোর পাশে দেখলাম ছোট ছোট কিছু গাছ আছে, যেগুলোর মধ্যে ফুল আছে। এগুলো বিষাক্ত কিনা জানা নেই তবে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। তাই দূর থেকেই মূলত ছবিগুলো তুলেছিলাম। যাই হোক এরপর আমরা একদম মেইন পয়েন্টে যেখানে মানুষের ভিড় বেশি থাকে সেখানে গেলাম। সেখানেও বেশ অনেক্ষণ সময় ছিলাম আর আনন্দ করলাম,সাথে ফুচকা খেলাম। সে নিয়ে নাহয় আরেকদিন আরেকটা ব্লগ করবো আপনাদের মাঝে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাহ নদীর বারের জায়গাটি তো খুব সুন্দর।এযেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি।পরিবার নিয়ে সুন্দর একটি সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা।মুসাপুর ক্লোজারের ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা সেখানে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।এত সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়ে নিশ্চয়ই আপনাদের বাবু অনেক খুশি হয়েছিল।আপনাদের এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে জায়গাটায় যদি বেশি সময় ধরে থাকা যেত তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো। কিন্তু বাবুর জন্য তা আর সম্ভব হয়নি।

মুসাপুর জায়গাটা বেশ সুন্দর। আপনাদের সবার পোস্টে কম বেশি এই জায়গাটা দেখা হয়েছে। খুব নিরিবিলি একটা পরিবেশ। আর সেখানকার ওয়েদার শীতল। এরকম জায়গাতে সময় কাটাতে সত্যিই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে। চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। বড় বড় পাথর পানি সব মিলিয়ে জায়গাটা বেশ ভালো লাগছে দেখতে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

বাড়ির কাছাকাছি হলে হয়তো সবসময় সেখানে যাওয়া হতো। কিন্তু অনেক দূরে, সেজন্যই খুব বেশি যাওয়া হয় না। আমি তো প্রথম বার গিয়েছিলাম সেদিন।

এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ভ্রমণ করলে মন ভালো হয়ে যাবে। গোধূলির অপরূপ সৌন্দর্য আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন আপু। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কাছাকাছি হলে হয়তো বারাবার যাওয়া হতো,কিন্তু অনেক দূরে। ধন্যবাদ ভাইয়া।