নাটক রিভিউ || পরস্পর।

in hive-129948 •  7 months ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

প্রথম ভালোবাসা নাটকের রিভিউ।

25871434987.jpeg

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।

আজকের পোস্টে আমি আপনাদের নাটক রিভিউ শেয়ার করব।যদিও মনটা ভালো নেই। কারণ গতকাল রাতেই আমার মেজো জ্যাঠা মারা গেলেন। পারস্পরিক জীবনে যেমনই হোক না কেন, উনি তো রক্তেরই মানুষ।খবরটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো।অনেকদিন যাবৎ তিনি অসুস্থ ছিলেন। ভেবেছিলাম আজকে সকালে এসে দেখে যাব,কিন্তু কাল রাতেই তো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন। তার এ বিদায়ে তার পরিবার একদম ভেঙে পড়েছে। আসলে বয়স তেমন বেশি হয় নি,অনেকদিন যাবৎ ফুসফুসে ইনফেকশন সহ নানা রকম সমস্যা ছিল তার। যাইহোক কিছু কথা না হয় অন্যদিন শেয়ার করব।এই নাটক রিভিউ পোস্টটা গতকাল লিখে রেখেছিলাম,ভাবলাম আজ সময় পেলে পোস্ট করে ফেলবো।

এমন একটা সময় ছিল যখন আমি সবসময়ই নাটক দেখার চেষ্টা করতাম৷ সেই সময় নাটক দেখার প্রতি অনেকটাই আসক্ত ছিলাম। নাটক দেখেই আমার পুরো দিনের অবসর সময়টা পার করে দিতাম৷ তবে এখন কাজের চাপের কারণে তেমন একটা নাটক দেখা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে এখনো সময় পেলে নাটক দেখি। তাই আগের দেখাএকটি নাটক আবার দেখে নিলাম এবং এর রিভিউ আপনাদের জন্য তৈরি করে নিলাম৷


নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
নাটকের নামপরস্পর
পরিচালকসাজ্জাদ হোসাইন বাপ্পি
অভিনয়েখাইরুল বাশার, তাসনিয়া ফারিন সহ আরো অনেকে
ভাষাবাংলা
মুক্তির তারিখ১৯ মে ২০২৪

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।

Screenshot_20240714_210633_YouTube.jpg

Screenshot_20240714_210743_YouTube.jpg

Screenshot_20240714_210824_YouTube.jpg

নাটকটি শুরু হলেই দেখা যায় নায়ক তার ব্যবসা সংক্রান্ত হিসেব নিকেশ করছে৷ এই নাটকের নায়কের নাম হচ্ছে রকিবুল এবং সে ডিমের ব্যবসা করত৷ সে ব্যবসায় সবসময়ই ব্যস্ত থাকতো৷ তাই একদিন তার মা এবং তার বোন তার দোকানে আসে এবং সেখানে তাকে মেয়ে দেখার জন্য নিয়ে যায়৷ তখন সে সেখানে যায় পাত্রী দেখার জন্য৷ সেখানে পাত্রীর নাম হচ্ছে নাজিয়া৷ সে নাজিয়ার সাথে বিভিন্নরকম কথা বলে যা শুনে নাজিয়া অনেক হাসতে থাকে৷ রকিবুল নাজিয়াকে জিজ্ঞাসা করে যে এখানে ডিমের দাম কত,বুঝেন কি একটা অবস্থা,মেয়ে দেখতে গিয়েও ডিমের ব্যবসা,হাহাহা৷

এরকম প্রশ্ন শুনে নাজিয়া একেবারে হতবাক হয়ে যায়৷ যখন সে নাজিয়াকে প্রশ্নটি করে তখন নাজিয়া এই প্রশ্নের উত্তর কিছুক্ষণ পরে দিল। সাথেসাথেই রকিবুল দোকানের যে লোকজন ছিল তাদেরকে কল দিয়ে বলল যাতে করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয়। এই কথাটি শুনে নাজিয়া আরো একটু অবাক হয়। তখন রকিবুল বলে যে তার ডিমের ব্যবসা রয়েছে। তাই সে এই কাজটি করেছে৷ এরপর তারা দুজনে আবার তাদের মা-বাবার কাছে চলে আসে। এরপর রকিবুলের মা বাবা নাজিয়ার মা বাবাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে যে কখন তাদের বিয়ের ডেট দিবে। তখন তার মা বলে যে রকিবুল এর কাছে আর সময় নেই৷ সে এখনই তাকে নিয়ে যাবে৷ তখন সে নাজিয়াকে বিয়ে করে তার সাথে বাসায় নিয়ে যায়৷

Screenshot_20240714_210837_YouTube.jpg

Screenshot_20240714_210906_YouTube.jpg

Screenshot_20240714_210922_YouTube.jpg

বিয়ে করে নিয়ে যায় সাথে করে। আর এরপর তাদের জীবন সুন্দরভাবে চলতে থাকে এবং তারা দুজন অনেক হাসিখুশি থাকে। বিয়ের পরদিনই সে ব্যবসায় মনোযোগ দেয়,তার মা তাকে কিছু কথা বলে যেটা সে পাত্তাই দেয় না।তার যে বউ আছে সেটাও যেন সে জানে না।যাইহোক তবুও তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরিও করে৷ একদিন রকিবুল খাবার খাচ্ছিল এবং সেখানে নাজিয়া তাকে খাবার এনে দিল। যখন রকিবুল সেখানে দেখল যে তার খাবার টেবিলে ডিম নেই, তখন সে অনেক রাগান্বিত হয়ে যায়। সে তার মাকে জিজ্ঞাসা করে যে সে ডিম ছাড়া কখনো খাবার খায়নি, এখন কেন ডিম তার খাবার টেবিলে আসলো না৷

তখন রকিবুল অনেক রাগান্বিত হয়ে যায়৷ তাই তিনি তাকে অনেক বকাবকি করে। এরপর রকিবুল ভাত না খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়৷ এরপর নাজিয়ার পড়াশোনার কথা তারা নাজিয়া তার শাশুড়ীকে বলেছিল,ক্লাস শুরু হয়েছে,সে এখন পড়াশোনা করতে চায়৷ তখন রকিবুলের মা বলে যে পড়াশোনা করা লাগবে না৷ সে যেভাবে আছে সে যেন সেভাবে থাকে,আর মূলত বিয়ের পর পড়াশোনা না করাটাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

তখন নাজিয়া বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে,এক পর্যায়ে সে মেজাজ খারাপ করে ফেলে। রকিবুল যখন নাজিয়ার মুখে এরকম উচ্চস্বরে কথা শুনতে পায় তখন তাকে চড় মারে৷ এরপর নাজিয়া সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়৷ এরপর দিন রকিবুল নাজিয়াকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়৷ সেখানে সে নাজিয়ার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে তার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করে৷

Screenshot_20240714_211019_YouTube.jpg

Screenshot_20240714_211037_YouTube.jpg

Screenshot_20240714_211108_YouTube.jpg

এরপর দিন আবারও রকিবুল নাজিয়ার সাথে রাগারাগি করতে থাকে৷ রাগারাগির একপর্যায়ে যখন তার রাগারাগির মাত্রা একেবারেই অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তখন নাজিয়া তার মোবাইলের মধ্যে ক্যারাটে শিখেছিল কিভাবে মারামারি করতে হয়৷ সে সেখান থেকে শিখে নিয়ে রকিবুলকে অনেক মারতে থাকে৷ সে খুব ভালোভাবেই সবকিছু প্র্যাকটিস করে নিয়েছিল আগে থেকেই৷ যখন রকিবুল তার সাথে বিবাদ করতে আসলো তখন সে খুব ভালোভাবেই রাকিবুলকে মারল। সে একেবারে মারা যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছিল৷ তার সব জায়গায় ব্যথা হয়ে গিয়েছিল৷

তখন রবিউলের মা এবং বোন বাজার থেকে এসে এই বিষয়টি দেখে একেবারেই অবাক হয়ে যান৷ তখন ওনারা নাজিয়ার মা বাবার কাছে গিয়ে সেই বিষয়টি বিচার দেন৷ সকলে মিলে নাজিয়াকে বুঝায় এবং বুঝিয়ে দেওয়ার পরে সে এই বিষয়টি বুঝে যায়৷ এরপর দিন রকিবুল বলে যে সে এতদিন তার সাথে অনেক অন্যায় করেছে এবং অত্যাচার করেছে এখন থেকে সে আর কিছুই করবে না৷ তখন নাজিয়াও তার কাছে ক্ষমা চায়। এভাবে দুজন দুজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে দুজনে মিল হয়ে যায়৷ এভাবে নাটকটি সুন্দর একটি দৃশ্য নিয়ে শেষ হয়ে যায়৷

আমার ব্যক্তিগত মতামত।

আজকের নাটকটা একটা শর্ট ভিডিও দেখেই মূলত পুরো নাটক দেখেছিলাম।খুবই সুন্দর একটি নাটক এটি৷ রকিবুল এবং নাজিয়ার এরকম একটি ঘটনা নাটকের মধ্যে দেখেই আমি চিন্তা করলাম এমন তো অনেক বাস্তবিক ঘটনা আছে।এটা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনেক মানুষ তাদের ছেলেদেরকে বিয়ে করিয়ে আনেন এবং মেয়ের কাছে বা তার পরিবারের কাছে কিছু কথা আশ্বাস দিয়ে আসেন। যা পরে তারা পালন করতে পারেন না। ঠিক এরকম একটি ঘটনা এখানে ঘটেছে। যখন নাজিয়ার পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল তখন রকিবুলের পরিবার বলেছিল যে তাকে পড়াশোনা করাবে। তবে বিয়ের পর এক পর্যায়ে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়।সেখানে নাজিয়ার সাথে তাদের ঝামেলা হয়ে যায়৷ আর সেটা সহ্য করতে করতে এক পর্যায়ে গিয়ে সে এটার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এভাবে একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার ফলে তাদের দুই পরিবারের কাছে এর বিচার চলে যায়৷ পরবর্তীতে তাদের মিল হয়ে যাওয়ার পরে নাটকটি খুব সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে যায়৷ বাস্তব জীবনেও এরকম অনেক ঘটনা আমরা দেখতে পাই৷ যার সাক্ষী আমরা প্রতিনিয়তই হচ্ছে৷তবে সবাই কিন্তু এরকম প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে না।নাজিয়া তার চরিত্রে মেয়েদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার একটা শিক্ষা দিয়েছে। যেটা সবাই চাইলেও পারে না।

আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ

৯.৯/১০

নাটকটির লিংক এখানে দেয়া আছে।চাইলে দেখে নিতে পারেন।👇

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুব সুন্দর হবে নাটক টি আপনি আপনার মতন করে রিভিউ করেছেন। নাটকটি আমি দেখেছিলাম ভীষণ মজার এবং শিক্ষা নিও। প্রথমে ফারিনকে দেখতে যেয়ে বিয়ে করে আনে। একদিন খাবার টেবিলে ডিম পায় না এবং তার পরের একদিন খায়রুল বাশার বাসায় আসে।সে ফারিন কে দেখে ফোন টিপতে তখন সে খাবার চায়। কিন্তু ফারিন দিতে একটু দেরি করে ।তখন সে ফারিনকে থাপ্পড় মারে তারপরে একদিন ফারিন মারে বাশার কে কি যে হাসি পাচ্ছিল তখন। সবমিলে খুব সুন্দর ভাবে নাটক টি আপনি রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

নাটকটা খুব সুন্দর ছিল আপু, অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আপনিও দেখেছেন শুনে।

অসাধারণ

হায়রে আপু আর নাটক খোজেঁ পেলেন না। খুঁজে খুঁজে এই নাটকটির রিভিউ করতে হলো আপনাকে। আমি তো নাটকটি দেখে হাসতে হাসতে পেটের ভাত হজম হয়ে গেছে। এমন সুন্দর একটি নাটক তো বার বারই দেখা যায়। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য।

আপু আমি যখন এই নাটকের মেইন অংশটা দেখলাম মানে মেয়ে দেখতে গিয়েও ডিমের কথা জিজ্ঞেস করল তখনই তো ভাবলাম যে নাটকটা অনেক হাস্যকর হবে। সেজন্যই দেখার জন্য চলে গেলাম।

নাটকটি দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। নাটকটি দেখে অনেক মজা পেয়েছি।আজকে আপনি এই নাটকের রিভিউ করলেন,খুবই সুন্দর হবে গুছিয়ে নাটকের রিভিউ করেছেন।ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি নাটকের এত সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কখনো মন খারাপ থাকলে এই নাটকটা দেখলেই কিন্তু হাসি পেয়ে যাবে।

আপনার মেজো জ্যাঠার মৃত্যুর কথা শুনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। আসলে একটা মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলে অনেক কষ্ট হয়। মন খারাপ হলেও আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আজকে অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। এই নাটকের কয়েকটা শর্ট ভিডিও আমিও দেখেছি। নাটকটা দেখব ভেবেছিলাম সম্পূর্ণভাবে কিন্তু দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে আজকে পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পেরে ভালো লাগলো।

নাটকটা খুব বেশি সময় নয় আপু দেখতে পারেন সময় করে। খুব সুন্দর একটা নাটক এটি।

আপু আমার কাছে মনে হয় এ নাটকটির নাম পরস্পর না দিয়ে ডিম দিলে বেশি ভালো হতো। নাটকটি আমি অনেকবার দেখেছি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে নায়িকা যখন ক্যারাটে শিখে নায়ক কে মারে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।

হাহাহা একদম ঠিক বলেছেন আপু। ডিমের ব্যবসা যেহেতু করে, নাটকটির নাম ডিম ব্যবসায়ী দিলে ভালো হতো।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পরস্পর নাটকটির শর্ট ভিডিও আমিও দেখেছি কিন্তু পুরো নাটকটি দেখা হয়নি তবে শর্ট ভিডিও দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার আজকে নাটক রিভিউটি পুরোটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো, আসলে আমাদের সমাজে এখনো এই প্রথা আছে, বিয়ের আগে ঠিক একথাই বলে মেয়ের সব ইচ্ছা পূরণ করা হবে লেখাপড়া করানো হবে কিন্তু বিয়ের পরে সব ভুলে যাই, ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।

আমি কিন্তু শর্ট ভিডিও দেখে নাটক দেখতে গিয়েছিলাম। আসলে এই নাটকটা অনেক হাস্যকর এবং শিক্ষনীয়।

ঠিক বলেছেন আপু মূলত মেয়েদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার শিক্ষা টা এই নাটক থেকে পাওয়া যায়। নাটক টা অনেক আগে আমিও দেখেছিলাম। আপনার মত আমিও একটা শর্ট ভিডিও দেখেই এই নাটকটা দেখেছিলাম। আর তাদের মারামারির দৃশ্যটাই শর্ট ভিডিওতে দেখেছিলাম। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে পুরো নাটকটার রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু।

আমি মূলত ডিমের কথা যখন জিজ্ঞেস করছিল বিয়ের আগে মেয়ে দেখতে গিয়ে তখনকার শর্ট ভিডিওটা দেখেছিলাম, সেজন্যই মূলত নাটকটা দেখলাম।

এই নাটকটি আমি কিছুদিন আগেই দেখেছি আপু। আমার কাছে ভালোই লেগেছিল। দুজনের মাঝে বোঝাপড়াটা খুবই দরকারি। আর গায়ে হাত তোলাটা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়। তবে শেষে মেয়েটি প্রতিবাদী হয়েছে বলেই ছেলেটি তার ভুল বুঝতে পেরেছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকারভাবে নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এই জন্যই তো সে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে, আর এটাই শিক্ষা দিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া নাটকটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছেও।

বেশ কিছুদিন আগে আমিও এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছিলাম। নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে কিছু সিন দেখে অনেক হাসি পাচ্ছিল। বেশ ভালো লেগেছে নাটকটি। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ শেয়ার করেছেন।

ঠিক বলেছেন আপু, ডিমের কথা জিজ্ঞেস করা আর যেখানে সেখানে গেলে ডিম দিয়ে খাওয়ার ব্যাপারটাই হাস্যকর বেশি ছিল।

এই নাটকটি আমিও দেখেছি খুবই হাসির ও মজার একটি নাটক ছিল।প্রথমে মেয়েটি মার খেত পরে সে নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে নিজেও মারপিট শিখে স্বামীর সাথে লড়াই করে।দারুন লেগেছিল আমার কাছে নাটকটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

অত্যাচারী হয়ে থাকার চেয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠার গল্পটাই শেয়ার করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু,মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।

নাটক টা আমি দেখিনি তবে ফেসবুকে এর যত ক্লিপ দেখেছি নাটক টা দেখতে আর বাকিও নেই। ডিম ব‍্যবসায়ী হলে যে ডিমের প্রতি এমন ভালোবাসা থাকে সেটা নাটকে দেখানো হয়েছে। আবার শেষে যখন বউ তার স্বামী কে পিটিয়ে দেয় এটাও বেশ ছিল হা হা। দারুণ রিভিউ করেছেন নাটক টার আপু।

হাহাহা,মূলত বউ মার খেতে খেতে একসময় এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে এটাই মূল শিক্ষা দিলো নাটকটিতে।এমন তো প্রায়ই দেয়া যায়।