♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আপনাদের সকলের সাথে পরীক্ষার প্রথম দিনের মানে স্পিকিং টেস্টের দিনের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী যেদিন আমার রিডিং, রাইটিং এবং লিসেনিং এক্সাম হয়েছিল সেদিনকার মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। তাই ভাবলাম আজ যেহেতু একটু সময় পেলাম সে হিসেবে মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
পরীক্ষাটা ছিল ১০ তারিখ, আসলে আইলটস এক্সাম এর মেইন পরীক্ষা হয় রিডিং, রাইটিং এবং লিসেনিংয়ের দিন। স্পিকিং টা আগেই হয়ে থাকে। তবে সেটা ইউকেভিআই এর ক্ষেত্রে, বাকি একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে কিভাবে হয় সেটা আমার জানা নেই। যাইহোক যেহেতু আমরা ইউকেভিআই সে ক্ষেত্রে আমাদের একটু আলাদা ক্যাটাগরিতে এক্সাম দিতে হয়। আমার পরীক্ষা ছিল ১টা থেকেই,তবে সেখানে যেতে বলা হয়েছে বারোটার আগে। সেখানেও কিন্তু আবার রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কারণ আইলটস এক্সাম এর জন্য এক্সাম দেয়ার আগেই কম্পিউটার এবং পাসপোর্ট সহ ভেরিফিকেশন করে, রেজিস্ট্রেশন করে,ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে এক্সাম দেয়া হয়। এক্সামটাও খুব স্বাচ্ছন্দেই দিয়েছিলাম।
প্রথমতই বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম বারোটার আগেই। ১১:২০ এর দিকে বাসা থেকে বের হলাম কারণ সেখানে গিয়ে লেট হলে আবার ঝামেলা হবে। সেদিন আবার বাবুকে নিয়ে গিয়েছিলাম কারণ আমার পরীক্ষা যেহেতু ৩ ঘন্টা সে ক্ষেত্রে বাবু কিন্তু এতক্ষণ সময় থাকবে না বাসায়। পরীক্ষা শুরু হবে ১টা থেকে শেষ হবে চারটার মধ্যে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সাড়ে চারটা পাঁচটা।সেখানে চলে গেলাম ১১ঃ০০ টায় এক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মত আমি বাইরেই থাকতে হবে। আর এখানে বাবু একদম একা হয়ে যাবে সেজন্য ভাবলাম ওকে যাওয়ার সময় নিয়ে যাব।
যাইহোক মামার বাসা থেকে বের হয়ে রেডিসন ব্লুতে চলে গেলাম। বেশ নামকরা একটা হোটেল সেটা। আর অনেক বড় এরিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিল। জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমরা সেখানে গেলাম, যাওয়ার পর সিএনজি থেকে নেমে প্রথম দিকের গেইটের সামনে অবস্থান করলাম। তখন হঠাৎ দেখলাম তৌহিদ আফ্রীদি গাড়িতে উঠছে। সে চট্টগ্রাম এসেছে বন্যাগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। যাই হোক এই ফাঁকে আমি আবার ছবিও তুলে নিয়েছি। এরপরে আমরা অপজিট সাইডে গেলাম। যেখানে আমাদের এক্সাম হবে সেখানেই গেলাম। বাবু কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করছে, দৌড়াদৌড়ি করছে। যেহেতু অনেক টাইম হাতে ছিল সেক্ষেত্রে আমি বেশ কিছুক্ষণ যখন সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং আশেপাশে ছবিগুলো তুললাম।
তারপর আমি ব্যাগ চেকিং দিয়ে ৪তলায় চলে গেলাম।নিভৃত আর তার আব্বু বাসায় চলে গেল।কারণ তারা এতক্ষণ বসে থেকে কি করবে,আর নিভৃতও কিন্তু এখানে থাকবে না বেশিক্ষণ। বাসায় যেহেতু ওর খালামনি আছে সেহেতু সবাই মিলে কিছুক্ষণ রাখতে পারবে।যাইহোক, আমি তো চলে গেলাম উপরে, সেখানে গিয়ে বসে রইলাম ওয়েটিং রুমে।বিশাল বড় হলরুম। খুব সুন্দর খোলামেলা পরিবেশ। চারিদিকে তাকালে বিশালতা দেখা যাচ্ছে,তবে কোথায় কি সেটার কিছুই বুঝলাম না। যাইহোক এক এক করে বাকিরা এলো, সবাই মিলে বসে গল্পগুজব হচ্ছিল,স্পিকিং টেস্ট কার কেমন হয়েছে তা নিয়েই কথা হচ্ছিলো। ১২:৩০ টা পর্যন্ত এভাবেই কাটালাম,বাসায় কল দিয়ে আবার বাবুর সাথে কথা বললাম কিছুক্ষণ,সে কান্না করছিল তখন।
এরপর তো রেজিস্ট্রেশন শুরু, সবার রেজিস্ট্রেশন শেষ করে ব্যাগগুলো পলিতে রেখে টোকেন নিয়ে সবাই এক্সাম রুমে চলে গেলাম।১৬ জনের সিট ছিল আর পরীক্ষা দিয়েছে ১৫ জন, ছেলে মেয়ে অনেকেই ছিল।যাইহোক এক্সাম হলে তো আর মোবাইল নেয়া যায় না, ও হ্যা আবার কোনো ধরনের ঘড়িও এলাও করে না সেখানে।এক্সামিনার যারা ছিলেন সবাই খুবই ভালো,আন্তরিক ছিলেন।এই একটা সেক্টর দেখলাম সবাই যেন একদম নমনীয়।তাদের মধ্যে যেন কোনো অহংকার নেই, অধৈর্য্য নেই।যেকোনো সমস্যায় তারা দ্রুত এসে সমাধানের চেষ্টা করে।সত্যি বলতে আমি মনে মনে শুধু ভাবছিলাম এমন যদি সব জায়গায় হতো তাহলে কত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকতো।তারা নিজেরা বিভিন্ন আলোচনা করছিলো ঠিকই কিন্তু কারো কথা জোরে ছিল না,এদিকে পরীক্ষার্থীরাও নিশ্চুপ বসে আছে।আর আমি তো একের পর এক টিস্যু শেষ করছি।সেদিনই আমার সর্দি, আর অনবরত চোখ দিয়ে পানি যাচ্ছিলো। আবার বাসা থেকে বেরোনোর সময় নিভৃত তার আঙ্গুল আমার চোখে দিয়ে আরো বাজে অবস্থা হয়েছিলো।
যাইহোক কোনো মতে আমি যেন এক্সাম দিয়েছি।যেহেতু এই এক্সামে কমন পড়ার মত কিছুই নেই সেই হিসেবে পরীক্ষা দিতে ভয়ও হচ্ছিলো।কি আসে না আসে।তবে যেহেতু প্রথমে লিসেনিং হয়েছিল সেই হিসেবে একটা পার্ট এ কি বলছে তা যেন খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। তারপর হলো রিডিং, এরপর রাইটিং।একরকম ধরা খেলাম রাইটিং এ।কারণ আমি যেই ধারায় রাইটিং করেছি সেই ধারায় আসেনি।যাইহোক মনে বল রেখে লিখে ফেললাম,লিখতে আমার ভালোই লেগেছে।তবে মজার বিষয় হলো যখন ক্লাস করেছি তখন সবচেয়ে কম সময় দিয়েছি রাইটিং এ।আর এক্সামে তো সেই হিসেবে কনসেপ্টই কমন হয়নি কিন্তু রাইটিং এ পেয়েছি ৬ ব্যান্ড,হাহাহা।তারপর আরও কিছু প্রসেসিং শেষ করে বের হয়ে গেলাম।ইতোমধ্যে আমার হাজব্যন্ড সিএনজি নিয়ে চলে এসেছে। তারপর তো বাসায় চলে গেলাম,পরীক্ষার প্যারা শেষ হয়েছিল তখন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টি আপু প্রথমে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। এজন্য যে আপনি যে আইলটস এ পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন এটা আমি আগে থেকেই জানি। যেদিন আপনি এসেছিলেন ঐদিন ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছিল। আপু আপনার পরীক্ষা কেমন হয়েছে আর যেদিন রেজাল্ট দেবে সেদিন অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আপনার জন্য পুনরায় শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে ভাইয়া,এখন এপ্লিকেশন বাকি।৫.৫ এসেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই কোর্সের বিষয়টা আপনি অনেকদিন আগে আমাকে ডিসকোটে বলেছিলেন জেনারেল চ্যাটের মাধ্যমে। কিছুদিন আগে দেখলাম প্রথম পর্বটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন অবশ্য পোস্ট করেছিলাম কিন্তু কোন কমেন্টস করার সময় হয়ে উঠেছিল না যাইহোক আজকে দ্বিতীয় পর্ব লক্ষ্য করলাম খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। দোয়া করব যেন আপনার লক্ষ্যে আপনি পৌঁছাতে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো লাগলো যে আপনার মনে আছে বিষয়টা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইউকেভিআই কি এই বিষয়টা খুব একটা বুঝলাম না আপু। যদিও এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে জানতে ইচ্ছে করছে। যেহেতু সিট সংখ্যা ১৬ টা ছিল আর এক্সাম দিয়েছে ১৫ জন তাহলে তো বেশ ভালোই হয়েছে। যাইহোক আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইউকেভিআই হলো ইউকে এর জন্য,যেটা আমার ক্ষেত্রে লেগেছিল।তবে পরীক্ষাটা জেনারেল এর মতই জাস্ট রেজিট্রেশন এর জন্য ইউকেভিআই দিতে হয়েছিল।আরও কিছু বিষয় আছে আপু,কমেন্টে না বলে ডিস্কোর্ডে বলবো কোনোদিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit