জেনারেল রাইটিং-:যে নদীর গভীরতা বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।

in hive-129948 •  3 days ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

Minimalist Thank You Card .png

নদী বহমান,কিন্তু এক্ষেত্রে গভীরতার বিষয়টা সম্পর্কে বলতে গেলে যে নদীর গভীরতা বেশি থাকে সেই নদীর বয়ে যাওয়ার শব্দ কম হয়। কিন্তু যে নদীর গভীরতা কম থাকে সেই নদী বয়ে যেতে ব্যাপক শব্দ করে। যেমনটা কিছু মানুষ আছে নিজেদের বেশি জ্ঞানী বা পন্ডিত মনে করে তাদের দেখানো ভাবটা অনেক বেশি। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আজকে এই বিষয়ে কিছু কথা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদেরকে খুব বেশি জ্ঞানী মনে করে।আর যেকোনো জায়গায় যেকোনো অবস্থানে সে তার জ্ঞান প্রয়োগ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা মনে করে তাদের থেকে অধিক জ্ঞানী আর কেউই না। তাই সব ব্যাপারে তাদের কথা বলতেই হবে আর জ্ঞানের প্রকাশ করতেই হবে।যেমন আমার কলেজ লাইফে এমন এমন কিছু স্টুডেন্ট দেখেছি যারা কিছু পারুক বা না পারুক কথার দ্বারা তারা বোঝানোর চেষ্টা করে যে তারা সব পারে।

কিন্তু যখন সেই বিষয়েই কোনো পরীক্ষা দেয়া হয় বা কাজ দেয়া হয় তখন দেখা যায় অন্যের কাছ থেকে তারা হেল্প নিয়ে থাকে। আবার হেল্প নেয়ার পরও সবার আগেই নিজের টাস্কগুলো প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করে। কিন্তু যাদের কাছ থেকে হেল্প নিয়ে তারা কাজটা সম্পূর্ণ করেছ সেই ক্রেডিট কাউকে দেয়না বরং নিজেই ক্রেডিট নিয়ে নেয়।এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে তারা সবসময় চাপার জোরে কথা বলে আর নিজেকে মহাজ্ঞানী প্রকাশ করে।আবার অনেকে এমনও করে যে সেই সব জানে, সেই সব পারে। এমন প্রকাশ শুধুমাত্র তারাই করে যাদের ভিতরে জ্ঞানের ছিটেফোঁটাও থাকে না।

এমন মানুষগুলো অন্যের স্বাভাবিক জীবনটাকে বিষাক্ত করে তোলে।এরা আসলে নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করতে ওস্তাদ যে তারা সবকিছু পারে এটা প্রমাণ করেই ছাড়বে। কারণ তার পিছনে দিকগুলো তো তার সাথে চলাফেরা করা মানুষগুলোই জানে। নতুন কেউ তো আর জানবে না। ঠিক তেমনি একটা নদীর গভীরতা যদি অনেক বেশি থাকে তাহলে সেটা শব্দ কম করে নীরবে বয়ে চলে যায়। কারণ সবাই জানে যে নদীর গভীরতা বেশি হয় সে নদী এই শব্দ কম করে চলে। কিন্তু যে নদীর গভীরতা কম থাকে সে তার ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে সবদিক জানিয়ে দেয় যে নদী সেখানে বিদ্যমান।

তাই আমরা নিজেদেরকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের জ্ঞান বা মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। নিজেকে এমন ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা না করা উচিত যাতে করে একজন মানুষের কাছে হাসির পাত্র না হতে হয়। এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা নিজেকে অনেক বেশি জ্ঞানী মনে করে এবং অন্যকে অসম্মান করে। কিন্তু আসলে বাস্তবতার ভিত্তিতে তার জ্ঞানটা কোন কাজেরই নয়। যদি সে আসলেই জ্ঞানী হতো তাহলে সবদিক বিবেচনা করে নিজেকে প্রকাশ করতো।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জ্ঞানী গুনী মানুষ জন যারা খুব বেশী অভিজ্ঞতা নিজের মধ্যে ধারন করেন তারা কম কথাই বলেন।তারা বুঝে শুনে মানুষের সাথে কথার উত্তর দেন।আর যারা কম জানেন কোন বিষয়ে তারাই দেখি খুব বেশী কথা বলেন আজকাল। এতে এ কথা স্পষ্ট যারা বেশী জানেন তারা নীরব থাকেন।

অনেক ক্ষেত্রে আবার শুধুমাত্র কম কথা বললেই তাকে জ্ঞানী বলা যায় না আপু।পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার মানুষকেই জ্ঞানী বলা হয়।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

❤️❤️

আসলেই আপু কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের জ্ঞান-গরীমাকে এমনভাবে প্রকাশ করে মনে হয় যেনো তার থেকে আর কেউ জ্ঞানী ব্যক্তি নেই। এই মানুষগুলোর জন্যই কিছু মানুষের জীবন বিষাক্ত হয়ে ওঠে। তাই আপনার সাথে সহমত আমিও যে, যে কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে আমাদের নিজেদের জ্ঞানের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং সঠিক বিষয় সঠিক পারদর্শিতা প্রদর্শন করতে হবে। নচেৎ হাসির পাত্র হওয়া স্বাভাবিক।

আপনিও একদম ঠিক বলেছেন। কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

এটা চরম বাস্তবতা এবং একদম বাস্তবসম্মত একটি কথা। আবার এর পাশাপাশি আরেকটা সংজ্ঞা অ্যাড করা যায় খালি কলস বাজে বেশি ভরা কলস বাজে না। সর্বোপরি এ ধরনের মানুষ অনেক রয়েছে যারা নিজেদেরকে জ্ঞানী বোঝানোর জন্য অনেক কিছুই প্রকাশ করে মূলত ভিতরে খোলস ছাড়া আর কিছু নাই।

একদম ঠিক বলেছ খালি কলস বাজে বেশি। এজন্যই আসলে সমস্যা বেশি বাধে।

Screenshot_20250303-103222_Chrome.jpg

Screenshot_20250303-103138_Chrome.jpg

দারুন একটি বিষয়কে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কথাতে বলে যে মেঘ গর্জায় সে মেঘ বর্ষায় না। অর্থাৎ যে অনেক কিছু জানে সে কখনো তার অহংকার করে না। আর যে স্বল্প জ্ঞানী সে সবকিছু দিয়ে অনেক বেশি দম্ভ প্রকাশ করে থাকে। আপনার লেখাটি পড়ে তাই বেশ ভালো লাগলো।

আমার লেখাগুলো পড়েছেন এবং উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব সুন্দরভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি বিনয়ী হন, আর অল্প জ্ঞানই অহংকার বাড়িয়ে তোলে আপনার লেখায় এই সত্যটা দারুণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বিষয়টির উপস্থাপন ভেবেচিন্তে গাঁথা, যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। এমন সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী লেখা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

জ্বী ভাইয়া সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি কখনো অহংকার করে না। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা দেখে।

আপনার পোস্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সত্যিই, যেসব মানুষ নিজেদের বেশি জ্ঞানী বা পন্ডিত মনে করে, তারা প্রায়ই নিজেদের দেখানোর জন্য অতিরিক্ত আলোচনা করে, অথচ বাস্তবে তাদের জ্ঞান সীমিত। এই ধরনের মানুষ প্রায়ই অন্যদের সম্মান না করে এবং নিজেদের ক্রেডিট গ্রহণ করে, যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, যাদের মধ্যে সত্যি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকে, তারা নীরবভাবে কাজ করে, এবং তাদের কার্যকলাপে কথার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই, আমাদের উচিত নিজের ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রতি সৎ থাকা এবং অহংকার না করে প্রকৃত জ্ঞানী হয়ে ওঠা।

কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন আপু। অন্যের ক্রেডিট নিজেরা নিতেই ওস্তাদ।

আবার হেল্প নেয়ার পরও সবার আগেই নিজের টাস্কগুলো প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করে। কিন্তু যাদের কাছ থেকে হেল্প নিয়ে তারা কাজটা সম্পূর্ণ করেছ সেই ক্রেডিট কাউকে দেয়না বরং নিজেই ক্রেডিট নিয়ে নেয়।

এই ধরনের মানুষ গুলোকে আমার খুবই বিরক্ত লাগে। কারণ তাদের মন-মানসিকতা একেবারেই জঘন্য। তাই এসব মানুষদেরকে হেল্প করতেও ইচ্ছে করে না। এককথায় বলতে গেলে খালি কলসি বাজে বেশি। কারণ তাদের ভিতরে তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও তারা বেশি লাফালাফি করে। যাইহোক দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

জ্বী ভাইয়া খালি কলসের আওয়াজটা একটু বেশিই হয়। কিন্তু এরা নিজেদেরকে অনেক কিছু মনে করে থাকে। এজন্যই তো এটা থেকে দূরে থাকা ভালো।

খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে যাদের মধ্যে কোন ধরনের জ্ঞান অথবা বাস্তবতা সম্পর্কে কোন ধরনের ধারণা থাকে না তারা অতিরিক্ত লাফালাফি করতে থাকে৷ সবসময় এমন একটা ভাব নিয়ে থাকে যে তারা সবকিছু জানে৷ তবে প্রকৃতপক্ষে তারা কিছুই জানে না৷ যারা প্রকৃত জ্ঞানী তারা কখনোই এরকম লাফালাফি করে না৷ তারা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে এবং যখন তাদের এই জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ হওয়া দরকার তখনই তারা তাদের এই জ্ঞান এর বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে৷ আর আপনি একেবারে সঠিক বলেছেন যে নদীর গভীরতা যত বেশি তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম৷