বাসায় তৈরি করা মজাদার বিস্কুটের রেসিপি।

in hive-129948 •  5 months ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

21PRtjKRXPQybj4WUXScWv5QPLninWRxfbcWNsx7SenD7Fs9FMzZnRf2krvVa8gJ3997oDTB4Ae4bYQEM6R5A71yewAKbzJNhBE2sddMLrmaB3caD9qoLQS4JEdNZnDxoeE5T7i7CDTK1VvmTZvj76E.jpeg

আজকের রেসিপিটা দেখে হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে।আসলেই কি এভাবে বিস্কুট তৈরি করা যায়?এটা বানানোর আগে আমারও মনে মনে খটকা লাগতো, আসলেই কি বাসায় এত সুন্দর আর মজার বিস্কুট তৈরি করা যায় নাকি।পরক্ষণে একরকম রিস্ক নিয়েই রেসিপিটা করে ফেলেছিলাম। আর তারপর থেকে ভাবলাম এভাবে করেই এবার থেকে বিস্কুট তৈরি করব।কারণ এটা খেতে অসম্ভব মজার ছিল। একদম মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। আর অনেকটা মুড়মুড়ে হয়েছিল। এককথায় প্রথমবারেই ছক্কা মেরে দিলাম,হাহাহা।এটা যে কেউ তৈরি করতে পারবে। তবে তেল এর পরিবর্তে যদি পানি ব্যবহার করা হয় তাহলে হয়তো নাও হতে পারে। এভাবে সেইম টু সেইম করলে একদম পারফেক্ট একটা বিস্কুট তৈরি করতে পারবে যে কেউ। যাইহোক কথা আর না বাড়িয়ে শুরু করি রেসিপিটি।

Photoleap_23_05_2024_09_41_20_7RPj4.jpg

আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ

উপকরণপরিমাণ
ময়দা১ কাপ
পাউডার সুগার১/৩ কাপ
গুড়ো দুধ১/৪ কাপ
লবণ১/৩ চা চামচ
তেলপৌণে ১ কাপ
বেকিং সোডা১/২ চা চামচ
ডিম১ টি
কাজুবাদামইচ্ছেমত

VideoCapture_20240521-195419.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে একটা বাটিতে ১ কাপ ময়দা নিলাম। তারপর ১/৩ কাপ পাউডার সুগার দিলাম।সাথে দিলাম গুড়ো দুধ আর লবণ।

20240525_193527.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন ১/২ চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দিলাম। তারপর শুকনোভাবেই সবগুলো উপকরণ বেশ কিছুক্ষণ মিক্স করে নিলাম।

20240525_193539.jpg

তৃতীয় ধাপ

এই ধাপে পৌনে এক কাপ সয়াবিন তেল এই মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে সফট একটা ডো তৈরি করে নিলাম।

20240525_193605.jpg

চতুর্থ ধাপ

এই ধাপে একটা শুকনো স্টিলের প্লেট নিলাম। স্টিলের প্লেট এর মধ্যে হালকা সয়াবিন তেল ব্রাশ করে নিলাম।

20240525_193621.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন তৈরি করা ডো থেকে অল্প অল্প পরিমাণ আটা দিয়ে গোল গোল করে বিস্কুটের মত ছোট শেপ তৈরি করে নিলাম।

20240525_193630.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন তেল ব্রাশ করে রাখা স্টিলের প্লেটের মধ্যে ফাঁক ফাঁক করে বিস্কুটের ডো গুলো দিয়ে দিলাম।

20240525_193708.jpg

সপ্তম ধাপ

এখন একটা ডিমের কুসুম ভেঙ্গে ব্রাশের মাধ্যমে বিস্কুটের ডো গুলোর উপরে লাগিয়ে দিলাম।

20240525_193726.jpg

অষ্টম ধাপ

এখন কাজুবাদামকুচি গুলো অল্প অল্প করে সবগুলো বিস্কুটের ডো এর উপরে ছড়িয়ে দিলাম। তারপর একটা পাতিল ১০ মিনিট ফ্রী হিট করে তারপরে সে পাতিলের মধ্যে স্টিলের প্লেট টা দিয়ে দিলাম।

20240525_193742.jpg

নবম ধাপ

উপর থেকে আরও একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত একদম লো আঁচে বেক করে নিলাম। এক্ষেত্রে কোন পানি বা অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়নি।

20240525_193756.jpg

পরিবেশন

ঠান্ডা হওয়ার পর বিস্কুট গুলো কিছুটা শক্ত হয়ে আসবে।তবে গরম অবস্থায় বিস্কুট নরম থাকবে।এইতো খুব সহজেই মজাদার বেকারি স্টাইলের বিস্কুট তৈরি হয়ে গেল। যেটা খেতে অসম্ভব মজার ছিল।

VideoCapture_20240521-195840.jpg

Photoleap_23_05_2024_09_40_59_w7TD4.jpg

IMG-20240516-WA0017.jpg

আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাসায় মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই বিস্কুট রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আর মুচমুচে হয়েছিল তাই আরো বেশি ভালো লেগেছে খেতে। আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করার ইচ্ছা জাগলো, পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।

Hi good friend there is a new quest live to earn etherium
Join the current quest free and earn Ether for training your AI
Check it out tell me what you think..

There are campaigns with donation for you to assist with training their AI protocol.

আপু রাগ করেছি। কথা বলবো না। আপনি এমন সুন্দর করে বিস্কুট তৈরি করে একা একা খেলেন। আজকাল তো কত রকমের ওয়ে আছে পাঠানোর একটু পাঠালে তো আমিও খেয়ে দেখতে পারতাম। বেশ সুন্দর আর মজাদার ছিল সেটা বুঝাই যাচেছ। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে গোলাকার ময়দাগুলোর সাথে ডিম মাখিয়ে দেওয়াটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি বিস্কুট তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ওয়াও আপু।আপনার তৈরি বিস্কুট রেসিপি টা দারুন ছিল। একদম বেকারি স্টাইলের। এইরকম মজাদার বিস্কুট খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি বাসায় হেলদি উপায়ে তৈরি করেছেন এটা নিঃসন্দেহ বাইরের কেনা বিস্কুট থেকে হাজারগুন উত্তম। অনেক ধন্যবাদ বিস্কুটের এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

আমরা বাঙ্গালি সকাল বেলা একটা বিস্কিট আর চা পেলে পুরো ভাতের কাজ করে দেয় বিস্কুট আমার খুব পছন্দের। হাতে বানানো দারুন রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।

আপু আপনি প্রতিনিয়তই আমাদের মাঝে নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হন। তাই আমার খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আজকে আপনি আরো নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন সেটা হচ্ছে বাসায় বিস্কিট তৈরি। বিস্কিটের কালার টা দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে। অনেক স্বাদ হয়েছে খেতে তা বোঝাই যাচ্ছে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার বিস্কূটের রেসিপি তৈরি করুন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। আপনি রেসিপি তৈরির মধ্যে অনেকগুলো উপাদান দিয়েছেন এই কারণে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মজাদার বিস্কুট খেতে তো মনে হয় মজাই হয়েছে আপু তাই না? আপনি তো আজ ধামাক্কা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা আজকের বিস্কুটের রেসিপি আমার কাছে কিন্তু দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

বেকারি বিস্কুট আমার খুবই প্রিয় মাঝেমাঝে বিভিন্ন ফ্লেভারের এবং বিভিন্ন স্বাদের বিস্কিট কিনে বাসায় রেখে খাওয়া হয়।
তবে কখনোই বাসায় প্রস্তুত করা হয়নি।
আজ আপনার প্রস্তুত করার বিস্কিটের রেসিপি দেখেই সত্যি খুব লোভ হচ্ছে।
খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল।

সত্যিই অনেক মজাদার এবং লোভনীয় বিস্কুট বানিয়েছেন আপনি। বিস্কুট গুলো দেখেই তো মনে হচ্ছে এক কাপ গরম গরম দুধ চায়ের সঙ্গে খেয়ে নেই। বিস্কুট তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর ভাবে ভাগ করে নিয়েছেন যে কেউ দেখেই বানিয়ে নিতে পারবে আপনার বিস্কুটগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

আপু আপনি চমৎকার এবং লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে দেখালেন। আপনার বাসায় তৈরি করা মজাদার বিস্কুটের রেসিপি দেখে আমিও শিখে নিলাম। এই ধরনের মুড়মুড়ে বিস্কুট চা দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। তৈরির ধাপ সমূহ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আসলে অনেক রেসিপি ভেবে বা দেখে মনে হয় এটা কি ভালো হবে কিন্তু একটু সাহস নিয়ে তৈরি করলে দেখা যায় মোটামুটি বেশ ভালোই হয়। এবং বাড়িতে তৈরি করা খাবার অনেক পরিষ্কারভাবে নিজের মতো করে তৈরি করা যায়। এবং সেটি খেতে অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপগুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই বিস্কুট রেসিপি দেখে তৈরি করব আমি ও।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে এভাবে কখনো বিস্কুট তৈরি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি বিস্কুটের রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটা দেখে শিখে নিতে পারলাম পরবর্তীতে কোন একদিন তৈরি করব।

এর আগেও আপনার একটা রেসিপি পোস্টে বিস্কুটের রেসিপি দেখেছিলাম সম্ভবত। আজকেও বিস্কুটের একটা রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। রিক্স নিয়ে তৈরি করলেও বেশ ভালোভাবেই তৈরি করতে পারলেন। বাসায় এভাবে কখনো বিস্কুট তৈরি করা হয়নি। তবে তৈরি করাটা খুব একটা কঠিন মনে হলো না আমার কাছে। বাসায় ট্রাই করে দেখব। উপরে বাদামগুলো দেওয়ার কারণে অনেক বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

বাসায় তৈরি করা যে কোন খাবার খেতেই ভালো লাগে। আর আপনার তৈরি করা বিস্কুটগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এই ধরনের খাবার গুলো খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি অনেক পরিশ্রম করেই তৈরি করতে হয়।

বিস্কুট গুলো চমৎকার তৈরি করলেন আপু আপনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কথাটার সুস্বাদু হয়েছিল। বাসায় যদি এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সুস্বাদুভাবে বিস্কুট তৈরি করা যায় তাহলে বাইরথেকে কিনে আনার কি দরকার। আপনার রেসিপি দেখে একদিন তৈরি করে দেখতে হবে আপু। আশা করি ভালো লাগবে যা বিস্কুটের কালার দেখে বুঝতে পেরেছি।

জীবনে রিস্ক না নিলে কিছু করা যায় না। এই আপনি যেমন রিস্ক নিলেন এবং বিস্কুট টা তৈরি করতে সফল হলেন। সত্যি দেখতে বেশ দারুণ এবং লোভনীয় লাগছে। বাড়িতে যে এমন সুন্দর বিস্কুট তৈরি করা যায় আমার জানা ছিল না। বিস্কুট তৈরি ধাপগুলো খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে নিয়েছেন। দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

মজাদার বিস্কুট যদি বাসায় তৈরি করা যায় তাহলে তো আর কিছুই লাগেনা আপু। এত সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে তো বেশ ভালো লেগেছে। যদিও আপনার মত এত দক্ষতার সাথে তৈরি করতে পারব না তবে বাসায় চেষ্টা করব আপু।