মজাদার কাঁকড়া ভাজা রেসিপি। ১০% লাজুক-শিয়াল এর জন্য।

in hive-129948 •  2 years ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

GridArt_20220903_153658570.jpg

আজকের পোস্ট এমন একটি রেসিপি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে যা হয়তো অনেকেই খায় না বা পছন্দ করেনা। যাই হোক আমি নিজেও তেমন একটা খেতাম না ।তবে এইবার পটলের রেসিপি তৈরি করার সময় কাঁকড়া নিয়ে এসেছিলাম। আর সেই কাঁকড়ার পা গুলো দিয়ে আজকের রেসিপি তৈরি করলাম। আমি অনেক আগে যখন চট্টগ্রামের সী বিচ গিয়েছিলাম ।তখন সেখানে কাঁকড়া ভাজা খেয়েছিলাম।আর এই মুচমুচে পা গুলো খেতে খুব ভালো লেগেছিল ।এবার যেহেতু নিজের বাসায় কাঁকড়া নিয়ে এসেছিলাম তাই কাঁকড়ার রেসিপি করার পরে পা গুলো দিয়ে আলাদা একটা রেসিপি করে ফেললাম। যা খেতে অসাধারণ ছিল। আপনারা কে কে খেয়েছেন অবশ্যই জানাবেন ।

তাহলে দেরি না করে এই সহজ রেসিপিটি শুরু করা যাক।

কা‌ঁকড়া ফ্রাই তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

GridArt_20220903_133129711.jpg

উপকরণ
পরিমাণ
কাঁকড়ার পাপরিমাণ মত
লবণ১ চা চামচ
মরিচ গুড়ো২ চা চামচ
হলুদ গুড়োআধা চা চামচ
রসুন বাটা১ চা চামচ
পেয়াজ কুচি১ টি
মাংসের মসলা২ চা চামচ
সয়াবিন তেল১ টেবিল চামচ

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি কাঁকড়ার পা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। কয়েকবার করেই ধুয়ে নিলাম যাতে কাদা না থাকে।

IMG_20220903_133708.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এ পর্যায়ে আমি হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো,রসুন বাটা আর লবণ দিয়ে মেখে নিলাম কাঁকড়ার পা গুলোকে।

IMG_20220903_133539.jpg

তৃতীয় ধাপ

তারপরে চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম গরম হওয়ার জন্য।
তেল গরম হয়ে এলে এর মধ্যে আমি মসলাগুলো দিয়ে মেখে রাখা কাঁকড়ার পা দিয়ে দিলাম এবং ভাজতে থাকলাম।

IMG_20220903_133409.jpg

চতুর্থ ধাপ

কিছুক্ষণ ভেজে নেয়ার পর যখন এগুলো লাল হতে শুরু করল তখন এরমধ্যে মাংসের মসলা দিয়ে দিলাম।

IMG_20220903_133517.jpg

পঞ্চম ধাপ

নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকলাম কিছুক্ষণ। এরপরে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম। সব মিলিয়ে ভেজে নিলাম কিছুক্ষণ। এর সাথে আমি কিছুটা পরিমাণ পানিও দিয়ে দিলাম যাতে ভালোভাবেই সিদ্ধ হয়।

IMG-20220828-WA0041.jpg

IMG_20220903_133345.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এইভাবে রান্না করতে করতে পানি শুকিয়ে এলো এবং এই কাঁকড়ার পা গুলো মুচমুচে হয়ে গেল। তারপর আমি এগুলো নামিয়ে নিলাম।

IMG_20220903_133601.jpg

কাকড়ার মুচমুচে পা গুলো খেতে অসাধারণ লেগেছিল। আসলে আমি পূর্বে যদিও তেমন একটা খাইনি তবে এইবার খেয়ে দারুন লেগেছে।

IMG_20220903_135055.jpg

IMG_20220903_135006.jpg

IMG_20220903_135031.jpg

আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে।কেমন লাগলো আমার আজকের এই রেসিপি তা মন্তব্য করে জানাবেন।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কাকড়া আমি এর আগে কখনো খাইনি। তাই আমার এর স্বাদ সম্পর্কে জানা নেই। তবে আপনার পটল দিয়ে কাকড়ার রেসিপিটি অসাধারণ ছিল। আজকের রেসিপিটিও খুব ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

কাঁকড়া ভাজা রেসিপি টা দারুন ভাবে রান্না করেছেন।
অনেক দিন আগে একবার খেয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে এ অনেক ভালো লেগেছিল। মনে হচ্ছিল না যে কাঁকড়া খাচ্ছি মনে হচ্ছিল চিংড়ি মাছ ভুনা খাচ্ছি। আজকের রেসিপি টা আবার খেতে ইচ্ছা করছে। রান্নার করা স্টেপ গুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।

আমি কখনো কাঁকড় খাই নি।শুনলেই আমার কেমন লাগে।তবে আপনার পটলের রেসিপিতে কাকড়ার ব্যবহারটা বেশ ভালো লেগেছিল। আজকে পা দিয়ে ভাজিটাও দেখতে বেশ ভালো লাগছে।ধন্যবাদ

কাঁকড়ার দেখছি কোন কিছুই ফেলানো যায় না কাঁকড়ার পা দিয়েও আপনি একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন, ভালই হয়েছে একই কাঁকড়া দিয়ে আপনি দুই রেসিপি করতে পারলেন। কাঁকড়া আমিও তেমন একটা খাই না তবে অনেকদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম। কাঁকড়ার পা দিয়ে আপনি ইয়াম্মি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে তো ভালই লাগছে তবে খেতে কেমন হয়েছে বুঝতে পারছি না ।কাঁকড়ার পায়ের ভিতরে কি কোন মাংস থাকে জানার ইচ্ছা।

এই পড়ন্ত বিকেলে আপনি এমন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখে আসলেই লোভ সামলাতে পারছিনা।। কাঁকড়া আমারও খুব ফেভারিট তবে আমি এখন পর্যন্ত একবার খেয়েছি তাও রেস্টুরেন্টে।। আপনার প্রস্তুত করা কাকড়া রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল।।

কাকরা ভাজা রেসিপিটি দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। কিন্তু আমার এখনো কাঁকড়া খাওয়া হয়নি। খেতে কেমন তার স্বাদও আমি জানিনা। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার কাকড়া ভাজার রেসিপি টা দেখে জিভে জল চলে আসলো। অনেকদিন হয়ে গেল কাকড়া ভাজা খাওয়া হয়নি। খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। দারুন কালার হয়েছে কাকড়া বাজার রেসিপিটার। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপু কাঁকড়া আমি কখনোই খাইনি আমার কাছে কেমন জানি লাগে খেতে। তবে অনেকেই কাকড়া ফ্রাই করে খায় দেখলাম। নিশ্চয়ই অনেক মজা।উইংক্লেস দাদা কিন্তু প্রায় সময় কাঁকড়া ফ্রাই করে রেসিপি তৈরি করে। আপনার রেসিপি দেখে একটু খাওয়ার আগ্রহ হলো।

ওয়াও অসাধারণ মজাদার কাঁকড়া ভাজা রেসিপি করেছেন। কাঁকড়া ভাজা আমার খুব প্রিয়। এটি আমি অনেকবার খেয়েছি। আপনি অনেক সুন্দর রেসিপি কিভাবে বানিয়েছেন তা উল্লেখ করেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

আপু আপনি পটলের রেসিপি করার জন্য যে কাকড়া গুলো এনেছিলেন সেই কাকড়াগুলোর পা দিয়ে আবার নতুন একটি রেসিপি তৈরি করে ফেললেন বেশ চমৎকার লাগলো আমার কাছে বিষয়টি। আমি কখনো কাঁকড়ার রেসিপি খাইনি। আপনার কাকড়া ভাজার রেসিপিটি সত্যিই চমৎকার হয়েছে ।পঞ্চম ধাপে যখন উপর দিয়ে পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিলেন দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। লাস্টের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

এ তো দেখছি একটার সাথে একটা রেসিপি ফ্রী 😀। এক কাকড়া দিয়ে দুই রেসিপি। দারুন দারুন 👌। অনেক ছোট বেলায় একবার খেয়েছিলাম কাকড়া। এরপর আর কখনো খাই নি। খাবারের স্বাদ টাও ভুলে গেছি । অনেক দিন পর আজ আপনার কাকড়া ভাজি দেখে সত্যিই খুব লোভ হলো। বেশ লাগছে রান্না টা দেখতে আপু 👌👌👌👌

সেই কত দিন হলো কাকড়া খাই না ৷আজ আপনার কাকড়া ভাজা রেসেপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷আপনি শুধু পা-গুলো নিয়েছেন ৷আপ আমাদের এই দিকে কাকড়ার পা গুলো কে ডেমু বলে ৷এর ভিতরে সাদা সাদা যে অনেক প্রোটিন আছে

আপু আমি কখনো কাকড়া খাইনি। কিন্তু অনেককে দেখেছি এটি খেতে। আপনার রেসিপিতে কাকড়ার পা ভাজা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে আপু নতুন রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপু কাকড়ার রেসিপি। আমি কখনো কাকড়া খাইনি বা এর রেসিপি ও সেভাবে কখনো দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম। মনে হচ্ছে খুব স্বাদ হয়েছে। রান্না প্রতিটি ধাপ এবং ছবিগুলো খুব স্পষ্ট ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।