হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
মা কালী
মা কালী সকল শক্তির আধার, অশুভকে বিনাশ করে শুভ শক্তিকে নিয়ে আসেন তিনি। অশুভ শক্তিকে নাশ করতেই মনোহর দেবী মূর্তি ত্যাগ করে ভয়ংকর কালীকা রূপ ধারণ করেন পার্বতী। শাক্ত বাঙালিদের কাছে মা কালীর আরাধনা বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। মা কালী নারীর শক্তি ও সৌন্দর্যের শুদ্ধতম রূপ। তাই কোনও বড় কাজে হাত দেওয়ার আগে অনেকেই 'জয় কালী' বলে তাঁকে স্মরণ করে নেন। পুরাণে মা কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে সাধারণত তাঁর মূর্তিতে চারটি হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্নমুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা গলায় নরমুণ্ডের মালা, বিরাট জিভ, কালো গায়ের রং এবং ভগবান শিবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
নাটোর জেলা লালপুর উপজেলায় বুধপাড়া নামক
স্থানে আজ থেকে ৫৩৪ বছর আগে থেকে কালী মায়ের পূজা হয়ে আসছে।মায়ের ১৮ হাত বিশাল মূর্তি এবং তার অপরূপ সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।অমাবস্যায় পূজা শুরু হয় সাতদিন ধরে পূজা হয়।৮ দিনের দিন মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়।এই মায়ের এত এই মহিমা যে রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি স্থানে মায়ের গুনোগান হয় এবং দূর-দূরান্ত থেকে সাতদিন ধরে মানুষের আনাগোনা হয়।আজ থেকে চার বছর আগে প্রথম যখন করোনা শুরু হয় তখন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলায় আমার ভাগ্নির বাসায় ঘুরতে এসেছিলাম।তখন এখানে মা কালীর পূজা হচ্ছিলো করোনা কালীন পরিস্থিতির জন্য খুবই অল্প পরিসরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।তখন মন্দিরে গিয়ে মায়ের দর্শন করে এসেছিলাম।আর মনে মনে বলেছিলাম পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখন এসে মায়ের পূজার সময় কয়েকদিন থাকবো এবং মায়ের পূজা দেবো।করোনা পরিস্থিতি কিছুতেই ভালো হচ্ছিলো না এবং সেই সাথে আমারও সময় সুযোগ হয়ে উঠছিলো না তাই আমার মনের আশাটাও পূরণ করা হচ্ছিলো না।
এবার অনেকদিন থেকেই ভেবে রেখেছি যে করেই হোক মায়ের দর্শন করবো।তার মধ্যে আবার শুরু হয়ে গেলো দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রতিনিয়ত হরতাল অবরোধ এগুলো চলছেই।এগুলো দেখে খুবই খারাপ লাগছিলো ভাবলাম এবারও হয়তো আর মায়ের দর্শন করা হবে না।বারবার শুধু মাকে ডাকছিলাম যে মা যে করেই হোক তোমার কাছে যেনো আমি যেতে পারি।হয়তোবা মা আমার মনের কথাগুলো শুনতে পেয়েছেন আর তাই আমাকে আসার সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন।শুক্রবার খুব ভোরবেলা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি মায়ের উদ্দেশ্যে।খুব ভালোভাবে এসে পৌঁছাই।সেদিন রেস্ট করে পরের দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মায়ের মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি।প্রথমে গিয়ে মায়ের দর্শন করি।তারপর দোকান থেকে একটা ডালা কিনে মায়ের জন্য শাখা সিঁদুর পলা আলতা সন্দেশ বাতাসা মোমবাতি আগরবাতি কিনে ডালা সাজিয়ে পুরোহিত মশাই এর কাছে মায়ের উদ্দেশ্যে অর্পণ করি।
তারপর দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ মায়ের কাছে প্রার্থনা করি নিজের মনস্কামনা আমাকে জানাই।মায়ের ড়দর্শনে নিজের শরীর মন প্রশান্তিতে ভরে ওঠে।কি যে ভালোলাগা কাজ করছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না।প্রায় ঘন্টা চারেকের মত মায়ের মন্দিরে ছিলাম।তারপর সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে মায়ের প্রসাদ নেই এবং সবাই মিলে সেখানে বসে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করি।তারপর মেলায় চারিদিক ঘোরাঘুরি করি এবং প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটা করি।সেই মুহূর্তগুলো পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।ধন্যবাদ।